--------- নিমন্ত্রণ----------
---মলয়---
বাস থেকে নেমে রাই দৌড়ে ছুটে আসে নীলের দিকে। সামনে এসে থমকে দাঁড়ায় কিছক্ষন। আজ
দশ বছর পর প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা। একটু সংকোচ হচ্ছে মনে মনে। কিন্তু নীলের কোনো সংকোচ নেয়। কি রে সুন্দরী এতদিন পর বন্ধুর কথা মনে পড়লো? আর এসে হাজির ও হয়ে গেলি। বেশ। চল বসে একটু আড্ডা দেই। অনেকদিন আড্ডা দেইনা তোর সাথে।
আমায় সুন্দরী বলছিস? তুই তো এমন হ্যান্ডসাম যে কোনো মেয়েই একবার দেখেই প্রেমে পড়ে যাবে। তো কটার সাথে চলছে শুনি?
ওওও তাই?? এটাই তো দুঃখ রে। তোর মতো ভাবনাটা বুঝি সব মেয়েরাই ভাবে আমায় দেখে বুঝলি। এত সব আছে ভেবে নিয়েই হয়তো কেউ আজো বলেনি যে আমার জন্য করো ভালোলাগা বা ভালোবাসা জন্মেছে। অর্থাৎ প্রপোজ করেনি কেউ। তো তোর যখন ভালো লাগে আমায় আর বলেও ফেললি প্রথম মেয়ে হিসেবে তবে তোকেই বিয়েটা করে নেবো ভাবছি। তবে তা অবশ্যই প্রেম করে। কি বলিস??
সত্যি বলছিস? তবে বলবো তোদের এখানকার মেয়েদের বুকে পাটাও নেই, চোখ ও নেই। তুই যে একটা জিনিয়াস মাল সেটা কি এখানে কেউ জানে? নাকি আগের মতোই লুকিয়ে রাখিস নিজেকে মানুষের সামনে? তোর মুখটা দেখলেই তো বোঝা যায় যে জিনিয়াস। কেমন একটা সিরিয়াস বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী ভাব। তবে কথা বললেই বোঝা যায় কত খোলা মেলা স্বাভাবিক মানুষ তুই। স্কুলে যখন প্রথম দেখি তোকে আমিই কথা বলার সাহস করে উঠতে পারিনি। তুই যদি ওখান থেকে চলে না আসতি তবে হয়তো এতদিনে আমি তোর বাচ্চার মা হয়ে যেতাম রে।
হা হা হা----- তবে তো ভুল ই করে ফেলেছি, কি বলিস?
হুম একদম। এত দিন পর দেখা হল কিছু খেতে বলবি না?
দেখেই কি খিদে পেয়ে গেল? তো খা না । কে মানা করেছে।
কিছু বলেছিস যে খাবো?
বলতে হবে কেন? কয়েকটা চুমু খেয়ে নে এমনিতেও কাছে পিঠে তেমন কেউ নেই।
ইচ্ছে তো করছে কিন্তু কি করবো বল। সে সৌভাগ্য কি আছে আমার? যে মেয়েটা তোর জন্য নিজেকে সযত্নে গুছিয়ে তৈরি করছে তার অধিকারে হস্তক্ষেপ করি কোন স্পর্ধায়? সত্যি বলছি তুই আমার বন্ধু কিন্তু যানিনা কেন তোকে শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছে করে খুব। নিজেকে খুব সুখি আর সেপ্টি লাগে তোর সাথে থাকলে।
তো থাকতে পারতিস সারা জীবন। সুখি থাকতিস।
না। কিছু কিছু মানুষকে নিজের করে পাওয়ার চেয়ে বন্ধু হিসেবে পেতেই ভালো লাগে। তোকে স্বামী হিসেবে পেলে হয়তো সেই সম্মানটা দেওয়া হত না।
একটু বেশি বাড়া বাড়ি হয়ে গেলনা বলাটা। তোর মতো যদি সবাই সন্মান দিতে শুরু করে তবে তো হোলো। বউ জুটবেনি আর ইহো জন্মে। হে মা জননী, মা দূর্গ আমায় রক্ষা করো।
সত্যি বলছি নীল,তুই অনেক বড় মাপের মানুষ। সেটা সুধু তুই জানিস না। তোর মত পুরুষকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার ভাগ্যে সবার থাকেনা। আমি গর্ব করি এই ভেবে যে তুই আমার বন্ধু । তোর প্রত্যেকটি গল্প আর কবিতা সংকলন আমি পড়েছি। তার মধ্যে তোর সেই কথা গুলো খুজে পাই। সেই শৈশব, সেই স্কুল জীবনের সব স্মৃতি খুজে পাই। তুই সব কথা রেখেছিস। পাল্টাস নি এক ফোঁটাও। কাঙালিকে নিয়ে লেখাটা আমার চোখে জল ভরে দেয়। কাঙালী বেচে নেই কিন্তু তুই জীবন্ত করে রেখেছিস তোর গল্পে।
কি করে ভুলবো বল? আমার শৈশব কেটেছে ঐ গাঁয়ে। সেই ধুলো মেখে বড় হয়েছি একসাথে। কে কাঙাল আর কে অধম সে খোঁজ তো শৈশব করেনা। এক থালায় খেয়ে একসাথে মানুষ হয়েছি। স্কুলে চলে গেছি দল বেঁধে। সে তো আমারই পরিবার।
মাসি কেমন আছেন রে? আমাদের কথা মনে আছে ওনার?
আমি কি করে বলবো? চল গিয়ে দেখে আয় নিজে চোখে, মনে আছে কি নেই।
এই ধর আমার বিয়ের কার্ড। আগামী সপ্তাহে আমি আর সুশান্ত বিয়ে করছি। আসবি অবশ্যই।
ঠিক আছে।
তুই না এলে কিন্তু বিয়ের পিড়িতে সববোনা। কথা দিয়েছিলি নিজে কোলে তুলে ছাদনা তলায় পৌছে দিবি। ভুলিস না যেনো।
হুম। সুশান্ত কি করে এখন? চাকরি বাকরি পেয়েছে।
না। চাকরি-বাকরি, ধন-দৌলতকে নয়, সুশান্তকে বিয়ে করছি। যেটুকু যোগায় চলে যাবে ছোট্ট জীবনটা। বেশি তো চাওয়া নেই।দু’বেলা দুমুঠো ভাত আর মোটা কাপড়, ব্যাস।
কেন যে ছেরে এসেছিলাম তোদের। নইলে তো সব আমার হত। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি খুব সুখি হ।
পরের জন্মে অপেক্ষা করবো তোর জ্ন্য। তবে হ্যা এত হ্যান্ডসাম হয়ে জন্মাইস না। ভয় লাগে প্রপোজ করতে।
ঠিক আছে ঈশ্বর কে বলবো।
আসি বন্ধু, বাই🙋। লাভ ইউ।
লাভ ইউ টু💝---।
---মলয়---
বাস থেকে নেমে রাই দৌড়ে ছুটে আসে নীলের দিকে। সামনে এসে থমকে দাঁড়ায় কিছক্ষন। আজ
দশ বছর পর প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা। একটু সংকোচ হচ্ছে মনে মনে। কিন্তু নীলের কোনো সংকোচ নেয়। কি রে সুন্দরী এতদিন পর বন্ধুর কথা মনে পড়লো? আর এসে হাজির ও হয়ে গেলি। বেশ। চল বসে একটু আড্ডা দেই। অনেকদিন আড্ডা দেইনা তোর সাথে।
আমায় সুন্দরী বলছিস? তুই তো এমন হ্যান্ডসাম যে কোনো মেয়েই একবার দেখেই প্রেমে পড়ে যাবে। তো কটার সাথে চলছে শুনি?
ওওও তাই?? এটাই তো দুঃখ রে। তোর মতো ভাবনাটা বুঝি সব মেয়েরাই ভাবে আমায় দেখে বুঝলি। এত সব আছে ভেবে নিয়েই হয়তো কেউ আজো বলেনি যে আমার জন্য করো ভালোলাগা বা ভালোবাসা জন্মেছে। অর্থাৎ প্রপোজ করেনি কেউ। তো তোর যখন ভালো লাগে আমায় আর বলেও ফেললি প্রথম মেয়ে হিসেবে তবে তোকেই বিয়েটা করে নেবো ভাবছি। তবে তা অবশ্যই প্রেম করে। কি বলিস??
সত্যি বলছিস? তবে বলবো তোদের এখানকার মেয়েদের বুকে পাটাও নেই, চোখ ও নেই। তুই যে একটা জিনিয়াস মাল সেটা কি এখানে কেউ জানে? নাকি আগের মতোই লুকিয়ে রাখিস নিজেকে মানুষের সামনে? তোর মুখটা দেখলেই তো বোঝা যায় যে জিনিয়াস। কেমন একটা সিরিয়াস বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী ভাব। তবে কথা বললেই বোঝা যায় কত খোলা মেলা স্বাভাবিক মানুষ তুই। স্কুলে যখন প্রথম দেখি তোকে আমিই কথা বলার সাহস করে উঠতে পারিনি। তুই যদি ওখান থেকে চলে না আসতি তবে হয়তো এতদিনে আমি তোর বাচ্চার মা হয়ে যেতাম রে।
হা হা হা----- তবে তো ভুল ই করে ফেলেছি, কি বলিস?
হুম একদম। এত দিন পর দেখা হল কিছু খেতে বলবি না?
দেখেই কি খিদে পেয়ে গেল? তো খা না । কে মানা করেছে।
কিছু বলেছিস যে খাবো?
বলতে হবে কেন? কয়েকটা চুমু খেয়ে নে এমনিতেও কাছে পিঠে তেমন কেউ নেই।
ইচ্ছে তো করছে কিন্তু কি করবো বল। সে সৌভাগ্য কি আছে আমার? যে মেয়েটা তোর জন্য নিজেকে সযত্নে গুছিয়ে তৈরি করছে তার অধিকারে হস্তক্ষেপ করি কোন স্পর্ধায়? সত্যি বলছি তুই আমার বন্ধু কিন্তু যানিনা কেন তোকে শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছে করে খুব। নিজেকে খুব সুখি আর সেপ্টি লাগে তোর সাথে থাকলে।
তো থাকতে পারতিস সারা জীবন। সুখি থাকতিস।
না। কিছু কিছু মানুষকে নিজের করে পাওয়ার চেয়ে বন্ধু হিসেবে পেতেই ভালো লাগে। তোকে স্বামী হিসেবে পেলে হয়তো সেই সম্মানটা দেওয়া হত না।
একটু বেশি বাড়া বাড়ি হয়ে গেলনা বলাটা। তোর মতো যদি সবাই সন্মান দিতে শুরু করে তবে তো হোলো। বউ জুটবেনি আর ইহো জন্মে। হে মা জননী, মা দূর্গ আমায় রক্ষা করো।
সত্যি বলছি নীল,তুই অনেক বড় মাপের মানুষ। সেটা সুধু তুই জানিস না। তোর মত পুরুষকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার ভাগ্যে সবার থাকেনা। আমি গর্ব করি এই ভেবে যে তুই আমার বন্ধু । তোর প্রত্যেকটি গল্প আর কবিতা সংকলন আমি পড়েছি। তার মধ্যে তোর সেই কথা গুলো খুজে পাই। সেই শৈশব, সেই স্কুল জীবনের সব স্মৃতি খুজে পাই। তুই সব কথা রেখেছিস। পাল্টাস নি এক ফোঁটাও। কাঙালিকে নিয়ে লেখাটা আমার চোখে জল ভরে দেয়। কাঙালী বেচে নেই কিন্তু তুই জীবন্ত করে রেখেছিস তোর গল্পে।
কি করে ভুলবো বল? আমার শৈশব কেটেছে ঐ গাঁয়ে। সেই ধুলো মেখে বড় হয়েছি একসাথে। কে কাঙাল আর কে অধম সে খোঁজ তো শৈশব করেনা। এক থালায় খেয়ে একসাথে মানুষ হয়েছি। স্কুলে চলে গেছি দল বেঁধে। সে তো আমারই পরিবার।
মাসি কেমন আছেন রে? আমাদের কথা মনে আছে ওনার?
আমি কি করে বলবো? চল গিয়ে দেখে আয় নিজে চোখে, মনে আছে কি নেই।
এই ধর আমার বিয়ের কার্ড। আগামী সপ্তাহে আমি আর সুশান্ত বিয়ে করছি। আসবি অবশ্যই।
ঠিক আছে।
তুই না এলে কিন্তু বিয়ের পিড়িতে সববোনা। কথা দিয়েছিলি নিজে কোলে তুলে ছাদনা তলায় পৌছে দিবি। ভুলিস না যেনো।
হুম। সুশান্ত কি করে এখন? চাকরি বাকরি পেয়েছে।
না। চাকরি-বাকরি, ধন-দৌলতকে নয়, সুশান্তকে বিয়ে করছি। যেটুকু যোগায় চলে যাবে ছোট্ট জীবনটা। বেশি তো চাওয়া নেই।দু’বেলা দুমুঠো ভাত আর মোটা কাপড়, ব্যাস।
কেন যে ছেরে এসেছিলাম তোদের। নইলে তো সব আমার হত। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি খুব সুখি হ।
পরের জন্মে অপেক্ষা করবো তোর জ্ন্য। তবে হ্যা এত হ্যান্ডসাম হয়ে জন্মাইস না। ভয় লাগে প্রপোজ করতে।
ঠিক আছে ঈশ্বর কে বলবো।
আসি বন্ধু, বাই🙋। লাভ ইউ।
লাভ ইউ টু💝---।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন