ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

ARTICLE'S CLUSTER এর কলমে কবি শুভদীপ পাপলু

কবি-পরিচিতি :
--------------------

শুভদীপ পাপলু-র জন্ম ১৮ নভেম্বর ১৯৮২ , হুগলী জেলার চুঁচুড়ায়। বাবা পেশায় ব্যবসায়ী,মা গৃহবধূ।কবিতার আবহেই বড় হয়ে ওঠা।
লেখালেখির সূচনা ছোট থাকতেই। প্রথম যৌথ কাব্যগ্রন্থ 'প্রতীক্ষা' প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে। সে সময় থাকলেও,বর্তমানে পদবীশূন্য।২০১৮ সালে শব্দসাঁকো থেকে যৌথ কবিতাপুস্তিকা 'কড়ি বরগায় প্রশান্ত ঢেউ-সমাপ্তিকা' বের হয় কোলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলায়। বর্তমানে শহর কলকাতা,মফঃস্বল ও গ্রামাঞ্চল থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা এবং ব্লগজিনে লেখালেখির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। বিয়ে ২০১৩ সালে,স্ত্রী শিক্ষকতার সহিত যুক্ত।



**************************************
১। বেলা, বোস নয়
     *************

সিঁদুর দান সমাপ্ত;লগ্নভ্রষ্টায়
এবার মালকোষ রাগ ধরো।

জানি,ডুবে যাব জলোচ্ছ্বাসেই।
তবু,যদি পরাগমিলনের নিগূঢ়
ইতিহাসে,হয়ে যায় কণ্যা বিদায়-

বা,বিধবা হয় নারী-সমগোত্রীয়...

তবে তাকে সন্ধিবিচ্ছেদ শিখিও;
যেহেতু,পুষ্পসজ্জিত এই তদ্ভব মূর্তি
হতে ক্ষরিত ' শ্রী শ্রী দুর্গায় নমঃ'।

সমকামে নিশ্চিহ্ন যত ছেদ-যতি,
তার চেয়ে অধিক কামাতুর,ধর্মও।

অনবদ্য তুমি;মূর্ত দৈহিক চলাচলে
যেন,হঠাৎ মৃত্যুর মতো,চোখ খোলা...

এই রূপ অর্জন করেছে বহু সুখ্যাতি।
কখনও জঙ্গলে,কখনও বা দাবানলে,
কারণ পা'দুটো দাঁড়িয়ে গেছে,বেলা!

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


২। লোপামুদ্রার মুদ্রাদোষ
     *******************

দুর্গা'কে উপভোগ করেছি,শখে
যুবক বেশে পাথরপ্রতিমা'তে-
মধ্যবয়সে তা ধরা পড়ে গেল।

বয়ঃসন্ধি ভিন্ন সুযোগ ফস্কালেও
সর্বদা থেকেছে আমারই পক্ষে...

শ্বেতবস্ত্রে ঢাকা সন্তান-সন্ততিতে।

পরিচারিকার ঠোঁটে মৃদুমন্দ তিল।

এ পরীক্ষা,প্রস্তাবিত কাঁচা টাকা,
কখনও ছুঁইনি ভগ্নাংশে,বা খরচে।
এখন লাল তারিখও সুবীর্যবান...
লোকগানের ধুন,কক্ষপথে অমিল

নিশ্চিন্তে চাঁদ নামে হাওড়া ব্রিজে
জলের প্রকোষ্ঠে জাগে নীহারিকা।

মনুসংহিতায় পরিযায়ী স্লোগান...

শুস্ক স্তন লোপামুদ্রার;শঙ্খচিল
ডানা ঝাপটায়,প্রযত্নে জনসমীক্ষা।

^^^^^^^^^^^^^^^


৩। সংলাপ
     ******

...অথচ বিপ্র সম্ভাষণে ধর্ম হয়,ধার্মিক বিচ্ছিন্না।
প্রব্রজ্যিকা;সুতরাং নিরুক্ত প্রজ্ঞা-পারমিতা
অক্লেশ বক্ষে নিমজ্জিত,হত শৃঙ্খলমোচন।
লোলুপ হরষে 'শ্রী শ্রী পুরুষোত্তম চন্দ্রিকা'য়
ও,পক্ষান্তরে শরণাপন্ন মন্ত্রে সন্তান জন্মায় শর্বরীর।
দিনান্তে,এই হল সুকর্ম;যে উচ্ছিষ্টে ক্লান্ত,গণদেবতা।
তবুও বর্ণমালা,তীব্র রহস্যময়ী এই শালগ্রাম শিলায়
নীরা'র বিপন্ন প্রত্নতত্ত্ব,কেন করেছো পাঠ্যসূচি?

বছরভর শয্যাসুখ রচিত হয় একাকিত্বে,সন্ন্যাসে।
তোমার বধ্যভূমি হতে উত্থিত আঁচলে,বর্ণমালা-
রামধনু সৃষ্টি হয়,অস্ফুটে।
তীক্ষ্ণ সেই-ই রশ্মিগুচ্ছ-অজুহাতছিন্ন,নবকলেবরের
অমোঘ শর্তাবলী,লিপিবদ্ধ করি,তৃষিত নয়নে।

বর্ণমালা,আমাকে প্রসবযন্ত্রণার উদাহরণে রেখো।

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


৪। স্তর
    ****

কবিতা'র দুর্গ উদ্ধার,সংকোচে।
সম্বল অভিনেত্রী,পরমুখাপেক্ষী-
'ব্যোমকেশ গোত্র' সত্য খুঁজছে
রহস্য যেন প্রায় শংঙ্কিত,সাবেকি।

শুক্রাণু খরচ তো নিঃশর্ত খাজনা।
শরীর শুনেছে,প্রভাতী আগমনী-
সহমরণ পুড়ছে,যেন অগ্নির প্ররোচনা
পেয়ে,নারী সেজেছে যুদ্ধের ধমনী।

অপরিচিত আজ সমস্ত শব্দার্থ।
ব্যর্থতা নেই একাদশী সৎকারে।
শুনেছি,পৃথিবী ঘুরে চলেছে অনবরত
অবরুদ্ধ স্নান,মানস সরোবরে...

প্রাচ্য অনেকাংশে গর্ভস্থ,প্রবন্ধে।
স্ত্রী' তো জন্মান্তরেই,দেহাতি ঝর্ণা-
বীতশ্রদ্ধ,বিষাক্ত,যোণিপথের মধ্যে
তুমি আয়ুস্মতী হও,মৃত্যু যন্ত্রণা...

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


৫। চলতে চলতে,একলা
     ******************

ভাত বেড়ে এনেছে,বাঙাল ভাষা।

দূর সম্পর্কে ছোট'দ্যাওর,মনোবিদ।

ঘামে,অবিশ্বাসে,কেবল সর্বনাশ-
বিপদসীমা ঘেঁষে বয়ে চলে নেশা।
আর,শবদেহ কাটে,প্রণয়ের সিঁধ।

এসো প্রেম,নব্য স্বৈরাচারী ভূমিকায়,
আত্মহত্যার প্রজন্মে হও স্বয়ংসম্পূর্ণা,
ভ্রম স্বয়ং ব্যর্থ হোক,সংশোধন ছাড়া।

লাখ টাকা উপেক্ষিত,বিচ্ছিন্ন কর্তায়-
যেন ধ্বংসের বিবিধ পিয়ানো শোনা
সরু কর্মফলে ত্রস্ত,ছদ্মবেশী মারিচ!

ঘুম থেকে রাত গড়িয়ে গেলে,ওরা
নাম রাখে প্রথম মেয়ের,'সম্ভাবনা'।

তবু,কবি'র রোদে পড়েছে,দু'টো স্টিচ।

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


৬। মৃগয়া,ও একটি সঞ্চারী রাগ
    *************************

কোষ্ঠী ও আনারকলি'র পৃথক দেহ ছুঁয়ে,অগ্রগামী
বিকৃতি যেদিন গুনেছে জনসংখ্যা,সেদিন অনাদরে
বুঝতে শিখেছি,হত্যার শিরোচ্ছেদ আমার জন্মভূমি
যে,নর-নারী রূপে পালিত হয়,অন্তঃস্বত্ত্বার জঠরে।

মৌলবাদী তাস ধ্বংসতর,পরমানু যুদ্ধ অপেক্ষায়
অথচ,এ দোষ সর্বগ্রাসী,রূপকার্থের দ্রাঘিমাংশে।
প্রণামী দিয়েছি যে মুহূর্তেই,নিচু হইনি ব্যর্থ ভিক্ষায়
শুধু,সঙ্গম সুখের লোভে,স্নান করেছি অগ্নি বেশে।

