ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

[ বিজয়া বৈঠক লোগো হবে এখানে]


[ সুদীপ্ত'র ছবি ]

     __________সমাপ্ত ____________
সুদীপ্ত + অরূপঃ- শুভ বিজয়া সক্কলকে
আজ আমাদের সঙ্গে আছে তিন জন পরিচিত নতুন মুখ

রায়বাবু কবিতাওয়ালা, আজাহারুল ইসলাম, আর অনুব্রতা গুপ্ত

প্রথমেই তোমাদের শুভ বিজয়া জানাই

রায়বাবুঃ-প্রথমেই সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
ও কোজাগরী লক্ষী পূজার শুভেচ্ছা।।

অনুব্রতাঃ-শুভ বিজয়া সবাইকে 😊

সুদীপ্তঃ-এখনও আমাদের মধ্যে এসে পৌঁছায়নি আজাহারুল ইসলাম


যাই হোক আমি সুদীপ্ত আর আমার সাথে আছে জলফড়িং-র  দৈনিক সম্পাদক অরূপ সরকার।

অরূপঃ- নমস্কার, শুভ বিজয়া

সুদীপ্তঃ-আজ কবিতা পাঠ, আড্ডা, আলোচনা করব এখানে তাই আমরা সামিল হয়েছে এই তিনজন মানুষকে নিয়ে।

প্রথমেই চলে যাবো সেই ব্যক্তির কাছে যে চারলাইনে মুগ্ধ করে রেখেছে মানুষকে।
তার লেখায় খুব ভালো করে সমাজের বুকে চাবুক লেগে থাকে।
বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন রায়বাবু কবিতাওয়ালা।

দাদা কেমন কাটলো পুজো?

রায়বাবুঃ-খারাপ নয়,তবে ভালোও নয়।
কারন পুজোতে হঠাৎ করে চারটে পোগ্রাম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মনটা একটু ভেঙেি গেছে।


সুদীপ্তঃ-দাদা ওই ছোটো করে ৪-৮ লাইন একটা লেখা পাঠ করো তোমার।

রায়বাবুঃ- আলোচনায় আছি আজ,
কবিতাতে নেই।
সুদীপ্ত ঃ- না দাদা একটা কবিতা তো শুনবই


[ রায়বাবু কবিতা ভিডিও ]

অরূপঃ-বাহ্ মুগ্ধ আমরা।( জানাবেন কেমন লাগলো আপনাদের)



সুদীপ্তঃ- এবারে সেই মেয়েটি যে মেসবালক লিখেছিল, লিখে থাকে মনের কথা, লিখে লিখে বুঝতে শেখায় শরীর দেওয়া কত্ত সোজা।
হুম সে আর কেউ নয় অনুব্রতা গুপ্ত।

সুদীপ্তঃ- দিদি কেমন কাটলো পুজো?

অনুব্রতাঃ-পুজো এবার একদম আলাদা ছিলো কারণ দেশে ফেরা ছিলো।দেশে ফেরার টানে পুজো শুধু পুজো নয় একটা টাইমফ্রেম হয়ে গেছিলো।

সুদীপ্ত ঃ-এবার পুজোর স্পেশাল কোনদিনটা ছিল তোমার কাছে?

অনুব্রতাঃ-সপ্তমী।আমার প্রথম ক্যামেরার সামনে অভিনয় ছিলো।একটা সর্ট ফিল্মে।নামটাও "অকাল বোধন"!

সুদীপ্তঃ- কবে বেরচ্ছে সর্ট ফ্লিমটা?

অনুব্রতাঃ-হয়তো ডিসেম্বরে।এখনো শিওর নই।

অরূপঃ-দিদি ওই ছোটো করে ৪-৮ লাইন একটা লেখা পাঠ করো তোমার

অনুব্রতাঃ-পুজো সংক্রান্তই করছি।তবে কবিতা নয়।


[ এখানে অনুব্রতা দির ভিডিও ]

সুদীপ্তঃ-দারুণ লাগল ( তোমাদের কেমন লাগল জানাবে দর্শক বন্ধুরা)


সুদীপ্তঃ-এবার যার কাছে যাবো বুঝতেই পারছেন আপনারা সেই মানুষটি যে তার মেয়ের নাম রাখবে আয়েশা আর ডাকবে দুর্গা বলে, যে কোনো ভাবেই প্রেমিকা অভাবে একলা নয় নিজেই নিজের সাথে ঘুরে পুজো কাটাতে পারে এবং সেরকমই বার্তা দেয়েছি,যদিও তার প্রেমিকার অভাব নেই সেই বিষয়ে পরে বলছি। হ্যাঁ এবারে আসছি আজাহারুল ইসলামের কাছে।


দাদা কেমন কাটলো পুজো?

আজাহারুলঃ-খুব খুব ভালো,ঈদ ঈদ অনুভূতি পেয়েছি


সুদীপ্তঃ-দাদা ছোটো করে ৪-৮ লাইন একটা লেখা পাঠ করো তোমার


[ আজাহারুলের ভিডিও হবে এখানে ]

অরূপ+সুদীপ্তঃ-আহা ( আপনাদের কেমন লাগল জানাবেন)


সুদীপ্ত ঃ-আচ্ছা রায়বাবুর আসল নাম কি জানাটা খুব দরকার নাকি না জানলেও চলবে?

রায়বাবুঃ- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
তোমাদের ভালোবাসায় বেঁচে থাকুক রায়বাবু নামটি।

সুদীপ্তঃ-আচ্ছা দাদা নতুন কিছু পদক্ষেপ তোমার?

রায়বাবুঃ-এখন কিছু ভাবছিনা লেখালিখি-পড়াশোনা ও গান ছাড়া।

সুদীপ্তঃ- দাদা বই নিয়ে কিছু ভাবছো না?

রায়বাবুঃ-নাহ্ বইয়ের পিছনে ছুটবো,আরেকটু সময় পর।


সুদীপ্তঃ- আচ্ছা এবার আমি আমাদের সম্পাদক স্যার অরূপ সরকারকে অনুব্রতাদি'কে কিছু বলার জন্য বলব।

অরূপঃ-নমস্কার দিদি ,আমি অরূপ তোমার সাথে এই প্রথম আড্ডায়
তোমার লেখা গুলো মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ বলবে নাকি শুধুই লেখা?

অনুব্রতা দিঃ-মনের অলিগলি নিয়ে খেলা করাই আমার কাজ।সেটা কখনো কবিতায় কখনো এমনি।মানুষ আর মানুষের চরিত্র,চিন্তাভাবনা,আচরণ এগুলো আমাকে ভাবায়।বিস্মিত করে।



সুদীপ্তঃ-আজাহারুল ইসলাম কম লিখছে, কেন? নাকি
আজাহারুল দা তোমার বই কি আসছে এই বইমেলায়?

আজাহারুলঃ-লিখছি কম, কারণসামনেই একটা পরীক্ষা আর বই প্রকাশের কাজ চলছে।




সুদীপ্তঃ-আচ্ছা অনুব্রতা দিএতো হুমকি, তাতে ভয় পেয়েছ তুমি। আচ্ছা তাদের জন্য একটা লাইন।

অনুব্রতাঃ-তাদেরও ভালো হোক।
মানুষ অকারণে অন্যকে তখনই টার্গেট করে যখন সে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে সুখী বা নিশ্চিন্ত নয়।সুস্থতা কামনা করি।আর অবশ্যই চাই সবাই আমার বইটা পড়ুক।

সুদীপ্তঃ-রায়বাবু কবিতাওয়ালার মেয়ে বন্ধু কটা?

রায়বাবুঃ-ফেসবুকে না বাস্তবে?

আমরা সবাইঃ- সবেতেই

রায়বাবুঃ- ফেসবুকে৭০% আর বাস্তবে ১০%

অরূপঃ-দিদি তুমি যেহুতু প্রবাসে থাকো দেশে ফেরার ঘোর টা কতটা উপভোগ কর?

অনুব্রতাঃ-হুম অনুভব আর উপভোগ দুইই করি।দূর থেকে অনেককিছুই বেশি কাছের মনে হয়!


সুদীপ্তঃ-আঞ্চলিক কবিতা তোমাদের চোখে ঠিক কী? ( সবার জন্য প্রশ্ন এটা)

রায়বাবু'র উত্তরঃ-দেখো বর্তমানে আঞ্চলিক কবিতা আমাদের মানুষের কথা বেশী শোনায়।তুলে আনে সমাজের মনস্তত্ত্ব।ফুটিয়ে তোলে দৈনন্দিনের  খুঁটিনাটি।

অনুব্রতা'র উত্তরঃ-খুব ইন্টারেস্টিং লাগে এই ব্যাপারটা।আলাদা আলাদা জায়গার ভাষাশৈলী, সেখানকার সমাজের চিত্র স্বচ্ছ ভাবে তুলে ধরে।

আজহারুল'র উত্তরঃ-কিছুই না একটা দাগ কবিতা তো কবিতাই।

সুদীপ্তঃ-কবি শ্রীজাত  আর কবহ সুবোধ -র মধ্যে কাকে তোমরা ১০০ দেবে? ( এটাও সবার জন্য প্রশ্ন)

রায়বাবুঃ-কঠিন প্রশ্ন।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে এমন উত্তর দেওয়া সত্যিই কঠিন।
তবে দুজনের প্রতিভাই আমাকে মুগ্ধ করে।

অনুব্রতাঃ-কাউকেই নয়।কারণ আমি মনে করি কবিতার উৎকর্ষ আকাশের মতো।ছোঁয়া যায় না।

আজাহারুলঃ-কেউ ১০০ পেতে পারেনা ওরা
৮০-৯০,১০০ তো রবীন্দ্রনাথ

★[ একে অপরের কেমন লাগে জানি চলুন  ]★

সুদীপ্তঃ- রায়বাবু'র কাছ থেকে শুনব তার চোখে লেখিকা অনুব্রতা?
রায়বাবুঃ-প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব লেখিকা অনুব্রতা।
(যেটুকু পরিচয় ঘটলো তার সাপেক্ষে)

সুদীপ্ত সেনঃ- অনুব্রতা'র মুখ থেকে শুনব তার কাছে আজাহারুল ইসলাম?
অনুব্রতাঃ-আজাহারুলের বেশ কিছু লেখা মন ছুঁয়ে যায়।বেশ ম্যাচিউর।শুভেচ্ছা অফুরান।

সুদীপ্তঃ- এবার জানতে চাইব আজাহারুল দা তোমার চোখে রায়বাবু কবিতাওয়ালা?
আজাহারুলঃ-অনেকটা ভরসার মতো,আসলে
ওহ খুব প্রতিবাদী,এটাই আমাকে টানে ওর দিকে।


★চলুন জেনে নিই, নতুম দের কী বলতে চাও তোমরা, যারা তোমাদের মতো জনপ্রিয় হওয়ার আশা রাখে।★

আজাহারুলঃ-দেখুনজনপ্রিয়তা অভিনেতাদের দায়বদ্ধতা কবির না, তবে কবিতার জনপ্রিয় হবার দায় রয়েছে। সেটার চেষ্টা ওরা করতে পারে

রায়বাবুঃ-আমি এটুকু বলতে পারি আমি এমন সংগঠন গড়ার জন্য মুখিয়ে আছি,যেখান থেকে নতুন কিছুজনকে তুলে আনা যায়।

অনুব্রতাঃ-জনপ্রিয় হওয়ার জন্য কখনোই কিছু করিনি।জনপ্রিয়তার পিছনে না ছুটে নিজের কাজকে ফোকাস কর।কাজকে ভালোবেসে কাজ করো।সেটাই একমাত্র দায়বদ্ধতা।

অরূপ সরকারঃ- কেমন লাগল আজকে তোমাদের "জলফড়িং-র" এই বিজয়া বৈঠক?

অনুব্রতা দিঃ-বেশ ভালো লাগলো।অন্যরকম।

আজাহারুল দাঃ-সত্যিই খুব ভালো লাগলো,
কিন্তু আমি এমনভাবে এই সময়টা ব্যস্ত হয়ে পড়েছি, তাই খুব একটা খুলে কথা বলতে পারলাম না, ভালো পদক্ষেপ জলফড়িংএর

রায়বাবু দাঃ-বেশ ভালো লাগলো সকলের সাথে সময় কাটাতে পেরে।
ধন্যবাদ ও আগামীর শুভকামনা সকলকে।


সুদীপ্তঃ- একদম শেষ পর্ব আর আমরা জানি যার শেষ ভালো তার সব ভালো। তাই শেষ টাকে আরও ভালো করার জন্য কবিতাওয়ালার গাওয়া একটা ছোট্টো গান শুনব কয়েক লাইন।

[ এখানে গানের ভিডিও টা হবে]


সুদীপ্ত + অরূপ ঃ-বিদায়, সকলে ভালো থাকবে, আরও লিখে চলো, আনন্দ দিয়ে চলো আমাদের মতো শত শত পাঠক দের।



ভিডিও এডিটঃ- মানস খাঁড়া

[ মানস দা ছবি ]

প্রকাশকঃ- অরূপ সরকার

[ অরূপ দার ছবি ]


এডিটর ঃ- সুদীপ্ত সেন

[ সুদীপ্ত'র ছবি ]

     __________সমাপ্ত ____________

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন