ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৮


||______এখনো বিবর্ণ সবুজ!||

                     -----সুনন্দ মন্ডল

শান্ত সবুজে ঘেরা সেই গ্রাম আজো
মলিনতা নেই কোন।
মেঠো আল পথ ধরে ফিরি আমি বাড়ি
চেনা চেনা গন্ধেরা।
ধানের গাড়ি বোঝাই অগ্রহায়নে
গোরু চলে হেঁটে হেঁটে।
নেই সেই লাল মাটি নেই ধূলি পথ
তবুও সবুজ মাঠ।
এক অন্যমনের বাসায় ঠিকানা
পাশে ছুটে চলে তারা।
ছুটির গন্ধে চির সবুজ বাজায়
মিড-ডে-মিলের থালা।
থমকে দাঁড়ায় সারা শরীর আমার
টায়ার চালানো পথে।
অন্য ছেলের দল হুড়োহুড়ি করে
থমকে তারাও দেখে।
হাভাতে শিশুর কাঁদে প্রাণ কাঁপে ঠোঁট
পড়ুয়ারা হাসিখুশি।
ছোটদের বিবর্ণ দেখি মুখ চোখ
অন্যরা উচ্ছ্বাসে।
হঠাৎই চোখ থেকে জল এলো ঝরে
আমার ক্লান্ত পায়ে।
            ------------

||_____স্বপ্ন নাকি বাস্তব||

                  ----  সুনন্দ মন্ডল

ভ্রমন পিপাসু মন ছুটে গেল
ঠিকানা বিহীন কোনো নির্জনে।
সাথে বন্ধুরা আমি কৌতূহলী
বাইক চালিয়ে ট্রেন হুইসেল।
ঘন্টা দুয়েক পরের যাত্রা
হাঁটা পথে ধূলি গন্তব্যে নামা।
বন্ধুর চেনা এক বাড়ি শেষে
জলপানে দেহে ক্লান্তি মেটানো।
সন্ধ্যে নামল প্রদীপ জ্বলল
আমাদের ঘর ঘনান্ধকার।
অজানা পাখির কিচিরমিচির
ভগ্নদশার শেষে পৌঁছে বাড়ি।
পরিচিত বাড়ি তবে কেউ নেই
বন্ধু অবাক হলো কিছুক্ষন।
নির্মল শুয়ে তখনো আঁধারে
পায়চারি করি ঘরের মেঝেতে।
হাতে মোমবাতি ঢুকল মেয়েটি
চামচিকে উড়ে গেল মাথা দিয়ে।
অপরূপা মুখ লাবণ্য ময়ী
টেনে নিয়ে গেল ওপরের ঘরে।
বৃদ্ধা শয়নে অন্ধ চাতক
নলিনের আশা মেয়ের জন্যে।
সত্তর পার করেছে বৃদ্ধা,
আটকে মৃত্যু! অবিবাহিতা ঝি।
মুখের কথার ভিড়ে এলো নেমে
আমি তো 'নলিন'! বুড়ি হাসি মুখে।
বিয়ের কথায় নিশ্চুপ মেয়ে
বিয়ের কথাও দিলাম বুড়িকে।
মেয়েটির চোখে চেয়ে বললাম
আসব আবার! ফিরে যাই বাড়ি।
কাজ শেষে অবসর যাপনের
মুহূর্তে মনে পড়ল মেয়েটি।
সেই বাড়ি আর বৃদ্ধার কথা
সেসব স্বপ্ন নাকি বাস্তব!
ক্ষয়িষ্ণু স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে
অপেক্ষমান মেয়েটির চোখ।
          -------------
(কাঠিয়া,মুরারই,বীরভূম)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন