ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮

'  শ্রীহিট ' নাকি ' ও!শিট' !


সালটা ২০১০। বুম্বাদার সাথে পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের ঘোষের সম্পর্কে শৈত্য বেড়েছে  বেশ । ঋতুর ছবির এক সময়ের অটোমেটিক চয়েস বুম্বা আজ পুরোপুরি ব্রাত্য । দেব , জিতের ধাক্কায় বাণিজ্যিক সিনেমার বাজারেও বেশ পিছনের সারিতে টলিউডের বাদশা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ; তবে কি ইন্ডাস্ট্রিতে শেষের দিন আসন্ন ' রাজু আঙ্কেল' -এর !


এমন হাজার দোলাচলের মাঝেই পুজোয় সে বছর ভেঙ্কটেশ ফিল্মস নিয়ে এল একজোড়া নতুন ছবি । একটি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে সব থেকে বড় বাজেট , ৫কোটির ছবি ' দুই পৃথিবী ' ; প্রথমবারের জন্য পর্দা ভাগ করে নিলেন দুই সুপারস্টার দেব এবং জিত ;বাংলা ছবি প্রথমবারের জন্য পাড়ি জমালো ইতালিতে  । দ্বিতীয়টি অভিষেককারী চিত্রপরিচালক,  জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালেয়ের অর্থনীতির ছাত্র সৃজিত মুখার্জির  অত্যন্ত অল্প বাজেটের ছবি ' অটোগ্রাফ ' যার মুখ্য চরিত্রে আছেন টলিউডের বুম্বাদা । সবাইকে অবাক করে তথাকথিত অন্য ধারার সিনেমা ' অটোগ্রাফ' কমপ্লিট করল প্লাটিনাম জুবিলি । বছরের সেরা হিট । ততদিনে ছবিতে আরেক অভিষেককারী , অনুপম রায়ের কন্ঠে ' আমাকে আমার মতো থাকতে দাও ' সবার মুখে মুখে । উত্তমকুমার অভিনীত ' নায়ক ' ছবির অনুপ্রেরণায় তৈরি এই ফিল্ম  বক্সঅফিসের পাশাপাশি জিতে নিল সমালোচকদের মনও । সত্যজিতের অসাধারণ কর্মযজ্ঞের হুবুহু কপি এই ছবি কখনই নয় , বরং , পরিচালক পুরোনো সেই থিমকেই আরও নিপুনতার সাথে ফ্রেমে বাস্তবায়িত করলেন এক জনপ্রিয় অভিনেতা অরুণ চ্যাটার্জির বিতর্কিত  জীবনের চিত্রনাট্যে।




ফেলুদা, ব্যোমকেশপ্রেমী বাঙালি মৌলিক চিত্রনাট্যের থ্রিলার মুভির স্বাদ সেভাবে পায়নি তখনও  । ২০১০ এর পুজোয়  দর্শকের সেই অভাব মেটাতে,  প্রসেনজিৎ , আবির , পরমব্রত প্রমুখের মতো সুপারস্টারদের নিয়ে এক জমজমাট রোমাঞ্চকাহিনী উপহার দিলেন পরিচালক সৃজিত । ' বাইশে শ্রাবণ ' ছবিতে সব চেয়ে বড়ো প্রাপ্তি কবি নিবারণের ভূমিকায় গৌতম ঘোষের অনবদ্য অভিনয় । প্রবীর রায়চৌধুরির  চরিত্রে বুম্বাদার আভিজাত্য বুঝিয়ে দিল ' শুক্কুর বারের পর্দায় এখনও তিনিই রাজা । ' ফিল্মরিলিজের আগেই সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়ের গানে  মাতোয়ারা হল বাঙালি শ্রোতা । পরপর দুটো উৎসব মরসুমে পেজ থ্রিতে রাজ করলো একটাই নাম , সৃজিত মুখার্জি ।



এবার আর পুজো অবধি অপেক্ষা নয় , ২০১২এর জুলাইতে হলে এলো মুখার্জিবাবুর ' হেমলক সোসাইটি ' , যার ট্যাগলাইন ' মরবে , মরো, ছড়িয়ো না । ' আবারও ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের প্রযোজনাতেই সম্পূর্ণ নতুন স্বাদের এক সাইকোলজিক্যাল রোমান্স । সৃজিতের অশ্বমেধ এবারও রাজ করল বক্সঅফিসে । বাণিজ্যিক সিনেমার মেগাস্টার কোয়েলকে দিয়ে জীবনের সেরা অভিনয়টা করিয়ে নিলেন সৃজিত । প্রতিটি পদক্ষেপেই জেতার চিহ্ন রেখে যেতে শুরু করলেন পরিচালক সাহেব  । সাথে রমরমিয়ে কমতে  থাকলো ছবির সঙ্গীত পরিচালক অনুপমের ফাঁকা ডেট ।


ইতিমধ্যে ফেলুদা , ব্যোমকেশ মিলিয়ে প্রায় হাফ ডজন গোয়েন্দা ছবি দেখে ফেলেছে বাংলার  দর্শক । সৃজিত হাত দিলেন সুনীলে। কাকাবাবু টলিউডের শাহেনশা বুম্বাদা । ' মিশর রহস্য' গল্প অবলম্বনে তৈরি এই ছবি ২০১৩ এর পুজোয় কালেকশনে হার মানালো দেবের ' রংবাজ' কে ।


এ যাবৎ ভেঙ্কটেশ প্রযোজিত সৃজিত নির্দেশিত এ সকল চলচ্চিত্রের প্রত্যেকটিই শুধু যে মা লক্ষ্মীর ভাঁড়ারকে সমৃদ্ধ করেছে, তা নয় । সঙ্গীত , চিত্রনাট্যের পাশাপাশি সংলাপ চয়নেও এনেছে এক নতুন রেনেসাঁস । ' হেমলক সোসাইটি ' -তে কোয়েলের প্রেমপ্রস্তাবের প্রত্যুত্তরে পরমব্রতের " গাঁড় মেরেছে। আবার ওসবের কী দরকার ছিল ? " কিংবা ' অটোগ্রাফ'-এর ' লাইট-ক্যামেরা-লাভ ' বাঙালি ' মনে রেখে দেবে'  আজীবন । ' বাইশে শ্রাবণ'-এর সেই বিখ্যাত কথন 'জীবনে ভাত-ডাল আর বিরিয়ানির তফাৎ বুঝতে শেখো, একটা নেসেসিটি আর একটা লাক্সারি । ' অথবা ' কে উন্মাদ আর কে নয় , সেটা ডিপেন্ড করছে, তুমি পাগলাগারদের কোন দিকটায় আছো ।'  ---যেন বাঙালি জীবনের বেদবাক্য ।


এরপর ঘর বদলান সৃজিত । পরপর ৪ টি ব্লকব্লাস্টার ছবির পর তিনি পা রাখলেন ' রিলায়েন্স'-এর রথে । ২০১৪ এর জানুয়ারিতে এল যিশু সেনগুপ্ত, স্বস্তিকা , আবির , বুম্বাদা অভিনীত ছবি ' জাতিস্মর' । ' অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি' -এর অনুপ্রেরণায় তৈরি এই ফিল্মের চোখজুড়ানো সিনেমাটোগ্রাফি মুগ্ধ করে সমালোচকদের । কুশল হাজরা এবং অ্যান্টনির দ্বৈত চরিত্রে টলিউড বাদশার অভিনয় বাংলা ছবির ইতিহাসে এক বিশাল মাইলফলক । কিন্তু টলিউডের সর্বাধিক প্রভাবশালী প্রযোজক সংস্থার ছবি না হওয়ায় সিঙ্গেল স্ক্রিনে প্রায় অপ্রদর্শিতই থাকে এই ছবি । ফলে ব্যবসায়িক দিক দিয়ে অসফল ' জাতিস্মর '। শেষ দৃশ্যে অসাধারণ মোচড়ে হৃদয়হরণকারী চিত্রনাট্য আসল ফসল ঘরে তোলে মে মাসে চারটি জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়ে  । সেরা মেকআপ ও পোশাকের পাশাপাশি ' এ তুমি কেমন তুমি' -এর জন্য  সেরা গায়কের পুরস্কার জিতে নেন রূপঙ্কর । সাথে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কবির সুমন নিখুঁত দক্ষতায় বাংলা সঙ্গীতের বিবর্তনকে তুলে ধরেন পুরস্কার ছিনিয়ে নিতে ।


'চতুষ্কোণ' রিলিজ করে ২০১৪তে,  উৎসবের মরসুমে। গৌতম ঘোষ , পরমব্রত, কৌশিক গাঙ্গুলি , অপর্ণা সেন অভিনীত চলচ্চিত্র আবার সিটে বসে থাকতে বাধ্য করে বিশ্লেষকদের । ছবির সেরা চমক অবশ্যই চিরঞ্জিতের প্রত্যাবর্তন । প্রত্যয়ের সাথে বুঝিয়েছেন যে , কেন তিনি একসময় একার হাতে ইন্ডাস্ট্রি শাসন করতেন । তবে আবারও পুজো মরসুমে হল সংকটে মুখ থুবড়ে পড়ে এই ফিল্ম । কিন্তু  অনুপমের সুরারোপিত এই ছবির মাধ্যমে ' বসন্ত এসে ' যায় সৃজিতের ক্যারিয়ারে  । সেরা চিত্রনাট্যের পাশাপাশি সেরা পরিচালকের জাতীয় মুকুট এবার দখল করেন তিনি ।


এবার ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার পালা । ২০১৫ এর মে তে সদ্য জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত সৃজিতের পরিচালনায় নতুন ছবি পর্দায় আনে  শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মস । নাম ' নির্বাক ' । সিনেমার সংজ্ঞাই বদলে দেয় এই  ছবি। সময়ের চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে থাকা সৃজিতবাবু দৃশ্যায়িত করেন প্রেমের নতুন এক চিত্রপট । চারটি  অব্যক্ত প্রেমকাহিনিকে এক সুতোয় গাঁথেন পরিচালক । অঞ্জনের আত্মসম্মোহন , যিশুর প্রতি তার পোষা ল্যাব্রাডরের নির্বাক প্রেম  বা পার্কে যিশুর প্রেমিকা , বলি দিভা সুস্মিতা সেনের প্রতি গাছের অব্যক্ত অধিকারবোধ --- স্তম্ভিত করে তাবড় সমালোচকদেরও। শেষ গল্পে মর্গে আসা সুস্মিতা সেনের মৃতদেহের প্রতি মর্গকর্মী ঋত্বিকের ভালোবাসা সিনেমাটিকে নিয়ে যায় অন্য উচ্চতায় । এই ছবি হলে হলে  হাউসফুল হওয়ার আশা হয়তো পরিচালক নিজেও করেননি , হওয়ার কথাও নয় , হয়ওনি । কিন্তু বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম দশে পাকাপোক্ত জায়গা দাবি করতেই পারে  ' নির্বাক' ।


সাল ২০১৫।আবারও ভেঙ্কটেশের ব্যানার । আবারও সৃজিত । আবারও ব্লকব্লাস্টার । এবার টলিক্যুইন ঋতুপর্ণার নেতৃত্বে প্রিয়াঙ্কা , জয়া এহসান সহ এক ঈর্ষণীয়  মহিলা ব্রিগেডকে সাথে নিয়ে জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক নিয়ে এলেন ' রাজকাহিনি ' । দেশভাগের দগদগে ক্ষতকে আরও একবার উস্কে দিলেন সীমান্তে থাকা এক বেশ্যাবাড়ির গল্প দিয়ে । তাদের লড়াই পুনরুজ্জীবিত করল দর্শকের জাতীয়তাবোধকে । ফল আরেকটি মেগাহিট । বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও প্রশংসা কুড়িয়ে নিলেন সৃজিতবাবু । অভিভূত বলিউড প্রযোজক মহেশ ভাট হিন্দিতে এই ছবিটিই পুনর্নির্মাণ করেন সৃজিতের পরিচালনায়  । নাম  ' বেগমজান ' । মুখ্য চরিত্রে মেগাস্টার বিদ্যা বালান। পটভূমি পাঞ্জাব ।


ফিল্মি বাজারে হঠাৎ এখন বেশ শক্তিশালী থাবা বসিয়েছেন আরেক পরিচালক যুগলবন্দি শিবপ্রসাদ মুখার্জি ও নন্দিতা রায় । 'প্রাক্তন' , ' বেলাশেষে' দিয়ে দর্শক মননে সৃজিতের একছত্র আধিপত্যের অংশীদার হতে শুরু  করেছেন তারা ও । এহেন পরিস্থিতিতে পরিচালক পুজোয় হাজির করলেন তার ক্যারিয়ারের জঘন্যতম কাজ , ' জুলফিকার' । প্রসেনজিৎ, দেব , যিশু , কৌশিক, অন্কুশ  প্রমুখের কাছ থেকে সেরা অভিনয়টা আদায় করে নিলেও, তার দুর্বল চিত্রনাট্য ব্যাপক নিন্দিত হয় সর্বত্র । অভিনেতাদের ব্যক্তিগত ফ্যানবেসে নির্ভর করে  ছবিটি বক্সঅফিসে উতরে গেলেও,  হলফেরত দর্শক ছবি নিয়ে ছিল যথেষ্ট হতাশ । গ্রাফ পড়তে শুরু করলো মহারথীর।


২০১৭ এর পুজোয় নীললোহিতের ' পাহাড়চূড়োয় আতঙ্ক' অবলম্বনে আবারও কাকাবাবু সিরিজের ' ইয়েতি অভিযান' বানাতে গিয়ে কিছু শিশুসুলভ ভুল করে বসলেন  মহাপরিচালক । গল্পকে পর্দায় আকর্ষণীয় করতে গিয়ে গ্রাফিক্সের সাহায্যে গোয়েন্দা গল্পকে পরিণত করলেন রূপকথায় । সুনিপুণ প্রচারকৌশল ও বুম্বাদার অভিনয়ে ভর দিয়ে ব্লকব্লাস্টারের তকমা পেলেও , সিনেমার কিছু সিরিয়াস দৃশ্য কমেডি ছবিকেও হার মানায় ।


সৃজিত বেশ আটঘাট বেঁধে নামলেন পরবর্তী  ছবি ' উমা'য় । কানাডার মারণ রোগাক্রান্ত শিশু  ইভান লেভরসেজের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিতে নভেম্বর মাসে নির্ধারিত সময়ের আগেই তার শহর জুড়ে পালিত হয় ক্রিসমাস । সেই ঘটনার অনুপ্রেরণায় নির্মিত  'উমা'  ছবিতে এন. আর.আই. যিশু , মুমূর্ষু  মেয়ের কলকাতায় দুর্গাপুজো দেখার উৎসাহের দামে দিতে বিপুল ব্যয়ে কল্লোলিনীতে আয়োজন করলেন  মার্চ মাসে দুর্গোৎসব বা অকালবোধন। যিশু , অঞ্জন দত্তের সাথে পাল্লা দিয়ে এই ইমোশনাল গল্পে অভিনয় করেন যিশুর ছোট্ট মেয়ে সারা । বর্ষিত হয় মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ । সৃজিত কিছুটা হলেও দর্শকের মন রাখতে সমর্থ হন এবার  । শ্রবণেনন্দ্রিয়কে স্বস্তি দেয় অনুপম রায়ের সুরে দেওয়া গানগুলি । তবে , আবেগের ওভারডোস দিতে গিয়ে পরিচালক মশায় কোথাও  যেন ছবির কলকাতানিবাসী চরিত্রদের দু-একটি মশলামুভিসূচক অবাস্তব চারিত্রিক পরিবর্তন দেখিয়ে ফেলেন  যা বিস্মিত করে দর্শককুলকে ।

২০১৮ এর পুজোয় সৃজিত নিয়ে এলেন পার্থ চ্যাটার্জির ' আ রয়্যাল ইম্পোস্টর ' নামক  ঐতিহাসিক দলিল অবলম্বনে নির্মিত ' এক যে ছিল রাজা ' যা প্রদর্শিত করল বাংলার বিখ্যাত ভাওয়াল সন্ন্যাসী কোর্টকেসকে । পূর্বে অনুরূপ গল্প নিয়ে তৈরি উত্তমকুমারের ' সন্ন্যাসী রাজা ' এর তুলনায় এ ছবিতে কোর্টরুম ড্রামার ভূমিকা অনেকখানি বেশি , যা বেশ চিত্তাকর্ষক হয়ে ওঠে দর্শকদের কাছে । যিশু রাজার ভূমিকায়  যথাসাধ্য চেষ্টা করে জীবনের সেরা কাজটি উপহার দিতে চাইলেও,  মহানায়কের তুলনায় তা  নেহাতই নগণ্য । জয়া এহসান ছাড়া গল্পের বাকি  চরিত্রদের পূর্ববঙ্গীয় ভাষার প্রয়োগ বড়ই নাটুকে । এটুকু বিচ্যুতি বাদ দিলে সৃজিতবাবু এবারও বেশ সফল, তবে ' চতুষ্কোণ ' বা ' নির্বাক' -এর মতো নির্মেদ ছবি হয়ে ওঠেনি ' এক যে ছিল রাজা । '



এখন প্রশ্ন হচ্ছে , সমালোচনায় ভীষণভাবে প্রতিক্রিয়াশীল সৃজিতবাবুর গ্রাফ কী পড়ছে ?এই  লেখকের মতে , তার পারফরমেন্স নিম্নগামী । একসময় বছরে একটি  করে কালজয়ী ছবি বানানো পরিচালকের এখন বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা প্রায় তিন । একটি রিলিজ হতে না হতেই অপরটির শ্যুটিং শুরু  হয়ে যাচ্ছে  । গল্প লেখার সময় মিলছে কম । ফলে জাতীয় পুরস্কারজয়ী চিত্রনাট্যকারের  কমছে নিজস্বতা । সৃজিতের চরিত্র তৈরির বুনোট বা সংলাপের মাধুর্যকে অস্বীকার করতে পারবে না তামাম নিন্দুকও । তবে ' বাইশে শ্রাবণ ' বা ' জাতিস্মর ' প্রসবকারীসূচক  চিত্রনাট্য যেন আর আসছে না সৃজিতের কলমে । কিছুটা অনুপ্রেরণা আর কিছুটা চমকের মকটেল বানিয়ে বক্সঅফিসের মুনাফা লুঠতেই ব্যস্ত তিনি । পরিচালক সৃজিত মুখার্জি বা হবু প্রযোজক সৃজিত মুখার্জি যদি চিত্রনাট্যকার সৃজিত মুখার্জিকে আর একটু বেশি সময় দেন , তবে হয়তো জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে তার নামটা পরিবর্তনহীন অব্যয় হয়ে থেকে  যাবে ।নাহলে ....... ' অটোগ্রাফ' -এ বুম্বাদাকে আঠারোবার একই শট দেওয়ানো লোকটাকে আমরা খুব মিস করি স্যার ।




                   Chiranjit Saha
                   Poramatala Road
                   Mahaprabhu Para More
                   Nabadwip, Nadia
                   Pin 741302
                   Phn 7001383909

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন