১৫.) *অনুগল্প*
♥বোবা প্রেম♥
------ তোহাদ্দেশ সেখ
নেসবা প্রতিদিনের মতো আজও সেই শান্ত পথের বট গাছটিতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে। আজও ঘড়িতে ঠিক নয়টা পয়তাল্লিশ মিনিট। কিন্তু আজ সে স্বাভাবিক না, শরীরটা যেন কাঁপছে এক অজানা ভয়ে। কারন আজ ভ্যালেণ্টাইন ডে তার হাতে আজ লাল গোলাপ, যাতে লেখা আছে তার না বলা কথার কাব্য।
প্রায় এক বছর ধরে ঐ একই জাগায় একই সময় অপেক্ষা করে কোনো মেঘাচ্ছন্ন কুয়াশার। যাতে আশার আলোর ছিটেফোটাও নেই। তার এক নাম আছে- প্রিয়ন্তী। প্রিয়ন্তী তার অপেক্ষার কারন জেনেও এড়িয়ে চলে গোমড়া মুখ করে। নেসবা তার মুখের একফালি হাসি পর্যন্ত দেখেনি কোন দিন।
হয়তো আজকের ভ্যালেণ্টাইন ডে নেসবার নামে লেখা। তাই হৃদয় ভালবাসার ঢেউয়ে সাহসী গোলাপ হাতে নিয়ে তার অপেক্ষায় দাড়িয়ে। তবুও সে জানেনা পারবে তার নিরাবতা ভাঙতে, পারবে কুয়াশা হটিয়ে বসন্তের উষ্ণ রোদ আনতে! হয়তোবা জানেনা।
হটাত্ নরম রোদ্রে সেই মেঘাচ্ছন্ন কুয়াশা প্রিয়ন্তীর আবির্ভাব হয় । বটগাছের একটু এগিয়ে পথের বাঁকে এক বান্ধবীর অপেক্ষায় দাড়িয়ে পড়ে। নেসবা এগোতে থাকে পুলসি রাতের পথে, হাতে প্রেমের বর্ণনা নিয়ে। কিন্তু পায়ের গতি মন্থর হয়ে যায় প্রিয়ন্তীর রক্তবর্ণ চোখ দেখে। তাদের দুজনের মধ্যবর্তী স্থানে পথের ধারে দুটি শিশু দাড়িয়ে। একটি চার বছরের অর্ধনগ্ন বাচ্চা নেসবার ফুল দেখে হাতছানি দিচ্ছে। তা দেখে ছয় বছরের বাচ্চাটি বার বার তার হাতটি নামিয়ে দিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে নেসবা ও প্রিয়ন্তীর মুখে হঠাত্ মায়া করুণা নেমে আসে। নেসবা অশ্রু জ্বল জ্বল চোখে একবার প্রিয়ন্তীর দিকে একবার বাচ্চা দুটির দিকে চেয়ে আবার হাঁটতে থাকে। গোলাপ গুলি ছোট বাচ্চাটির হাতে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে কান্না চোখে প্রিয়ন্তীকে দেখে। তারপর পিছন ফিরে নিচের দিকে চেয়ে ধীরে ধীরে হাঁটতে শুরু করে । কোনো আভাসে আবার পিছন তাকিয়ে দেখে- প্রিয়ন্তী দুটি ক্যাটবেরি অতি আনন্দে বাচ্চা দুটিকে দিয়ে মাথায় হাত বুলায়। আর নেসবার দিকে চেয়ে চোখে চোখ রেখে হালকা হাসি মুখে ছোট বাচ্চাটির কপালে একটি চুমু এঁকে দেয়। নেসবাতো অজান্তেই হেঁসে ফ্যালে। মুখে বিশ্বজয়ের হাসি নিয়ে মনে অসংখ্য স্বপ্ন বুনতে বুনতে আবার হাঁটতে শুরু করে। আর ভাবতে থাকে এর পরের দিনের কথা।
[ঠিকানা
নাম - তোহাদ্দেশ সেখ,
নিবাস - উপরডিহা,
ডাকঘর- মুকুন্দপুর,
থানা - বহরমপুর,
জেলা- মুর্শিদাবাদ,
পিন কোড- ৭৪২১৮৭,
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত,
জন্ম তারিখ- ০২.০১.১৯৯৫.
(বর্তমানে সৌদি আরবে আছি)]
♥বোবা প্রেম♥
------ তোহাদ্দেশ সেখ
নেসবা প্রতিদিনের মতো আজও সেই শান্ত পথের বট গাছটিতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে। আজও ঘড়িতে ঠিক নয়টা পয়তাল্লিশ মিনিট। কিন্তু আজ সে স্বাভাবিক না, শরীরটা যেন কাঁপছে এক অজানা ভয়ে। কারন আজ ভ্যালেণ্টাইন ডে তার হাতে আজ লাল গোলাপ, যাতে লেখা আছে তার না বলা কথার কাব্য।
প্রায় এক বছর ধরে ঐ একই জাগায় একই সময় অপেক্ষা করে কোনো মেঘাচ্ছন্ন কুয়াশার। যাতে আশার আলোর ছিটেফোটাও নেই। তার এক নাম আছে- প্রিয়ন্তী। প্রিয়ন্তী তার অপেক্ষার কারন জেনেও এড়িয়ে চলে গোমড়া মুখ করে। নেসবা তার মুখের একফালি হাসি পর্যন্ত দেখেনি কোন দিন।
হয়তো আজকের ভ্যালেণ্টাইন ডে নেসবার নামে লেখা। তাই হৃদয় ভালবাসার ঢেউয়ে সাহসী গোলাপ হাতে নিয়ে তার অপেক্ষায় দাড়িয়ে। তবুও সে জানেনা পারবে তার নিরাবতা ভাঙতে, পারবে কুয়াশা হটিয়ে বসন্তের উষ্ণ রোদ আনতে! হয়তোবা জানেনা।
হটাত্ নরম রোদ্রে সেই মেঘাচ্ছন্ন কুয়াশা প্রিয়ন্তীর আবির্ভাব হয় । বটগাছের একটু এগিয়ে পথের বাঁকে এক বান্ধবীর অপেক্ষায় দাড়িয়ে পড়ে। নেসবা এগোতে থাকে পুলসি রাতের পথে, হাতে প্রেমের বর্ণনা নিয়ে। কিন্তু পায়ের গতি মন্থর হয়ে যায় প্রিয়ন্তীর রক্তবর্ণ চোখ দেখে। তাদের দুজনের মধ্যবর্তী স্থানে পথের ধারে দুটি শিশু দাড়িয়ে। একটি চার বছরের অর্ধনগ্ন বাচ্চা নেসবার ফুল দেখে হাতছানি দিচ্ছে। তা দেখে ছয় বছরের বাচ্চাটি বার বার তার হাতটি নামিয়ে দিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে নেসবা ও প্রিয়ন্তীর মুখে হঠাত্ মায়া করুণা নেমে আসে। নেসবা অশ্রু জ্বল জ্বল চোখে একবার প্রিয়ন্তীর দিকে একবার বাচ্চা দুটির দিকে চেয়ে আবার হাঁটতে থাকে। গোলাপ গুলি ছোট বাচ্চাটির হাতে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে কান্না চোখে প্রিয়ন্তীকে দেখে। তারপর পিছন ফিরে নিচের দিকে চেয়ে ধীরে ধীরে হাঁটতে শুরু করে । কোনো আভাসে আবার পিছন তাকিয়ে দেখে- প্রিয়ন্তী দুটি ক্যাটবেরি অতি আনন্দে বাচ্চা দুটিকে দিয়ে মাথায় হাত বুলায়। আর নেসবার দিকে চেয়ে চোখে চোখ রেখে হালকা হাসি মুখে ছোট বাচ্চাটির কপালে একটি চুমু এঁকে দেয়। নেসবাতো অজান্তেই হেঁসে ফ্যালে। মুখে বিশ্বজয়ের হাসি নিয়ে মনে অসংখ্য স্বপ্ন বুনতে বুনতে আবার হাঁটতে শুরু করে। আর ভাবতে থাকে এর পরের দিনের কথা।
[ঠিকানা
নাম - তোহাদ্দেশ সেখ,
নিবাস - উপরডিহা,
ডাকঘর- মুকুন্দপুর,
থানা - বহরমপুর,
জেলা- মুর্শিদাবাদ,
পিন কোড- ৭৪২১৮৭,
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত,
জন্ম তারিখ- ০২.০১.১৯৯৫.
(বর্তমানে সৌদি আরবে আছি)]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন