লেখক ধীরেন্দ্র নাথ বাঙ্গালের জন্ম বাঁকুড়া জেলার আমলা তোড়া গ্রামে এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে 1365 সালের 12ই কার্তিক .এক প্রতিকূল সামাজিক পরিবেশে শুরু হয়েছিল তার বেড়ে উঠা ও শিক্ষাজীবন .ছাত্রাবস্থাতে পড়াশুনার সাথে কৃষিজীবী বাবাকে কৃষিকাজে সাহায্য করতে হত .ছয় কিলোমিটার আলপথ পায়ে হেঁটে পড়তে যেতে হাত হাইস্কুলে .তবু বরাবর ক্লাসের প্রথম স্থানাধিকারী ছিলেন .তখনকার দিনে ভালো রেজাল্ট করে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন হায়ারসেকেন্ডারি .ইকনোমিক্সে অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজে .পার্ট ওয়ান পরীক্ষার আগের মুহূর্তে কর্মঠ বাবার অকাল প্রয়াণ ঘটে গেলে জীবনে নেমে আসে গহন আঁধার .বাবা মার্ বড় সন্তান হিসাবে মাথায় তুলে নিতে হয় পাঁচ ভাইবোন ও মায়ের ভরনপোষনের দায়িত্ব .শুরু দারিদ্রের সঙ্গে কঠিন সংগ্রাম .বাধ্য হয়ে অনার্স ছেড়ে দিয়ে পাসকোর্সে স্নাতক ডিগ্রী সম্পূর্ণ করেন .সংসার টি বাঁচিয়ে রাখতে একমাত্র আয়ের উৎস কৃষিকাজে জড়িয়ে পড়তে হয় .ভয়ঙ্কর প্রতিকূলতার মাঝেই সংস্কৃতি ও সাহিত্যকে ধরে থাকেন .বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার যাত্রা ক্লাবে সুনামের সঙ্গে অভিনয় ও নির্দেশনায় যুক্ত থাকেন .লিখেন সংবাদ পত্রে পাঠকের ভাবনা কলমে .স্থানীয় পত্রিকায় ছোটগল্প ও কবিতা .নিয়মিত লেখেন আকাশবাণীর পত্রসাহিত্য বিভাগ প্রাত্যহিকী মহিলামহল মাননীয়েষু বুধসকালে .আকাশবাণী (অল ইন্ডিয়া রেডিও )এর সেরা পত্রকার হিসাবে সংবর্ধিতও হয়েছেন .লিখেছেন দুখানি যাত্রাপালা .বর্তমানে দুই ছেলে বৌমা নাতি নাতনি ও নব্বই ছুঁইছুঁই মাকে নিয়ে এক বড় পরিবার .অভ্যাসমত চাপের মাঝেও চলছে লেখালেখি .সঙ্গে যোগ হয়েছে আড্ডা ও ভ্রমন নেশা .মানুষের ভালবাসা তার পরম কাঙ্খিত ধন
1.)
কবিতা
সে জীবন
কবিতা
সে জীবন
বৃথাই বুনো স্বার্থের জাল
হৃদয় স্বপ্ন নীড়ে
মিথ্যা খোঁজা সোনার হরিণ
আশা নিরাশা র . ভিড়ে
পাবে না সুখ .শীতল ছোঁয়া
পুড়বে দুখ দহনে
আলেয়াকে ভাব যদি আলো
ডুববে আঁধার গহনে
যাদের তুমি ভাব আপন
তারা শুধু সুখপাখি
মিলবে না প্রতিদান কনা
অশ্রু তব ভরাবে আঁখি
তবে কেন এত তৃষ্ণা বুকে ?
কেন এত মোহ মায়া ?
এতো শুধু নির্মম বিবর্ণতা
মিথ্যা মরীচিকার কায়া
নাও খুঁজে সেই অন্য জীব
হৃদয় স্বপ্ন নীড়ে
মিথ্যা খোঁজা সোনার হরিণ
আশা নিরাশা র . ভিড়ে
পাবে না সুখ .শীতল ছোঁয়া
পুড়বে দুখ দহনে
আলেয়াকে ভাব যদি আলো
ডুববে আঁধার গহনে
যাদের তুমি ভাব আপন
তারা শুধু সুখপাখি
মিলবে না প্রতিদান কনা
অশ্রু তব ভরাবে আঁখি
তবে কেন এত তৃষ্ণা বুকে ?
কেন এত মোহ মায়া ?
এতো শুধু নির্মম বিবর্ণতা
মিথ্যা মরীচিকার কায়া
নাও খুঁজে সেই অন্য জীব
যা চির সুন্দর সত্য
যেথায় নেই হীন দীনতা
সঙ্কীর্ণতার বৃত্ত
চাও কি বরের চরম দান ?
তবে বুঝহ সত্ত্বর
জীবিকার চেয়ে জীবন খোঁজা
অনেক মহত্তর
মুছে ফেল সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব
বাড়াও তোমার হাত
নাও খুঁজে সেই অন্য জীবন
চেনাও মানব জাত
যেথায় নেই হীন দীনতা
সঙ্কীর্ণতার বৃত্ত
চাও কি বরের চরম দান ?
তবে বুঝহ সত্ত্বর
জীবিকার চেয়ে জীবন খোঁজা
অনেক মহত্তর
মুছে ফেল সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব
বাড়াও তোমার হাত
নাও খুঁজে সেই অন্য জীবন
চেনাও মানব জাত
2.)
কবিতা
আহ্বান..
কবিতা
আহ্বান..
শ্রেষ্ঠজীব মানুষ তুমি ভাই নিজমাঝে নিজেকে খোঁজো
সসীমের মাঝে অসীম তুমি
কেন সার নাহি বোঝো
ধ্বংসের পড় জাগে সৃষ্টি
রাত্রি আসে দিবাশেষে
মৃত্যুতে থাকে নবজীবন
ভয় কেন অমানুষে
পাষান ক্ষয়ে শতধারায়
বরফ গলে রবির তাপে
হৃদয় মাঝে উষ্ণতার পারদ
নিম্নমুখী কার শাপে
লোভ স্বার্থপরতা হিংস্রতায়
বাঁচা আজ খান খান
অমানবিক ঘৃণার স্রোতে
ভেসে যায় তাজা প্রাণ
বিকৃতকামী বর্বর দংশন
দহে ধর্ষিতা তনু
হিংসাঘাতে কাঁদে মানবাত্মা
বিবেক নতজানু
আনাচে কানাচে বঞ্চনা ক্ষোভ
চেতনা দিশাহারা
রক্তপিয়াসী হায়নার দাপটে
ক্ষতবিক্ষত ধরা
জাগো দুরন্ত দামাল তারুণ্য
ফেটে পড় রুদ্ররোষে
জ্বালাও বিদ্রোহ আগুন
মস্তিষ্কের কোষে কোষে
ঝেড়ে ফেল হতাশা বেদনা
জাগাও পৌরুষ
মুছে দাও ধূসর বিবর্ণতা
ফিরুক জৌলুস
সসীমের মাঝে অসীম তুমি
কেন সার নাহি বোঝো
ধ্বংসের পড় জাগে সৃষ্টি
রাত্রি আসে দিবাশেষে
মৃত্যুতে থাকে নবজীবন
ভয় কেন অমানুষে
পাষান ক্ষয়ে শতধারায়
বরফ গলে রবির তাপে
হৃদয় মাঝে উষ্ণতার পারদ
নিম্নমুখী কার শাপে
লোভ স্বার্থপরতা হিংস্রতায়
বাঁচা আজ খান খান
অমানবিক ঘৃণার স্রোতে
ভেসে যায় তাজা প্রাণ
বিকৃতকামী বর্বর দংশন
দহে ধর্ষিতা তনু
হিংসাঘাতে কাঁদে মানবাত্মা
বিবেক নতজানু
আনাচে কানাচে বঞ্চনা ক্ষোভ
চেতনা দিশাহারা
রক্তপিয়াসী হায়নার দাপটে
ক্ষতবিক্ষত ধরা
জাগো দুরন্ত দামাল তারুণ্য
ফেটে পড় রুদ্ররোষে
জ্বালাও বিদ্রোহ আগুন
মস্তিষ্কের কোষে কোষে
ঝেড়ে ফেল হতাশা বেদনা
জাগাও পৌরুষ
মুছে দাও ধূসর বিবর্ণতা
ফিরুক জৌলুস
3.)কবিতা
আজব লীলা
অনাদিকাল চলছে ভবে
ভাঙা গড়ার খেলা
লীলাবিলাসী বাজিকরের
এ এক আজব লীলা
কেউ বোনে ধংসের বীজ
কেউ করে সৃষ্টি
কেউ তুলে কালবৈশাখী ঝড়
কেউ স্বস্তির বৃষ্টি
কেউ ছড়ায় হিংসার বিষ
বিলায় প্রেম কেহ
কেউ মারে ঘৃনার চাবুক
কেউ বা করে স্নেহ
কেউ সমাজের বিভীষিকা
অমানিশার কালো
কারো মহানুভবতার সূর্য
জগতে দেয় আলো
কারো নিঠুর বর্বরতায়
ঝরে যায় প্রাণ
কারো উদার মানবিকতা
জীবন করে দান
লীলাময়ের করুনা ধারায়
অমঙ্গলই হারে
যুগে যুগে সুন্দরের জয়
দেখেছে সংসারে
অনাদিকাল চলছে ভবে
ভাঙা গড়ার খেলা
লীলাবিলাসী বাজিকরের
এ এক আজব লীলা
কেউ বোনে ধংসের বীজ
কেউ করে সৃষ্টি
কেউ তুলে কালবৈশাখী ঝড়
কেউ স্বস্তির বৃষ্টি
কেউ ছড়ায় হিংসার বিষ
বিলায় প্রেম কেহ
কেউ মারে ঘৃনার চাবুক
কেউ বা করে স্নেহ
কেউ সমাজের বিভীষিকা
অমানিশার কালো
কারো মহানুভবতার সূর্য
জগতে দেয় আলো
কারো নিঠুর বর্বরতায়
ঝরে যায় প্রাণ
কারো উদার মানবিকতা
জীবন করে দান
লীলাময়ের করুনা ধারায়
অমঙ্গলই হারে
যুগে যুগে সুন্দরের জয়
দেখেছে সংসারে
4.)কবিতা
প্রতীক্ষার আলো
প্রতীক্ষার আলো
সেটা ছিল সুস্বপ্নের রাত
সান্ত্বনার ঘুম ভাঙে মোরগের ডাকে
সকাল তখনো বেশ বাকি
শুধু ভোরের আবছা আভা জানালার ফাঁকে
সন্দিগ্দ্ধ মনে তাকাই বাহিরে
ভেসে যায় হালকা সাদা মেঘ নির্মল আকাশে
নেই মাঝ রাতের তারার ভিড়
শুধু দিগন্তে ঢলে পড়া মায়াবী ম্লান চাঁদ ভাসে
চারপাশের নিস্তব্ধতার ঘোর
ফুটন্ত রহস্যময় নৈসর্গিক ছবি ধরণীর বুকে
মন ভালো লাগা স্নিগধতা
টেনে নিই একবুক বিশুদ্ধ বাতাস প্রানভরে সুখে ফিসফাস ভাঙ্গায় আড়ষ্টতা নিঝুম গাছগাছালি
তোলে জাগরণী মৃদু মূর্ছনা যত পাখ পাখালি ফুলবন ভাষায় তার সুগন্ধি নির্যাস
বিলায় মিথি স্বাদ হালকা বাতাস
অপূর্ব মুহূর্ত ফুটে মনের দর্পনে
ডুবি মুগধ আবেশে অতি সন্তর্পনে
জীবন হারায় যত তাপ উত্তাপ
বিশ্বাস বৃন্তে ফোটে প্রত্যাশা গোলাপ
যায় উবে দীনতা বিষাদ যাপন
জাগে হৃদয়ে ভালোর মাতন
কুয়াশার চাদর ঠেলে আসে প্রতীক্ষার আলো
ভাসা মেঘ আর না যেন ঢাকে এটুকু ভালো
সান্ত্বনার ঘুম ভাঙে মোরগের ডাকে
সকাল তখনো বেশ বাকি
শুধু ভোরের আবছা আভা জানালার ফাঁকে
সন্দিগ্দ্ধ মনে তাকাই বাহিরে
ভেসে যায় হালকা সাদা মেঘ নির্মল আকাশে
নেই মাঝ রাতের তারার ভিড়
শুধু দিগন্তে ঢলে পড়া মায়াবী ম্লান চাঁদ ভাসে
চারপাশের নিস্তব্ধতার ঘোর
ফুটন্ত রহস্যময় নৈসর্গিক ছবি ধরণীর বুকে
মন ভালো লাগা স্নিগধতা
টেনে নিই একবুক বিশুদ্ধ বাতাস প্রানভরে সুখে ফিসফাস ভাঙ্গায় আড়ষ্টতা নিঝুম গাছগাছালি
তোলে জাগরণী মৃদু মূর্ছনা যত পাখ পাখালি ফুলবন ভাষায় তার সুগন্ধি নির্যাস
বিলায় মিথি স্বাদ হালকা বাতাস
অপূর্ব মুহূর্ত ফুটে মনের দর্পনে
ডুবি মুগধ আবেশে অতি সন্তর্পনে
জীবন হারায় যত তাপ উত্তাপ
বিশ্বাস বৃন্তে ফোটে প্রত্যাশা গোলাপ
যায় উবে দীনতা বিষাদ যাপন
জাগে হৃদয়ে ভালোর মাতন
কুয়াশার চাদর ঠেলে আসে প্রতীক্ষার আলো
ভাসা মেঘ আর না যেন ঢাকে এটুকু ভালো
5.)কবিতা
দেশমাতা ও তার ডাক
দেশমাতা ও তার ডাক
স্বপ্ন মাঝে হলো সে আবির্ভুতা
অবিন্যস্ত এলো কেশ
ক্ষতবিক্ষত রুক্ষ শরীর
জীর্ন মলিন বেশ
আঁধার ফুঁড়ে উঠল ঝরে
আলোক রাশি রাশি
এক চোখেতে ঝরছে বারি
আর এক চোখে হাসি
মমতাময়ী রূপের মাঝে
ঠিকরে পড়া জ্যোতি
ভস্মমাখা কাঞ্চনকনা
সাক্ষাৎ মাতৃমূর্তি
ক্লান্ত মুখের এমন মায়ায়
জাগালে কেমন টান
কোন গায়ের মাইয়া গো বলো
কার বা আম্মাজান
মধুর হাসির ঝর্ণা ঝড়ায়ে
বললে অভিমানী
নির্যাতিতা দেশমাতা গো আমি
সবার অভাগা রানী
দ্বীন মেহনতির সোহাগী মেয়ে আমি
স্বত্তভোগীর মা জান
কেবলি বাপ্ মা করে যত্ন লালন
পোলারা মোর শয়তান
তস্কর লোভীরা খুঁচিয়ে মারে
নীরবে আমি কাঁদি
শ্রমজীবীর লালনে এখনো
আশাতে বুক বাঁধি
স্থলে জলে শূন্যে উড়ে ধ্বজা
শ্রমজীবীর রক্ত ঘামে
লুটেরারা শুধু লুটতে থাকে
আমার সেবক নামে
ভন্ডরআ শোষণ করে ব্যাথা বাড়ায়
সম্ভ্রম কাড়ে রক্ত ঝরায়
অস্থির করে শান্তি সরায়
বারুদের গন্ধে বাতাস ভরায়
পাপীর পাপে পুন্য পালায়
সুখ নাই কারো ওদের জ্বালায়
তাই যাদের জীবনবাজি উপহারে
টিকে আছে মোর প্রাণ
সেই চির উপেক্ষিত দধীচিদের
করি আকুল আহ্বান..
ওগো পালক পিতা শ্রমিক মজুর
তোমরা দাঁড়াও ঘুরে
বজ্রনাডে লও কেড়ে সম্মান
ভন্ডদের হটাও দূরে
অবিন্যস্ত এলো কেশ
ক্ষতবিক্ষত রুক্ষ শরীর
জীর্ন মলিন বেশ
আঁধার ফুঁড়ে উঠল ঝরে
আলোক রাশি রাশি
এক চোখেতে ঝরছে বারি
আর এক চোখে হাসি
মমতাময়ী রূপের মাঝে
ঠিকরে পড়া জ্যোতি
ভস্মমাখা কাঞ্চনকনা
সাক্ষাৎ মাতৃমূর্তি
ক্লান্ত মুখের এমন মায়ায়
জাগালে কেমন টান
কোন গায়ের মাইয়া গো বলো
কার বা আম্মাজান
মধুর হাসির ঝর্ণা ঝড়ায়ে
বললে অভিমানী
নির্যাতিতা দেশমাতা গো আমি
সবার অভাগা রানী
দ্বীন মেহনতির সোহাগী মেয়ে আমি
স্বত্তভোগীর মা জান
কেবলি বাপ্ মা করে যত্ন লালন
পোলারা মোর শয়তান
তস্কর লোভীরা খুঁচিয়ে মারে
নীরবে আমি কাঁদি
শ্রমজীবীর লালনে এখনো
আশাতে বুক বাঁধি
স্থলে জলে শূন্যে উড়ে ধ্বজা
শ্রমজীবীর রক্ত ঘামে
লুটেরারা শুধু লুটতে থাকে
আমার সেবক নামে
ভন্ডরআ শোষণ করে ব্যাথা বাড়ায়
সম্ভ্রম কাড়ে রক্ত ঝরায়
অস্থির করে শান্তি সরায়
বারুদের গন্ধে বাতাস ভরায়
পাপীর পাপে পুন্য পালায়
সুখ নাই কারো ওদের জ্বালায়
তাই যাদের জীবনবাজি উপহারে
টিকে আছে মোর প্রাণ
সেই চির উপেক্ষিত দধীচিদের
করি আকুল আহ্বান..
ওগো পালক পিতা শ্রমিক মজুর
তোমরা দাঁড়াও ঘুরে
বজ্রনাডে লও কেড়ে সম্মান
ভন্ডদের হটাও দূরে
6.)কবিতা
তুমি আসবে বলে
তুমি আসবে বলে
তুমি আসবে বলে .যতনি কৌশলে
সাজায়েছি এ কুটির মোর
পথপানে চেয়ে .আগমনী গেয়ে
বিনিদ্র রজনী হলো ভোর
নব স্বপ্ন ঘোরে .পাতার মর্মরে
বারে বারে চাহি চমকি চোখে
আশা পিছে ঘুরি .আঁখি হলো ভারি
তবু কাটি কাল শঙ্কিত বুকে
নভ নীল মেঘ .বাড়ায় উদ্বেগ
বায়ু হলো বিষের আগার
পাতকের তাপে .দীল উঠে কেঁপে
আঁখি পাশে নেমেছে আঁধার
মাতৃ স্নেহ ধারা .হলো মূল্যহারা
কাঁদিছে দুঃখে জনক জননী
আত্মসুখ তরে .ফাঁকি দিয়া হ' রে
হাসিছে পামর সহোদরে হানি
রক্ত মাংস স্বাদে .হিংস্র উন্মাদে
ক্ষতবিক্ষত রমণিরতন
ধ্বংসের ছলে .মারণাস্ত্র বলে
রক্ত পিয়াসীরা কৰিছে যত্যান
বৈরিতায় ভরা .থরথর ধরা
প্রমাদ গণিছে সাধের পৃথিবী
উপেক্ষা বঞ্চনা .বাড়ায় যন্ত্রনা
ছড়াছড়ি ঘৃণ্য অকল্যাণ ছবি
নেই প্রতিবাদ .নেই শঙ্খনাদ
চেতনা বাঁধা স্বার্থের ফাঁদে
হিংসা রাজত্বে .শোষণ কশাঘাতে
জর্জরিত মানবাত্মা কাঁদে
প্রেম প্রীতি মায়া .হারায়েছে কায়া
লোভ লালসার তীক্ষ্ন বাণে
সত্য ন্যায় ধর্মে .ঢেকে মিথ্যা বর্মে
অত্যাচার মুঠি ধরে টানে
বিবেক গর্জন .হয়েছে বর্জন
তৃণসম শক্তিহীন হয়ে
বেদনার্ত মনে .শুধু তোমা পানে
প্রতীক্ষায় কাটে দিন ভয়ে
পাপাচারে হরি লয়ে শান্তি বারি
পুন্ হাসাবে জীবে এ ভূমন্ডলে
আঁধার টুটিবে .আলোক ফুটিবে
মহাকাল তুমি আসবে বলে
ধীরেন্দ্র নাথ বাঙাল
7.)
কবিতা
শিক্ষক
সাজায়েছি এ কুটির মোর
পথপানে চেয়ে .আগমনী গেয়ে
বিনিদ্র রজনী হলো ভোর
নব স্বপ্ন ঘোরে .পাতার মর্মরে
বারে বারে চাহি চমকি চোখে
আশা পিছে ঘুরি .আঁখি হলো ভারি
তবু কাটি কাল শঙ্কিত বুকে
নভ নীল মেঘ .বাড়ায় উদ্বেগ
বায়ু হলো বিষের আগার
পাতকের তাপে .দীল উঠে কেঁপে
আঁখি পাশে নেমেছে আঁধার
মাতৃ স্নেহ ধারা .হলো মূল্যহারা
কাঁদিছে দুঃখে জনক জননী
আত্মসুখ তরে .ফাঁকি দিয়া হ' রে
হাসিছে পামর সহোদরে হানি
রক্ত মাংস স্বাদে .হিংস্র উন্মাদে
ক্ষতবিক্ষত রমণিরতন
ধ্বংসের ছলে .মারণাস্ত্র বলে
রক্ত পিয়াসীরা কৰিছে যত্যান
বৈরিতায় ভরা .থরথর ধরা
প্রমাদ গণিছে সাধের পৃথিবী
উপেক্ষা বঞ্চনা .বাড়ায় যন্ত্রনা
ছড়াছড়ি ঘৃণ্য অকল্যাণ ছবি
নেই প্রতিবাদ .নেই শঙ্খনাদ
চেতনা বাঁধা স্বার্থের ফাঁদে
হিংসা রাজত্বে .শোষণ কশাঘাতে
জর্জরিত মানবাত্মা কাঁদে
প্রেম প্রীতি মায়া .হারায়েছে কায়া
লোভ লালসার তীক্ষ্ন বাণে
সত্য ন্যায় ধর্মে .ঢেকে মিথ্যা বর্মে
অত্যাচার মুঠি ধরে টানে
বিবেক গর্জন .হয়েছে বর্জন
তৃণসম শক্তিহীন হয়ে
বেদনার্ত মনে .শুধু তোমা পানে
প্রতীক্ষায় কাটে দিন ভয়ে
পাপাচারে হরি লয়ে শান্তি বারি
পুন্ হাসাবে জীবে এ ভূমন্ডলে
আঁধার টুটিবে .আলোক ফুটিবে
মহাকাল তুমি আসবে বলে
ধীরেন্দ্র নাথ বাঙাল
7.)
কবিতা
শিক্ষক
আপনি আদর্শ শিক্ষক এ সমাজের
উজ্জ্বল ভাস্কর
আপনি বরেণ্য নিষ্ঠাবান
সেরা মান্যবর
আপনি জ্ঞানের আলোক বর্তিকা
ব্রতী পন্ডিত প্রবর
যাহার কিরণ ছটায় আলোময়
আঁধার চরাচর
আপনি সংবেদী স্নেহশীল
সোহাগী সুন্দর
নবজীবন রূপকার আপনি
দক্ষ কারিগর
অনাড়ম্বর জীবন কান্ডারি আপনি
নিপুন প্রতিভাধর
দেশ জাতির মেরুদন্ড আপনারই
আদর্শ নির্ভর
সেই সম্মানীয় শিক্ষক আপনি
ভাবুন তৎপর
সমাজের আকাশে কেন উঠেছে
কালবৈশাখী ঝড় ?
আয়নার সামনে দাঁড়ান একটু
নিন নিজেকে দেখে
লোভ লালসার ছাপ কি রয়েছে
সেই নির্মল মুখে ?
শুভ্র সমুজ্জ্বল চরিত্রে কেন পড়ছে
অশ্লীলতার চিন্হ ?
নিরহংকার হৃদ সরোবরে কেন
বিকৃত প্রতিবিম্ব ?
শিক্ষক আপনি তাকান ফিরে
স্মরি নিজ গৌরব
আজকের শপথে হোক উদ্ভাসিত
শ্রদ্ধাঞ্জলি সৌরভ
উজ্জ্বল ভাস্কর
আপনি বরেণ্য নিষ্ঠাবান
সেরা মান্যবর
আপনি জ্ঞানের আলোক বর্তিকা
ব্রতী পন্ডিত প্রবর
যাহার কিরণ ছটায় আলোময়
আঁধার চরাচর
আপনি সংবেদী স্নেহশীল
সোহাগী সুন্দর
নবজীবন রূপকার আপনি
দক্ষ কারিগর
অনাড়ম্বর জীবন কান্ডারি আপনি
নিপুন প্রতিভাধর
দেশ জাতির মেরুদন্ড আপনারই
আদর্শ নির্ভর
সেই সম্মানীয় শিক্ষক আপনি
ভাবুন তৎপর
সমাজের আকাশে কেন উঠেছে
কালবৈশাখী ঝড় ?
আয়নার সামনে দাঁড়ান একটু
নিন নিজেকে দেখে
লোভ লালসার ছাপ কি রয়েছে
সেই নির্মল মুখে ?
শুভ্র সমুজ্জ্বল চরিত্রে কেন পড়ছে
অশ্লীলতার চিন্হ ?
নিরহংকার হৃদ সরোবরে কেন
বিকৃত প্রতিবিম্ব ?
শিক্ষক আপনি তাকান ফিরে
স্মরি নিজ গৌরব
আজকের শপথে হোক উদ্ভাসিত
শ্রদ্ধাঞ্জলি সৌরভ
8.)কবিতা
বিশ্বায়নের সভ্যতা
বিশ্বায়নের সভ্যতা
ছুটছে সভ্যতা বিশ্বায়নের ধ্বজা হাতে
বদলাচ্ছে জীবন নব্য ধারার প্রতি ভাতে
চিমনির ধোঁয়া ঢাকিছে স্বচ্ছ নীলাকাশ
হারাচ্ছে বিশুদ্ধতা জল মাটি বাতাস
হারাচ্ছে সবুজতা গুল্ম গাছ গাছালি
হারাচ্ছে জিন কত পশু পাখ পাখালি
হারায়েছে শান্তিনীড় সুশীতল ছায়া
হারায়েছে এ জীবন প্রেম প্রীতি মায়া
হারায়েছে লোকগাথা রাখালিয়া বাঁশি
হারায়েছে মজলিশ বাঁধভাঙা হাসি
হারায়েছে মাঝিকন্ঠে ভাটিয়ালি সুর
চাঁদের মায়ায় মন হয় না বিভোর
উঠে না চমকি মন জ্যোতিষ্ক ঝলকে
নদীর ছলাতে মন মাতে না পুলকে
হারায়েছে বিবেক বোধ মানবিক মনে
যাচিছে ভালোবাসা অর্থের ওজনে
নকল ভালোবাসায় প্রেমহীন ছাপ
মিথ্যার ভিতে ক্ষীণ অতি আন্তরিক ধাপ
হারায়েছে সভ্যতায় আবেগ অনুভূতি
আছে শুধু হাহাকার অ সুখ অতৃপ্তি
বদলাচ্ছে জীবন নব্য ধারার প্রতি ভাতে
চিমনির ধোঁয়া ঢাকিছে স্বচ্ছ নীলাকাশ
হারাচ্ছে বিশুদ্ধতা জল মাটি বাতাস
হারাচ্ছে সবুজতা গুল্ম গাছ গাছালি
হারাচ্ছে জিন কত পশু পাখ পাখালি
হারায়েছে শান্তিনীড় সুশীতল ছায়া
হারায়েছে এ জীবন প্রেম প্রীতি মায়া
হারায়েছে লোকগাথা রাখালিয়া বাঁশি
হারায়েছে মজলিশ বাঁধভাঙা হাসি
হারায়েছে মাঝিকন্ঠে ভাটিয়ালি সুর
চাঁদের মায়ায় মন হয় না বিভোর
উঠে না চমকি মন জ্যোতিষ্ক ঝলকে
নদীর ছলাতে মন মাতে না পুলকে
হারায়েছে বিবেক বোধ মানবিক মনে
যাচিছে ভালোবাসা অর্থের ওজনে
নকল ভালোবাসায় প্রেমহীন ছাপ
মিথ্যার ভিতে ক্ষীণ অতি আন্তরিক ধাপ
হারায়েছে সভ্যতায় আবেগ অনুভূতি
আছে শুধু হাহাকার অ সুখ অতৃপ্তি
9.)কবিতা
রাখিবন্ধন
রাখিবন্ধন
রাখি পূর্ণিমার পুন্য লগনে
সাদা মেঘ আকাশে ভাসে
বাঁধবে রাখি প্রেরণা প্রীতি
ভালবাসা ফুল ফোটানো আশে
পরাবে রাখি সুজন ভাইয়ের
বিশ্বস্ত সেই হাতে
যে হাত দেবে সোহাগ আশীষ
রক্ক্ষিবে অপঘাতে
যে হাত অপূর্বের দীপ জ্বেলে মনে
খুলে দেবে রুদ্ধ দ্বার আলোর অঙ্গনে
ভ্রাতৃত্বের স্নেহসুধা ছড়াবে অন্তরে
পুজিবে অনন্তে সাদা পবিত্র মন্দিরে
বজ্র কঠিন হবে কর্তব্যের টানে
বিতাড়িবে দুর্যোধন ও দস্যু দশাননএ
যোগাবে সবল সাহস নারী ও দুর্বলে
হানবে আঘাত হিংসা প্রতিহিংসা মুলে
সরাবে কদর্য জঞ্জাল ঘোচাবে অশ্রুজল
হীনতার পঙ্কে ফোটাবে প্রেম শতদল
মুছে দেবে বিস্বাদ নিরানন্দ প্রাণে
ভরাবে জীবন আনন্দে আলো বরিষণে
যে হস্ত পরশে হবে মানবাত্মা ধন্য
বিচরিবে হৃদ মাঝে বিবেক চৈতন্য
সেই হাত গড়ে উঠুক মানবের অঙ্গে
পুন্য হোক এ বন্ধন সুন্দরের সঙ্গে
সাদা মেঘ আকাশে ভাসে
বাঁধবে রাখি প্রেরণা প্রীতি
ভালবাসা ফুল ফোটানো আশে
পরাবে রাখি সুজন ভাইয়ের
বিশ্বস্ত সেই হাতে
যে হাত দেবে সোহাগ আশীষ
রক্ক্ষিবে অপঘাতে
যে হাত অপূর্বের দীপ জ্বেলে মনে
খুলে দেবে রুদ্ধ দ্বার আলোর অঙ্গনে
ভ্রাতৃত্বের স্নেহসুধা ছড়াবে অন্তরে
পুজিবে অনন্তে সাদা পবিত্র মন্দিরে
বজ্র কঠিন হবে কর্তব্যের টানে
বিতাড়িবে দুর্যোধন ও দস্যু দশাননএ
যোগাবে সবল সাহস নারী ও দুর্বলে
হানবে আঘাত হিংসা প্রতিহিংসা মুলে
সরাবে কদর্য জঞ্জাল ঘোচাবে অশ্রুজল
হীনতার পঙ্কে ফোটাবে প্রেম শতদল
মুছে দেবে বিস্বাদ নিরানন্দ প্রাণে
ভরাবে জীবন আনন্দে আলো বরিষণে
যে হস্ত পরশে হবে মানবাত্মা ধন্য
বিচরিবে হৃদ মাঝে বিবেক চৈতন্য
সেই হাত গড়ে উঠুক মানবের অঙ্গে
পুন্য হোক এ বন্ধন সুন্দরের সঙ্গে
১০.)
কবিতা
আমার মা
আমার মা
ঝাঁ চকচকে বাড়িটার পাশে
ছোট্ট টালির ঘরে
শীর্ণকায় ফোকলা বুড়ি
ময়লা কাপড় পরে
মাদুর পাতা ছেঁড়া বিছানায়
বসে সে চিন্ময় মুর্তি
পুটুর পুটুর তাকাই নিজের
সাজানো বাগানের প্রতি
কোন অভিযোগ খাটে না তার সবে আত্মসুখে ভাসে
মাতৃত্ব তার পায় না কদর
তা জানায় দীর্ঘশ্বাসে
তবু মমতাময়ী রূপটি তার
হয় না মোতে বদল
নাড়িছেঁড়া ধনে নিংড়ে দেয় তার
স্নেহমাখা শেষ সম্বল
রাতবিরেতে যখনই আমি
বাড়িতে রাখি পা
ক্ষীণস্বরে উঠে সে জিজ্ঞাসি
এলিরে তুই খোকা ?
আমার পদশব্দ মুখের ভাষা
সবই যে তার জানা
সেই উপেক্ষিতা অশীতিপর
আমার জন্মদাত্রী মা
ছোট্ট টালির ঘরে
শীর্ণকায় ফোকলা বুড়ি
ময়লা কাপড় পরে
মাদুর পাতা ছেঁড়া বিছানায়
বসে সে চিন্ময় মুর্তি
পুটুর পুটুর তাকাই নিজের
সাজানো বাগানের প্রতি
কোন অভিযোগ খাটে না তার সবে আত্মসুখে ভাসে
মাতৃত্ব তার পায় না কদর
তা জানায় দীর্ঘশ্বাসে
তবু মমতাময়ী রূপটি তার
হয় না মোতে বদল
নাড়িছেঁড়া ধনে নিংড়ে দেয় তার
স্নেহমাখা শেষ সম্বল
রাতবিরেতে যখনই আমি
বাড়িতে রাখি পা
ক্ষীণস্বরে উঠে সে জিজ্ঞাসি
এলিরে তুই খোকা ?
আমার পদশব্দ মুখের ভাষা
সবই যে তার জানা
সেই উপেক্ষিতা অশীতিপর
আমার জন্মদাত্রী মা
কালের স্রোতে দিয়ে পাড়ি মা
পেল বার্ধক্য চড়া
বেদখল হল সাধের সৌধ
স্বপ্ন ফুলে গড়া
হারালো সে চালিকা আসন
পেল কাঙালপনা
ফুটো চাল টালির ঘরে
কাটে দিন আনমনা
পায় কারো একটু খাতির
খায় অবজ্ঞার ভাত
আকাশ পানে তাকায়ে বলে কোথা তুমি নাথ ?
দেখো মোদের সাধের ধন
রেখেছে কেমন সুখে
সইতে আর পারি না ওগো
নাও এবে ডেকে
সকাতরে মা আমায় বলে
দিসনে ব্যথা ওরে
প্রতিটি ভোরের আসে বিকেল
জানাই আমি তোরে
কালের নিয়ম বড়ই নির্মম
শুধরে নে তুই বাছা
ভক্তিভরে বলরে অবুঝ
ক্ষমা করো গো মা
পেল বার্ধক্য চড়া
বেদখল হল সাধের সৌধ
স্বপ্ন ফুলে গড়া
হারালো সে চালিকা আসন
পেল কাঙালপনা
ফুটো চাল টালির ঘরে
কাটে দিন আনমনা
পায় কারো একটু খাতির
খায় অবজ্ঞার ভাত
আকাশ পানে তাকায়ে বলে কোথা তুমি নাথ ?
দেখো মোদের সাধের ধন
রেখেছে কেমন সুখে
সইতে আর পারি না ওগো
নাও এবে ডেকে
সকাতরে মা আমায় বলে
দিসনে ব্যথা ওরে
প্রতিটি ভোরের আসে বিকেল
জানাই আমি তোরে
কালের নিয়ম বড়ই নির্মম
শুধরে নে তুই বাছা
ভক্তিভরে বলরে অবুঝ
ক্ষমা করো গো মা