উদ্ধত মহাপ্রলয়ের তাল,পঞ্চবিংশতি দগ্ধ পরাধীন
এবং যাজ্ঞসেনী বৈদুর্য রহস্যে বস্ত্রহারা;নিয়ম মতো
আতংকিত ডানায় উপবাস;দিবানিশি বরফ কঠিন
হস্তাক্ষরে,নারী অভিশাপ নজরবন্দী,তবু উচ্চারিত।

সে তুমি বন্য গুপ্তচর,ওঁত পেতে জরায়ুর জ্বালামুখে
দুর্ধর্ষ অলস মিলনে রোজ জন্মাচ্ছি,উপন্যাস লিখে।

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


৭। স্বভাবী
     ******

ব্যূহে,যারা-স্বভাবী'র দু'পায়ে
হৃদপিন্ড সঁপেছে,তারা পৌরুষ
পরিত্যাগে,অনাদি দুস্থ বিগ্রহ।

মায়াধীন মোহধীন ভগ্ন সন্দেহে
ওদের সম্বল জরাগ্রস্ত মানুষ...

যেমন ভরসা হারিয়ে,উপকূলে
জন্মায়,জলোচ্ছ্বাসের আগ্রহ-
মৃত্যুর আশ্বাস। তোমার নির্দেশ
ডেকে পাঠায়,ক্ষুধার্ত গুরুগৃহে।

তারা খসে অগ্রভাগে,তারপরে
মিছিলে হয়েছিল গল্প ছাপা।

তাই,এ নাব্যতার অন্দরমহলে
হৃত সংকোচে,লিঙ্গের ত্রিশূল।

তুমি চুরি করে আনো দেবকৃপা...

জনগন দেখুক পলাশি প্রান্তরে
স্বভাবী গুনছে,যুদ্ধের মাশুল।

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


৮। শরম্
    *****

...অন্যথায়,ফিরে এসো স্বমহিমায়।

মনে পড়ে তাকে,সেই স্কটিশ মেষপালক!
যার,উদ্বাস্তু সঙ্গীত ছিল ক্রীতদাস,
তাঁর কন্ঠেই নাগরিক সমাজ,হোক
গৃহযুদ্ধের অন্তিম পরিণয়।

বেদুঈন,তুমি পুনরায় নাও কারাবাস।

বাদামী পেন্সিলে আঁকা অনুভূতি,
বিসর্জনের চাঁদে,মাননীয়-
যেহেতু ছন্দ মিলে গেছে,অনেকক্ষণ...

খোলা চুল ধরে,ধেয়ে আসে প্রতিশ্রুতি
কালের শেকলে,বাঁধা নগ্ন ছায়া-ও।

সুদে-আসলে মৃত,আপনজন-
প্রজা উদ্ধার,রাজকোষ সম্পূর্ন পরাস্ত।

তবু অনেকাংশে,এ অর্থ,সমোচ্চারিত...

এসো ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে,এসো নিরীহ
সিংহাসন;এসো শরশয্যা,করো অস্ত্রসংবরণ।

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


৯। বর্ণমালা
    ********

ধুলো জমে যাওয়া সেই অসুখ,
পরাধীন জাতীয় পতাকা...

কোন বাস্তুদোষে তাকে নিয়ে ঘর করি?

তবু আজ ধর্মান্তরিত,ফারুক।
বিজ্ঞাপনে একাই সে,মুখ্য ভূমিকা-
সরীসৃপের ন্যায় বোবা মড়কে
সে আসে জন্মান্তরের সংসারে;এখন
তাই,অগ্ন্যুৎপাতের মুখ,বন্য। যার
সমীকরণ ছুঁয়ে দগ্ধ প্রকোষ্ঠে
স্থির,'কুমোর পাড়ার গরু'র গাড়ি'।

তুমি অদ্ভুত শিবরঞ্জিনী সুরে
পুঁতে দাও নিষিক্ত দেবালয়-
যার সমস্ত বাহন,মৃত পাঠকের পাওনা।

প্রতিশব্দের ঠোঁট কেঁপে ওঠে আদরে...

বলো,কোন পুরুষ আমি,বর্ণমালা?
স্পর্শ কি সকল কে করা যায়!

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


১০। শোধ
       ****

এ-ভেলায় ভাসে না একটুও
বেহুলা'র অসুস্থ মেয়েবেলা।

ইন্দ্রের সুরা পান শেষ হলে,
ভিনগোত্রের অন্য কোনও
মেয়ে,সাজায় পুজোর থালা।

রোদ ছিল তোমারই করতলে।

বামিয়ান দিয়েছে সন্ত্রাসের দোহাই।
শিখেছি,বিপরীত গন্তব্য-ও
লেখার জন্য উপযুক্ত,কবিমহলে...

মা অভুক্ত মাতৃত্বের কাছেই।

আছে পার্থক্য,প্রশ্বাসে আর প্রবাদে?

ঘূর্ণাবর্তে মেশে ঈশ্বর বিরোধ।
কথা বলে ওঠে,পোড়ো মন্দিরটাও।

যেমন চাঁদ সওদাগরের ক্রোধে,
আগুন লাগায়,মৃত্যুর প্রতিশোধ...

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


১১। আশাবরী
        ********

শিয়রে ধূপধুনো জ্বলবে,আহা কেঁদে উঠবে কত শ্রী-
বিনিদ্র অলিগলি দিয়ে কাঁধে কাঁধ,ঠান্ডা হরিদ্বার
একদিন ডানা মেলো মাছরাঙা,নিখুঁত হোয়ো শর্বরী
সব দ্বন্দ্ব মিটে গেছে হত্যা আদায়ে,'উলঙ্গ রাজা'র!

চিতা নেভে না হাল্কা সুখে;উক্তি ধৃত আবৃত মৃতের।
যে চরিত্র উপস্থিত,সে কোন দুর্যোগে রাত কাটাবে?
নিথর সুগন্ধী উপভোগে ছোটাছুটি বুদ্ধিজীবিগণের-
অস্ত্রোদ্ধারের উপায় শিখিও,ইতিহাসখচিত স্বভাবে।

এ দেহ নিয়েছে পরিতাপ,ফলাফলে ভস্ম দো-টানা।
সংহার অনুমোদিত নিম্নচাপে,অথর্ব নিরুদ্দেশ যাত্রা
পরস্পরের অভিমুখ;দহনে এনো বান্ধবীর কুমন্ত্রণা-
আর,সন্তুষ্টি জাগ্রত হলে,সূর্যাস্ত পায় উদ্ধারকর্মীরা।

বিসর্জনের উত্থিত শর্তে হৃত ক্লান্তি,ধর্ষিতা কুমারী-
পাঞ্চজন্যের তর্পণে,সদ্যোজাত দেখেছে,আশাবরী।

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^

১২। এহ্সান
       *******

স্বপ্নের নেশা অপবিত্র,ভিক্ষায় অর্জিত তহবিল-
লাঞ্ছনাতেই উধাও সংসার,অতিভুজে শঙ্খচিল।
উপলক্ষ্যের ভাঁজে অতিথি এল,গান্ধার নক্সায়।
দুর্বল হেসে কামরাঙা ঠোঁট ফিরে যাক,হতাশায়।

মহামারী'র কোজাগরী ধন,সাতরঙা এহ্সান ...
সলতে জ্বলা বৌঠান!মেরে পাস্ আও,মেহেরবান।
ভাষার কাঁধে,কবিতা'র দেহ চিরাচরিত নির্লীপ্ত-
অবশিষ্ট জ্যামিতি,যেন আপেক্ষিক উপদ্রব বেষ্টিত।

অনেকটা এক্স-রে'র মতো দেখতে নখের সোহাগ,
অকস্মাৎ জাতীয়তাবাদী শব্দ,'ভাগ মিলখা ভাগ',
সম্পাদ্যের মিলনে দো-ফসলি বিন্দুর কাতর আর্জি
শাস্তি পাওয়াই তো একান্ত অধিকার,প্রিয়তম মর্জি।

কামরাঙা ওই ঠোঁট'ই,পড়ন্ত বারবেলা'র ঋণ মকুব।
ওই যৌণতাই তিন তালাক,সংখ্যালঘু'র শেষ ডুব-
পদার্থবিদ্যায়;আদর্শ বিবেক জন্মান্ধ,আংশিক মুক্ত,
শহরতলির অনশনেই চাপা পড়ে যায়,ভগবৎ তত্ত্ব।

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


১৩। নিবিড়
       ******

উর্বর ব্যস্ত ভূগোলে যেভাবে বিভিন্ন শরীর ক্ষয়ে যায়
সেভাবে অন্তর্বাস রোদে সাক্ষী রাখি কুমারী মা'কে,
আটচালা মহিলা'র বিপক্ষে নব্য ধর্মগ্রন্থ;জিজ্ঞাসায়
উদভ্রান্ত পরিযায়ী বেশে স্বাভাবিক,ধূর্ত পরলোকে।

এখন আইন-কানুনে অণুকবিতার চতুর সংগ্রহ
হাঁক দিচ্ছে,'অক্ষরের সঙ্গীত বাজাবে বিদ্রোহী,সুর'-
উচ্চারণের নিচে লীনতাপ খসিয়ে,বিদুষী মোহ,
ব্যাকরণে ধ্বংস হচ্ছে;মন তাই অপরিচিত,রোদ্দুর।

তবু জনৈক সুন্দরি কণ্যার তারিখে শিখি,একাগ্রতা।
স্বেচ্ছায় অন্তর্যামী বিচ্ছিন্ন মতান্তর,ব্যূহে আক্রান্ত।
মৃত্যু'র অজানা,দুর্দিনে কোথায় শুয়েছিল পতিব্রতা!
বনেদি ষোড়শী'ও সেদিন শুদ্ধ ছিলো;আজ বিগত।

যতোটুকু বিশল্যকরণী,উদ্ভবে শুধুই বংশের ধারা-
জরায়ু'তে রাত কাটিয়ে সহ্যে পৃথক,পাওনাদার'রা।

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


১৪। স্বয়ংবরা
       ********

আজ তোমাকে বলতেই হবে,অন্তঃসলিলা-

বিকলাঙ্গ রাষ্ট্রের মতো এক সন্তানসম্ভবা'কে
কি উদ্দেশ্যে শুনিয়েছো,গীতবিতান?

সৃষ্টিকর্তা'ও স্বেচ্ছাবসরের প্রাক্কালে,ধার্মিক।
জানি নুয়ে পড়বে,জল জমবে;জবাবী বিতর্কে
বীতশ্রদ্ধ,'নিগ্রো ভাই আমার,পল রবসান'।

আজ আমাকে করতেই হবে,রিপুসংযম-
ছেঁড়া নামতার সংখ্যালঘু শূন্যেই।

কিংবা অদৃষ্ট পোষিত অবাধ্য 'সঞ্চয়িতা'য়
পরিকল্পনাপ্রসূত মদনভস্মের ছাড়পত্র'কে
মৃত্যু অবধি বদনাম করে,গ্রহদোষেই
চাঁদ ঝরাব;গোপন কক্ষে দেবো প্রতিমা ভাসান।

নত,তোমার দাবি মতো;শুধু অপচয় বিহীন
দেওয়াললিখনে দাগানো,শিল্পী'র শেষ টান।

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^


১৫। মহীয়ান
       *******

আজও বিজ্ঞান ভেজে জনশ্রুতিতে
আজও রক্ত মেপে চলেছে দৈর্ঘ্যপ্রস্থ
আজও মা,ভাত বেড়েছে গণসঙ্গীতে
পোড়ো কথায় মিথ্যেরা অনুমোদিত।

ধরা পড়েছিল শ্রেণি সংগ্রামের খুঁত
তোমার দৃষ্টি কাজললতা বিহীন...
অমাবস্যার দেহে বৃষ্টির ছোপ অদ্ভুত
সুপারহিট,মহানায়িকা'ও পরাধীন-

খুন করেও জামিনযোগ্য,এ স্বদেশে।
মরে যেতেও জীবনবীমা দরকার।
ধরা যাক আজ মহাসমুদ্রের অবকাশে
রবীন্দ্রনাথই,শব কবিতা'র সৎকার।

আয়ুরেখা ছেঁড়া,মেজো রাজার প্রস্থানে।
ছন্দ নিহত উৎসব সংখ্যার পদবাচ্যে-
সন্ন্যাস নিয়েছি মাঝবয়স্কার নাচ গানে,
শিল্পীর মতো দেবীর স্তনে,নিঃসংকোচে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন