ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮

বিমোহন / কান্তিলাল দাস

জলের কিনার ছুঁয়ে উড়ছ অনন্তবার
একবার এদিকে একবার সেদিকে
বিমোহনে পড়ে গেলে নাকি !
কী দেখ ? নিজবিম্ব, না মাছেদের খেলা,
শ্যাওলার অভিষেক
নাকি দেখ  শান্তজলে মেঘেদের  স্তম্ভিত মুখ !

জলপ্রিয় হে ফড়িঙ ! এ তোমার
আজন্ম আশ্চর্য ভালবাসা
তুমি তো ঘাসের তত নও, নও তুমি
প্রসাধনপ্রিয় মানুষের ঘনিষ্ঠতাকামী ।
জল ঘিরে তোমার সাধনা
যেন জেনে গেছ
জীবনের আর নাম জল,- জল ছেড়ে গেলে
সমস্ত বিস্বাদ বুঝি স্বচ্ছ অনুভবে !

গাছেদের ছায়া কি দেখো, বিকেলের রোদ
চোখে পড়ে নাকি
পাণকৌড়ির ডুব কিংবা মাছরাঙাদের
বিশেষ ক্ষমতা ?

শব্দ নেই, ভাষা নেই, নেই কোনো উচ্চাকাঙ্খা তোমার
আশ্চর্য প্রশান্তি নিয়ে উড্ডীন -হে জলফড়িঙ
চাহিদাহীন ক্ষুদ্র জীব এক
জলের কিনারে
বায়ুলাঞ্ছিত কিন্তু ভাবলেশহীন ছন্দ তুলে
একবার হেথা আর একবার হোথা
নিঃশব্দ মন্ত্র জপ করেই চলেছ !

রাত্রি নামে
কোথা থাকো চুপ করে শিশিরে ও হিমে !
সকালে দেখবে বলে জরিপে নেমেছে
ক্লান্তিহীন পাখা তোমার
খোঁজো নাকি ক্লেশ, ক্ষতি জলদুর্গতের ?

হেমন্ত বিকেল বড় দ্রুত ডেকে নেয় সন্ধ্যাকাল
হাঁসেরা ফিরলে ঘরে
তুমি কোথা ফেরো ? ঐ স্তব্ধগাঢ় শরবনে নাকি !
হে জলফড়িঙ ,-
সকালে নরম রোদে
দেখি যেই,স্বভাববশতঃ তোমাকেও বলি সুপ্রভাত, হয়ত শোনো না

তাতে কিবা যায় আসে
তুমি এলে
ভৈরবী বেজে চলে অদৃশ্য সেতারে
তেমন তেমন হলে
মাতায় পূরবী !
...................

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন