||প্রিয়তমা অনুকে||
বহুদিন বাদে জানলার কার্নিশ বেয়ে আবছা তোর ছায়ামূর্তি। এবার আমার বিদায় নেবার পালা।কেমন আছিস জানতে চাইব না । বোধ হয় কেন? নিশ্চিত তুই ভালো আছিস । সবার থেকেই একে একে বিদায় নিয়েছি। লিস্ট ঘেঁটে দেখলাম বাকি রইলি শুধু তুই, তাই এবার তোর থেকে।বিষাতুর ব্যাথাগুলো বৃষ্টির মেঘ হয়ে জমেছিল অলিন্দে আর বয়ে বেড়াতে পারছিলাম না তাই ঝেড়ে ফেললাম চিঠি দিয়ে ।অনুরোধের মুখ নেই তবু ও বলতে হয় বললাম পারলে পরিস ।
শহর টা বড্ড বোরিং হয়ে জাচ্ছিল,কাজ-কর্মহীন উন্মাদের মত মত্য নৃত্যে বেহুস হ্যালোইন থেকে মুক্ত হতে পর্ণমোচীতে আশ্রয়। প্রথমে চাকরিটা তারপর ভৃত্য রামু ও শেষে গোসা ঘর (তোর ফেলে আসা)। তঞ্চকতা জিনে নেই তাই বলে গেলাম।
বিক্ষিপ্ত শব্দ গুলো কোনক্রমে সাজাবার চেষ্টা করলাম অনভ্যস্ত হাতে। সামনা সামনি হবার ইচ্ছে গুলো মরে গেছিল আগেই দাহ করে শেষে লিখতে বসেছিলাম।তোলপাড় করা বুকের মাঝের অক্ষর গুলো কোনক্রমে বিন্যাস শুরু ও শেষের মাঝে একটা দন্ধ ছিল। লাঞ্ছিত,অনাদৃত,অপদার্থরা ভালবাসার যোগ্য নয়। যোগ্যতম উদবর্তে আন ভ্যাকেন্টই রইলাম। সমাদৃত হতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে কোন ক্রমে অন্যত্র।
রুক্ষ সরজমিনে হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটটার বলরুমে রাখা ছোটপর্দার ছোট ছোট চরিত্র গুলো মাঝ রাতে গিলে খাচ্ছিল কথার জালে, ম্যাগাজিনের পেজের ইংরাজি বর্ণমালা গুলো বড্ড অসহ্য হয়ে উঠেছিল।তাই অগত্যা সাইকিয়াটিস্টের পরামর্শ,নিউ লং জার্নি কিছুটা রোমাঞ্চ রোমহর্ষ বটে তাই চললাম।
তবে কোনদিন যদি ফিরি তাহলে আরেকটা চিঠি দেব।সেটা সুখান্তরের পুরোনো টিলায় বসে পেয়ালায় ঢেলে চায়ের প্রস্তাবের হয়ত। আপাতত জ্বালাতন ভুলিয়ে বিদায় নিলাম ।
ইতি
প্রান খোলা হাসি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন