ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮

১৮. ভূত নয় , ভয়ের  মতন
            ---------পিনাকি
                                                                         
ফোন  পেয়েই  আমি  বুঝেছিলাম , আজ  আবার  কোন  পাগলামি  শুরু  হবে  । একে  কলকাতার  রাস্তায়  কনকনে   ঠাণ্ডা  বরফের  কুচির  মতন   যেন  ঝরে  পড়ছে । দু’ বছর আগের শীতপোশাক গুলো  , আলমারিতে  যত্নে  তুলে রেখেছিলাম । এমন  ভাবে  তাদের  সাহায্য  নিতে  হবে   ভাবাই যায়নি  ! জীবনে মাঝে –  মাঝেই  এমন  অভিজ্ঞতা  --  এসেই যায় ।
এখন  রাত  দশটা । শনিবার ।   টুয়া আমাকে  ফোন  করবে  না । আমি  সকালেই  বলেছি , আজ আর বাড়ি  যাব না  ।  ভীষণ  দরকারে  অন্যত্র যেতে  হচ্ছে  । সোমবার ফিরব ।  তখনই অকে ওকে গল্প টা দেব ।
বাড়ি ফাঁকা । মা  , দমদমে দাদার কাছে  । তাই  আজ বাঘাযতীনে  নিজের বাড়িতে  গেলে , হাত  পুড়িয়ে  রান্না  করতে  হত ।  বাইরে  থেকে  কিছু   রুটি  আর  তর্কা  কিনতে  হত   ।
 আমি  একটা  মাসিক   ম্যাগাজিনের   সাংবাদিক ।  মাসে  একবার  প্রকাশিত হয় ।   একটি  বিভাগে    প্যারানর্মাল  , ভূত – প্রেত , কালাজাদু  নিয়ে   লেখা   প্রকাশিত  হয় ।  সামনের মাসে  আমাকে  গল্প দিতে  হবে  । সময়  বেঁধে  দিয়েছে ।
 টুয়া ম্যাগাজিনের   অলৌকিক  বিভাগের  প্রধান  সম্পাদক  ।  আজ   আমার  বাড়িতে  গল্পটা  নিতে আসছে  ।  আমি  চাপে  পড়ে  মিথ্যা  কথা  বলে দিয়েছি ।  বলেছি , আজ শনিবার  আমার  বাড়িতে  আসবে  , টুয়াকে এক কাপ  কফি  করে  খাওয়াব আর   গল্পটা    ওর পেন – ড্রাইভে  ভরে  দেব   ।  আসলে  একমাস  আগের  থেকে  তাড়া  দিয়েছে । আমার  অভ্যাস  মুখে -  মুখে লেখা  জমা  দেওয়া । এখন  দেখছি  মুখ  অপেক্ষারত , আমাকে গ্রাস  করবে ! পালানোটাই সেরা  পথ ।
আমি    গল্প  লিখতে  পারিনি ,  তাই  পালিয়ে   আজ  রাতটুকু   রেহাই  পেলাম, কাল রবিবার  আমি  অফিস  যাবনা ।  ছুটি নিয়েছি । আবার  সোমবার  দেখা  যাবে  ।

আজ  সন্ধ্যা  ছ’টায়   রণের  ফোন  পেলাম !  একমাস  আগে  , আমাকে    নরেন্দ্রপুরের  বাড়িতে  নিয়ে  যাওয়ার কথা  ছিল ।   জানতে  চাইল , সময়  আছে  কি না ?  একা  বাড়িতে  থেকে  এম্নিতেই এমনিতেই  বাজে  চিন্তায় ডুবে  থাকবার   চেয়ে ,  বন্ধুর সাথে তার  পুরানো বাড়িতে রাত কাটানো   বেশ  ভালো ।
                                                             ২

বাঘাযতীন স্টেশনে   দাঁড়িয়ে  ভাবছিলাম । কেউ  হাত  ধরল । দেখলাম , রণ এসে  গিয়েছে ।
-চল  ,  টিকিট  কেটেছিস ? নাকি  তোরটা কাটব ?
-মান্থলি আছে  ।
রণ বলল – আমার  অফিসটা  এখানেই ।   তুই    দাঁড়িয়ে  থাক  আমি  আসছি  ,  টিকিট কেটে ।
আমি  দেখলাম  রণের  দু’ হাত  ভরা   পলিথিনের প্যাকেট ।  নির্ঘাত  রাতের  খাবার  কিনেছে । আমি  তর্কা – রুটি  কিনতাম । ফোনে  রণ বলেই  দিয়েছে , রাতে  গল্প হবে  , খাওয়া- দাওয়া  হবে  । সব  ব্যবস্থা করা  হয়েছে । দেখলাম  বেশ  তেলাক্ত আর  লোভনীয়  প্যাকেট , দেখেই   ক্ষিধে পাচ্ছে ।  ভিতরে খাবার গুলো  আমাদের  সাহায্য  প্রার্থনা  করছে ।  অভয়  দিচ্ছি , এতটুকু অসম্মানিত হবে না , বন্দী খাবারেরা ।


 ট্রেন  ফাঁকাই  ছিল । বগিতে  আমাদের  নিয়ে  , খুব  বেশি  হলে দশ জন ।
জানালার  ধারে বসেছি । সামনে  রণ , উল্টোদিকের সীটে । আমার  দিকে  তাকিয়ে  বলল
-অনেক দিন পর , কেমন আছিস ?
-ভালো । এই একমাস  কোথায়  ছিলিস ! আর আজ  আচমকা আমাকে  ফোন করলি ?
-এই একমাস  খুব ঝামেলায়  ছিলাম  । এখনো  আছি । আমার  আচমকাই  তোর  কথা মনে  পড়ল । তাই ভাবলাম , তোকে  ডাকা  যাক ।
-কেন  ?
-এমনি ।
-আচ্ছা , নরেন্দ্রপুরে  বাড়িটাকে    প্রমোটিং করবি  বলেছিলিস । এখনো  কিছু  হয়নি  ।
-নারে ,  আমি একমাসের  জন্য  মুম্বাই দিদির কাছে  ছিলাম ।
-কেন  ?
-আসলে , দাদুর  বাড়ি । তিন মাস  হল  মারা  গিয়েছে । দাদু  আমাদের  দু’ জনের  নামে  লিখে  দিয়েছিল। আমি  দিদির  স্বাক্ষর  নিতে  গিয়েছিলাম । ফিরে  মনে  হল  তোকে  ফোন করা  যাক । আবার ভাবলাম যদি  সময়   থাকে  আজ  তোকে  আমাদের  বাড়িতে নিয়ে  গিয়ে  দেখাবো । তাই  ডাকলাম ।
-বেশ  করেছিস । আমি  বোরিং হচ্ছিলাম ...

ট্রেন  থামতেই ,  নেমে দেখলাম  যতদূর  চোখ  যায়  কুয়াশার  চাঁদরে  ঢেকে  গি য়েছে  স্টেশন  চত্বর ।  পাশের ছোট - ছোট দোকানের মুখে  খুব অল্প ক্রেতা , শীত পোষাকে দাঁড়িয়ে । তাদের দেখে ঠাণ্ডা আরও  বেড়ে গেল ! রণ বলল – ভাই , হেঁটে গেলে কুড়ি মিনিট ।
আমি বললাম – অটোয় লোক হতে অনেক সময় নেবে । পায়ে হেঁটে যাব ।

আকাশে চাঁদের আলো । আকাশের নীচে আমরা  , রাতের শীতলতা নিয়ে  গন্তব্যে এগিয়ে চলেছি । আমি স্পষ্ট বুঝতে পাচ্ছি , পাশে   ঝিমিয়ে থাকা ঝোঁপ থেকে ,  অভিশপ্ত নিঃশ্বাস ভেসে আসছে , ঠাণ্ডা যেন রক্তে মিশে যাচ্ছে । পথে কেউ নেই । আমরা  দুই বন্ধু , নির্জন রাস্তা , মাঝে – মাঝে  পাকা বাড়ির  ফাইবারের জানালার ভিতর থেকে ভেসে আসা  আলোর ছায়া , আর পথের বাঁকে হলুদ আলোর লাইটপোস্ট । এইসব কিছু নিয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম । 
লোহার গেট খুলতেই ,  দ্বোতলা  বড়ি ।  একতলায় দুটো ঘর ।  আমায়  বলল – ভাই ,     পাশাপাশি  যে  দুটো   ঘর দেখছিস , ডানদিকের  ঘরে  থাকব । আশা করি  অসুবিধা  হবেনা ?
আমি  বললাম -  সে নয়  ঠিকাছে , ভিতরে  ঢোক ।  খুব ঠাণ্ডা  লাগছে  ।
রণ  বলল -  ফাঁকা জায়গা , একটাই  বাড়ি । পাশে  মাঠ  আছে  । তাই  , ঠাণ্ডা  লাগছে  ।  আয় ।
রণ  প্রথমে  প্রধান  গ্রিলের  তালা  খুলল ।  কিছুটা সিমেন্টের  পথ  পেরিয়ে  আরেকটা  গ্রিল । তালা  খুলে  আমাকে  ডানদিকের ঘরে  নিয়ে  গেল ।  বলল – তুই  ভিতরে  গিয়ে  বস । আমি আসছি ।
আমি  খেয়াল  করলাম  ওর  হাতে  প্যাকেটে  তেল  জমেছে । চুইয়ে – চুইয়ে  পড়ছে । ট্রেনে বলেছিল প্যাকেটে     ---  আলুরদম ,  পরোটা  আর স্যালাড  আছে  ।  রাস্তায়  আসতে – আসতে  নাকে  গন্ধ  এসেছে ।  বেশ   ক্ষিধে পেয়েছে ।
আমি  দেখলাম  রণ প্যাকেট  দুটো  আমার হাতে   ধরিয়ে বলল -  তুই  ঘরে  গিয়ে  গিয়ে   টেবিলে  এগুলো রাখ, আমি  দেখছি  জল  আছে  নাকি ।

রাত  অনেক । প্রায়  এগারোটা । খাওয়া  হয়ে  গিয়েছে । এখানে  ঠাণ্ডা  নিজের  মতন এসে   আমাদের  কাবু  করে  ফেলেছে । আমরা একটা বিছানাতেই  শুয়ে  আছি । গলা  অব্দি  লেপ  দেওয়া । মাথায়  কান  ঢাকা  টুপি । ঘরে টিম – টিম করে  খুব  অল্প  পাওয়ারের  হলুদ বাল্ব  জ্বলছে ।
আমরা  অনেক দিন  পর  প্রাণ খুলে  গল্প  করলাম । এখন  ঘুম আসছে । ভাবছি  গল্পটা  দেওয়া  হবে না।  এখানে  এসে  শীত এতটাই  কাবু করেছে  যে  , কিছু  ভেবে  উঠতে  পাচ্ছি না । ঘুম পাচ্ছে  ।
রণ বলল -  তুই  ভূতে  বিশ্বাস করিস ?
আমি  বললাম -  ওরা শীতের  থেকে  নিরাপদ । এই  রাতে  ভূতের  কথা  কেন  ? কাল  দিনের  বেলায়  বলবি । ঘুম পাচ্ছে ।
রণ  আমার  দিকে  ফিরে   বলল – তুই  তার  মানে  মানিস  না ?
আমি  কিছুটা  বিরক্ত  হয়ে  বললাম – ভাই  , কাল  আমি   তোর  কাছ  থেকে  গল্পটা  শুনব । আমার  দরকার  আছে  । দেখ  বাড়িরে  বোরিং  হব   বলে  এখানে  আসা  । প্লিজ , আমি  এখন  ঘুমাই  তারপর  দেখা  যাবে ।

আমি  ঘুমিয়ে  পড়েছিলাম । স্পষ্ট  মনে  আছে  । তাহলে  জেগে গিয়েছি  কেন ! ঘরটা  অন্ধকার । রণ  হলুদ বাল্বটা  নিভিয়ে  দিয়েছিল হয়ত । পাশে  শুয়ে । আচমকা  ঘুম ভাঙল ! আমার মনে  হচ্ছে  , দরজার  সামনে  কেউ  দাঁড়িয়ে ! না  দরজা  বন্ধ ,তাহলে  বন্ধ  দরজার  উল্টো  দিকে  কেউ !
আমাকে  বাথরুমে যেতে  হবে  । এই  শীতে  একবার  লেপের  তলায়  গেলে , আর  শীতের  হাতে  নিজেকে আত্মসমর্পণ করতে  মন  চায়না । আমি  আর  চেপে  রাখতে  পারলাম  না  । রণ কে  ডাকব  না । যতটা  মনে  হচ্ছে  গেটের  বাইরে   ইটের  ঘর  আছে  ।  চাবিটা টেবিলের উপর  ছিল ,
আমি  দরজা  খুললাম । বারান্দায়  আলো নেই , অন্ধকারেই   মুঠো  ফোনের  সহায়তায় তালা  খুললাম । ভয় লাগছে  ।  অনেক  সময়  পরিস্থিতি  মানুষের  মনে  ভয়ের  অনুভূতি সৃষ্টি  করে  । মাথায়  চাঁদের আলো । বাথরুমের  দরজা  খুলেই  হিশু করছি । শব্দ  কানে  আসছে । শীত  রাত  । চারপাশে  দেখে  মনে  হয় , সবাই  ঠাণ্ডার  হাত  থেকে  বাঁচতে  চায় ।
আমি  ভিতরে  ঢুকে  দরজা  বন্ধ  করতেই , মনে  হল  আচমকাই  আমার  পা  ভারী  হয়ে  গেল !  কেন  হল ? আমার  মনে হচ্ছে  কেউ  , আমার  ঘাড়  ধরেছে । এই সব  মনের ভুল  কেননা  চারপাশে  কেউ  ছিলনা ।

আমি  নিজেকে  খুব  আস্তে – আস্তে  টেনে নিয়ে  যাচ্ছি ।  আমার  মনে  হল  , এখন  উল্টে  যাব । আমি  বহু  কষ্টে  এগিয়ে  যাচ্ছি । সামনে  একটা  কিছু  দেখে  আমি চুপ !

  মানুষের আচমকা ভয়ের  অনুভূতি  হয়ত  এটাই !  আমি  দেখলাম , বাঁ –দিকে  ঘরের  সামনে  বেঞ্চে  একজন  বসে  আছেন । কালো  ছায়ার  মতন । সে  আমার দিকে  তাকিয়ে  কিনা  বুঝতে  পাচ্ছিলাম  না। তবে  এত  রাতে  কে? আমার  মনে  হচ্ছে  ছায়াটা  হাওয়ায়  ভাসছে । মানুষের  মূর্তি , মানুষ নয় । আমি চলতে  পাচ্ছিনা । আমার  শরীরের  পেশী  সংকুচিত  হয়ে  যাচ্ছে । মূর্তি  নিজের  মতনই বসে। আমার  গা  ঘুলিয়ে  আসছে । বমি  করে  দেব ।

ঘুম  ভাঙল ,  নিজেকে  বিছানায় পেলাম । আমার  মুখের  উপর  ঝুঁকে  আছে  মুখ  । রণের ।
-তুই  কাল   রাতে  বাইরে  গিয়েছিলিস ? আমায় ডাকা  উচিত  ছিল ।
রণের  কথা  ঠিক । আমি  বললাম – ভুল  হয়ে গিয়েছে ।
রণ  বলল – ভাই , ভুলে  যদি  তোর কোন ক্ষতি  হয়ে  যেত । তোর  বাড়ির লোক আমায়  ছাড়ত না ।

আমি  চুপ  করে  থাকলাম ।  আগের  রাতের  কথাটা রণের কাছ  থেকে  জানতেই হবে  ,বললাম -  তুই  একটা কথা  বলবি ?
-বল ।
-তোদের এখানে  তুই আর  আমি ছাড়া  কাল রাতে  অন্য  কে  ছিলেন ?
-কেউ  না । তবে  কেউ  ছিলেন  কি ?
-মানে ?
-তুই  আগে  বল ।
আমি  বললাম । অভিজ্ঞতার  কথা ।

রণ চুপ  করে  আছে  । তারপর  বলল – ভাই , আজ  দুপুরেই  এই  জায়গা  ছাড়ছি । তুই  যে  অভিজ্ঞতার  সম্মুখীন , সেই  অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে ।
আমি  বললাম – মানে  ?
রণ বলল – ভাই  , আমার  দাদুর আত্মা  এখনো  এই জায়গা  ছাড়েনি । শেষ  জীবনে  একাই  থাকতেন । বাবা – কাকুর  সময়  হতনা দেখার । মরবার  পরেই  আমরা  প্রমোটারদের  জমি  দেব  বলে  এখানে  আসি।  আমি  তিনদিন  ধরে  এখানে  আছি ।  রাতে  একদিন  দেখি  ছায়া  মূর্তি । চোখের  ভুল  কিনা , পরীক্ষা  করবার জন্য তোকে  রাতে  থাকবার  প্রস্তাব   দিয়েছিলাম । আমার এই কথা তুই  বিশ্বাস করবি , আর কেউ করবেনা । আমার মনে হচ্ছিল আমি  অসুস্থ হয়ত । কাল রাতে তোর অভিজ্ঞতা প্রমাণ করল , মানুষ অনেক কিছুই দেখতে পারে না , টের পায় না । বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই ।  তবুও এই জীবন্ত পৃথিবীতে সেই সব কিছুর অস্তিত্ব  রয়েছে ।

আমার  খুব  ইচ্ছা  করছিল , রণকে  খিস্তি  দিতে  । কাল  আমার সাথে  আরও খারাপ  কিছু  হতে  পারত ।
আমার  কাঁধে  হাত  দিয়ে  রণ বলল -  ভাই এই  কথা  কাউকে  বলিস  না ।  গল্প  লিখলেও  ঠিকানাটা  চেপে  যাবি । তা নাহলে , ক্ষতি হবে ।

মনে – মনে  নিজেকে বললাম  - এতটুকু  আমি  করতেই  পারি । কাল  ওইরকম অভিজ্ঞতার  জন্যই , এখন  থেকে  আর আমার  ভয়ের  গল্প  লিখতে  অসুবিধা  হবে না । আমার  মনে  হল , ভূতের কোন গল্প হয়না । তবে ভয়ের গল্প হয় ।আমি  আগের  রাতে  ভূত দেখিনি , রণের দাদুর আত্মাকে  দেখে  ভয় পেয়েছিলাম। এখন  প্রশ্ন  হচ্ছে  , আত্মার  অস্তিত্ব  আছে  ? 
এই সব ভাবনা  এখন নয় । বাড়ি ফিরতে হবে ।  এইমাত্র টুয়ার  এস . এম .এস পেলাম
--  সোমবার , শেষ সুযোগ ............
----------------------------------------------------------------------------------------------------

নাম -  পিনাকি  চক্রবর্তী
ঠিকানা – ১ নং রাজা  এস সি  মল্লিক  রোড
              যাদবপুর পুলিশ  আবাসন  , ব্লক – এল  , ফ্ল্যাট -  নয় (L /9)
              কলকাতা -৭০০০৩২
                  পো .অফিস – যাদবপুর  ইউনিভার্সিটি






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন