**ভুল ভুলাইয়া**
-------সুপ্রীতি বর্মন
ভুল ভুলাইয়া রাস্তায় একরকমের বাড়ি সারি সারি,
মাথায় টুপি পরিয়ে অটোবালার ছলনায়,
পকেট আমার গড়ের মাঠ,,,,,,, দূর ছাই, মাথায় হাত।
অবশেষ উচ্ছিষ্ট চেনা ঘরে আমি, অপদার্থের আদ্যাক্ষর।
এঁদোগলি ছেড়ে রাজপথে, নতুন গন্তব্যের উপার্জন।
দিনশেষে গলগ্রহ ভাত, সকলের মুখ ঝামটা।
যাই হোক এবার যে পোড়াকপাল গ্রহনে পূর্নচাঁদ আশা।
উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ী জৌলুসে অন্ধ প্রাচুর্য্য।
কাজ চাই, কাজ চাই এই আগ্রহে,
তাই মুখের সামনে রাখলাম,
আমার দীর্ঘ আকাঙ্খায় লালিত প্রোজেক্ট।
দেখতেই পরিকল্পনা প্রসূত চিন্তিত মস্তিষ্ক,
গুটি গুটি সাবধানী ছাপোষা আঙুল,
পাফ গুনে গেল থেমে।
দীর্ঘমেয়াদী স্বপ্নে একরাশ জল ঢালা,
পাঁকে কি ফুটতে পারবে কোনদিন পদ্ম।
কানাঘুঁষো পেছন থেকে এসে পিঁপড়ের দল।
লাভের গুড় খেতে চায়,
তাই বিনা ঔষধে রোগ সারানো দায়।
বদ্ধ চাকচিক্যের গুমোট সিলিং ছেড়ে,
রাখলাম পা সতেজ হাওয়ায়, খোলা আকাশের নীচে।
ঐখানে মহীরুহের তলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে সংসার।
ফেলেছে দোকানের ঝাঁপ, ঘুমটি।
একজন অতি বিনয়ী খবরের কাগজে মাথা গুঁজে,
ডাকছে ঐকান্তিক আপনজনের সুরে।
এসো এসো এই নাও মোড়া, এইখানে বসো।
হল ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপচারিতা।
নিতান্ত নগন্য সামর্থ্য তার, তবুও চোখের মনিতে কি আশা।
বলো মেয়ে তোমার কি রাশি।
রোজ আমি পর্যবেক্ষনে রাশিফল,
শীঘ্রই ফিরবে তোমার সৌভাগ্যের উজ্জ্বল মুখ।
আমার কথাটি মনে রেখো।
থেমো না কোনদিন, ফিরবেই ফিরবে একদিন সোনালী দিন।
মেয়েটি মনে পেল উচ্চাশার সূর্য।
একমুহূর্তেই অপসারিত সকল অবসাদ গ্রহন।
মনে মনে ঠিক করে নেয় একদিন,
আমি ঠিক ফিরে আসবো লাড্ডুর প্যাকেট হাতে,
তুলে দেবো ঐ শুভাকাঙ্খীর হাতে।
আপনজনের কথায় দিনের পর দিন,
নদীর পাড় ভেঙ্গেছে দীর্ঘশ্বাসে।
অব্যক্ত যন্ত্রনার স্রোতের আন্তরিকতা পরের কথা,
নির্জনে অচেনা জায়গায় এসে,
খুঁজে পেলাম অবশেষে এক আপনজন।
আমার হাত টেনে উপরে তোলাই তার প্রয়োজন।
**--------------------------**
-------সুপ্রীতি বর্মন
ভুল ভুলাইয়া রাস্তায় একরকমের বাড়ি সারি সারি,
মাথায় টুপি পরিয়ে অটোবালার ছলনায়,
পকেট আমার গড়ের মাঠ,,,,,,, দূর ছাই, মাথায় হাত।
অবশেষ উচ্ছিষ্ট চেনা ঘরে আমি, অপদার্থের আদ্যাক্ষর।
এঁদোগলি ছেড়ে রাজপথে, নতুন গন্তব্যের উপার্জন।
দিনশেষে গলগ্রহ ভাত, সকলের মুখ ঝামটা।
যাই হোক এবার যে পোড়াকপাল গ্রহনে পূর্নচাঁদ আশা।
উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ী জৌলুসে অন্ধ প্রাচুর্য্য।
কাজ চাই, কাজ চাই এই আগ্রহে,
তাই মুখের সামনে রাখলাম,
আমার দীর্ঘ আকাঙ্খায় লালিত প্রোজেক্ট।
দেখতেই পরিকল্পনা প্রসূত চিন্তিত মস্তিষ্ক,
গুটি গুটি সাবধানী ছাপোষা আঙুল,
পাফ গুনে গেল থেমে।
দীর্ঘমেয়াদী স্বপ্নে একরাশ জল ঢালা,
পাঁকে কি ফুটতে পারবে কোনদিন পদ্ম।
কানাঘুঁষো পেছন থেকে এসে পিঁপড়ের দল।
লাভের গুড় খেতে চায়,
তাই বিনা ঔষধে রোগ সারানো দায়।
বদ্ধ চাকচিক্যের গুমোট সিলিং ছেড়ে,
রাখলাম পা সতেজ হাওয়ায়, খোলা আকাশের নীচে।
ঐখানে মহীরুহের তলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে সংসার।
ফেলেছে দোকানের ঝাঁপ, ঘুমটি।
একজন অতি বিনয়ী খবরের কাগজে মাথা গুঁজে,
ডাকছে ঐকান্তিক আপনজনের সুরে।
এসো এসো এই নাও মোড়া, এইখানে বসো।
হল ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপচারিতা।
নিতান্ত নগন্য সামর্থ্য তার, তবুও চোখের মনিতে কি আশা।
বলো মেয়ে তোমার কি রাশি।
রোজ আমি পর্যবেক্ষনে রাশিফল,
শীঘ্রই ফিরবে তোমার সৌভাগ্যের উজ্জ্বল মুখ।
আমার কথাটি মনে রেখো।
থেমো না কোনদিন, ফিরবেই ফিরবে একদিন সোনালী দিন।
মেয়েটি মনে পেল উচ্চাশার সূর্য।
একমুহূর্তেই অপসারিত সকল অবসাদ গ্রহন।
মনে মনে ঠিক করে নেয় একদিন,
আমি ঠিক ফিরে আসবো লাড্ডুর প্যাকেট হাতে,
তুলে দেবো ঐ শুভাকাঙ্খীর হাতে।
আপনজনের কথায় দিনের পর দিন,
নদীর পাড় ভেঙ্গেছে দীর্ঘশ্বাসে।
অব্যক্ত যন্ত্রনার স্রোতের আন্তরিকতা পরের কথা,
নির্জনে অচেনা জায়গায় এসে,
খুঁজে পেলাম অবশেষে এক আপনজন।
আমার হাত টেনে উপরে তোলাই তার প্রয়োজন।
**--------------------------**
খুব ভাল লাগল ।
উত্তরমুছুন