ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

   [পাইকরের রথকথা]
-----------------------কলমে সুদীপ্ত সেন

আমাদের পাইকরে এই একখানায় রথ,মুখার্জী বাড়ির উদ্যোগে এই রথখানি পাইকরের রথযাত্রার হিসেব বয়। নিয়ম করে বিকেলবেলা থেকে শুরু হয়  এই রথযাত্রা। মুখার্জী বাড়ির ছেলেরাই এই রথের ওপর চড়ে, আমার কৌতহল হতো খুব এখনও হয় সেটা হলো বাজারপাড়ার ছেলেরা যেমন ভাবে, এই তো উচ্চমাধ্যমিকটা পাশ করলেই তারপরই দূর্গাপূজোর চাঁদা তুলতে পারব কী মজা, তারাও( মুখার্জী বাড়ির ছেলেরা) কী এইভাবেই দিন গোনে কত তাড়াতাড়ি বড় হব আর রথে চড়ব।      প্রশ্ন থাকলো....?

যাই হোক এই রথ বেয়েই নেমে আসে আনন্দ। রথেরমেলা বসে হাটতলায়,রকমারি জিনিসপাতি আর যেটা খুব ছোটো থেকেই আমার প্রিয় ছিল সেটা এখনও আসে প্রতি মেলায়,সেটা হলো একধরনের কেরামতি করে লাঠি দিয়ে তৈরী করা  হয় একঝাঁক পাখীর আওয়াজ।

যেমনটা কথা আছে যে রথের দড়ির টান দিয়েই বুদি চাপবে মায়ের কাঠামোতে এমনটা এখানে হয়না যদিও বাড়ীর ঠাকুর অনেক আছে কিন্তু ব্যাপারটা উপলব্ধি করা যায় যে এবার মা আসছে।

রথ যাবে হাটতলা, ওখানেই থাকবে উল্টোরথ অবধি তারপর আবার নিজের বাড়ি ফিরবে উল্টোরথে।
যদিও 'মায়ের বাড়ি' থেকেও একখানা মিডিয়াম সাইজের রথ পরে তৈরী করা হয়  কিন্তু প্রধান রথ হিসেবে বা দড়ি ধরার যে চেষ্টা বা আকুতি বলতে পারি সেটা নির্ভর করে ওই মুখার্জী বাড়ির রথের উপর আর এটাই আদি আর এটা জুড়েই ঐতিহ্য পাঁচিকোট তথা পাইকরের( পরবর্তী সংযোজিত নাম) রথযাত্রা উৎসবের।
ফুল

সুমিত বিশ্বাস

অনেক ফুল ফোটে
 ভ্রমর তাতে জোটে।
সবাই কি পাই
মায়ের চরণে ঠাঁই।
যার ভাগ্যে রয়
সেই তো ভাগ্যবতি হয়।
ইশ্বরের ছোঁয়া পেতে
ফুল ফোটে পৃথিবীতে।
কেউবা ধুলায়
কেউবা পূজার থালায়।
কেউবা গাঁথা মালা
কেউবা খায় পায়ের দলা।
এইতো ফুলের জীবন
কি করবে বেচারা ভুবন।
তার বুকে ফুটিয়ে তারে
যন্ত্রণা পাই যদি কেউ রে।
তাই বলি ওরে ফুল
করিসনা তুই ভুল।
ফোটার মতো ফোট
পূজার থালায় জোট
জননী

      সুমিত বিশ্বাস

আজও খুঁজে ফেরি
               এদেশ ওদেশ ঘুরি৷
তবুও তোমার দেখা না পায়
                কোথায় গিয়েছো হারায়৷
তুমি কি অভিমানী
               দূরে গেলে আড়িটানী৷
তুমি জান না
           তুমি ছাড়া ভালো লাগেনা৷
তুমি আমার জীবন
             তোমায় খুঁজি সারা ভুবন৷
কোথায় না পায়
               এখনকি উপায়৷
তোমায় খুজি আজ গ্রাম নগর সরণী
তুমি মোর প্রাণ মোর জননী৷৷
#হে_প্রিয়

#তানেয়া_মুখার্জ্জী


আজি এই ক্ষণে একটি কথাই,

আসে মনে বারবার

দূর থেকে শুধু দেখি সুন্দর

মুখখানি তোমার ,

কাছে গেলে যদি তোমাকে হারাই,

দূর থেকে শুধু চেয়ে থাকি তাই,

তোমার প্রাণের মধুর হাসিতে

ভরে যায় মন আমার।


নই যে মোরা প্রেমিক প্রেমিকা,

নই মোরা ভাই বোন,

তবুও তোমার যে কোন দুঃখে

কেঁদে ওঠে মোর মন,

জানি তুমিও যে সইতে পারোনা

আমার দুঃখ আমার যাতনা

তাইতো তোমার কথা ভেবে শুধু

জলে ভরে দু নয়ন ।


কেউ তো কারো নই আমরা

তবু এ কিসের টান ?

কিসের তবে এ কান্না হাসি

এত মান অভিমান ?

দূর থেকে শুধু তব ভালো চাই,

তোমার কথাই আমারে ভাবায়,

বন্ধু আমরা তাই আমাদের

দুটি দেহ এক প্রাণ ।
           ------
আলো আঁধার
শ্রী আশীষ মুখোপাধ্যায় ।
আলো নিভে গেলে
চিন্তা স্তুপ হয় ,
মনে জগদ্দল ভার
অনন্তের রাত্রি ।
বুনো ভাবনার লতাপাতা
লজ্জা হীনা লাঞ্ছনায় চুপচাপ,।
জীবনের স্পন্দন
বিষাদের নালায় কাতরায়
ভুবুক্ষা আর পিপাসা
আলো চায় আলো চায় ,
আলো যখন কালোর গর্ভ ছিঁড়ে আসে , ভাবনার লতাপাতা
স্বপ্নের পল্লবে মঞ্জরিত হয় ।
--------- সমাপ্ত ----------
বিদূষকের কবিতা
________________

কবিতার ভাষায় পড়েছিলো রক্তাক্ত ক্ষত...
আমি তো সেই রক্তের ওপর লিখেছিলাম আমার কবিতা...
আমি যে সর্বদাই সংখ্যাগরিষ্ঠ...
চেঁচিয়ে ছিল কেউ, বলেছিলো তোর কবিতা মানুষকে তার স্নায়ুতে আঘাত দেয়...
হাস্যকর সেই সব ভাষা...
বহিঃপ্রকাশ নয় আর..
থাকুক না হয় আমার সেই লাল হওয়া ছেঁড়া ডায়েরি টায়...
কবিতার প্রয়োজন হলে???? দেখিস তার প্রতিবিম্ব..
তবে তখনও সেই শ্রেষ্ঠ ভাষা গুলো আমার পেনের   ডগায় ধেয়ে আসবে...
চাইলেও মূল্যহীন হয়ে যাবে চাওয়া পাওয়ার অঙ্গীকার....
স্থান পাবে  এই বিধূষকের লেখা কবিতা.....

অদিতি চক্রবর্তী - - - - -
অজানা কবিতা - - - -

কাব্য লিখতে ব্যস্ত আজ অশরিরী রা...
হারিয়ে যায় সেই অবিনাসী কবিতা...
চুয়ে ভেঙে পরে সাজানো তাসের ঘর...
মনের চুরুটে আজ সিক্ত কিছুটা নিকটিন।।
জেনো মেঘ বালকের চূর্ণ বিচূর্ণ মন টার অস্থি...
ছাঁচে ঢালা সেই বৃষ্টির মেটো গন্ধ কবরীস্হ..
স্তব্ধ হয়ে যায় সেই অজানা কবিতা...


অদিতি চক্রবর্তী - - - -
( তৃষ্ণা)
#প্রতিবাদী

আজও সন্ধ্যা হয়েছে,
রোজকার মতো
হৃদয়ের গভীরতা ছুঁয়েছে
অন্ধকারের রাক্ষুসে দুটি হাত।।

সেদিনও তো সন্ধে ছিল,
আজকের মতোই
দু'চোখ কি বাঁধা ছিল?
করোনি তো প্রতিবাদ।।

আজকে উল্টো দিকে হাটা দিয়েছে
অন্ধকারের বেলেল্লাপনা
শুধুমাত্র তোমার সেদিনের অবহেলার জন্যই এতকিছু।।

সেদিন চাইলেই তুমি প্রতিবাদ করতে পারতে,
বুক চিরে আলো জ্বালাতে অন্ধকারে
আজকে তোমার আর সে ক্ষমতা নেই,
তাইতো তোমার মাথা নিচু।।


জাহাঙ্গীর হোসেন

*বৃষ্টি ভেজা বিকেল*

বৃষ্টি আছে বলেই প্রেম আছে
আজও মন ভেজে বিন্দু বিন্দু জল রাশিতে।।
টিনের চালের আওয়াজটাও আজ মিষ্টি লাগে
তার মিল খুঁজে পাই হ্যামিলিনের বাঁশিতে।।

হঠাৎ বৃষ্টিতে বিকেলে ভেজে, প্রেম জাগে
মনে পড়ে বৃষ্টি ভেজা কলেজ থেকে ফেরা।।
আমাদের ছোয়ার আশায় বুক বেঁধেছে বৃষ্টিফোটা
সমগ্র আকাশ যখন কালো মেঘে ঘেরা।।

দুষ্টু মেঘের বকুনিতে তুমি মুখ লুকাও আমার বুকে
দুটি হৃদয়ে এক হয়ে ভেসে যায় দূরের দিগন্তে।।
পৃথিবী ছাড়িয়ে গেছি কবেই আমরা
বৃষ্টিও ছেড়ে গেছে আমাদের একান্তে।।

বাতাসের সাথে দ্বন্দ্বে হেরে পৃথিবী ছেড়েছে বৃষ্টি
তরুণ কবির কলম ধরেই আজ বহু কবিতার সৃষ্টি।।


 _জাহাঙ্গীর হোসেন_
*নীলিয়ে দিও*

উদাসীন মন, চারিদিকে ঝমঝম বৃষ্টির আওয়াজ
ওই দূরে দেখা যায় দু-একটা ল্যাম্পপোস্টের আলো।হঠাৎ সব আলো নিভে গিয়ে শুধু আকাশে দু-একবার বিদ্যুতের ঝলকানি।

তুমি যে রাস্তা ধরে বাড়ি ফেরো, সেই গলির মোড়ে আজও দাঁড়িয়ে আছি। মাঝে মাঝে ভীষণ ভয় করছে জানো, বিদ্যুতের ঝলকানি আমার একেবারেই সহ্য হয়না, তার উপর রাক্ষুসে কালো মেঘ, পুরো আকাশ ঢেকে নিয়ে পৃথিবীর বুকে মৃত্যুঘণ্টা বাজাচ্ছে।

আজকে আবার ছাতাটা নিয়ে আসা হয়নি, ঐ দূরে একটা যাত্রী প্রতীক্ষালয় দেখতে পাচ্ছি। বেশ কয়েকবার ভেবেছিলাম ওখানে গিয়ে একটু আশ্রয় নিই। কিন্তু তোমার বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটা তো এই দিকে। একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আজকে যদি তোমার চাঁদমুখ খানা মিস করে ফেলি।

পুরো আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গেছে। আকাশের চাঁদ খানাও তো আজকে দেখা যাচ্ছে না। এখন যদি তোমার মুখ খানাও মিস করে ফেলি তাহলে কি পুরো রাতে আমার অন্ধকার যাবে না বলো? আজকে না হয় একটুখানি বিপদ মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম।

আজ তোমার একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে না? আকাশের মতিগতি ভাল ঠেকছে না, আচ্ছা তুমি ছাতা নিয়ে এসেছো তো! আর ওই যে তোমার বান্ধবীটা কি যেন নাম? ও এসেছে আজকে, নাকি সেদিনের মত আজও একাই এসেছে তুমি পড়তে?

তোমার নীল রং প্রিয় বলে তোমার জন্য দুটো নীল ঝুমকো এনেছি, ওই যে নীল শাড়ীটা, ওটার সঙ্গে পড়বে দারুণ মানাবে কিন্তু তোমায়। সামনে কলেজের নবীন বরণ উৎসবের দিন এই নীল ঝুমকা দুটো নীল শাড়ির সঙ্গে পড়ে এসো, একটু দেখবো কেমন লাগে তোমায়।

যাক বাবা! বাঁচা গেলো অন্তত ল্যাম্পপোস্টের আলো গুলো তো জ্বললো। ঐতো কালো মেঘ গুলো দেখছি সরে গেছে, আকাশটাও একটু সহায় হল দেখছি। হবে না কেন বল, জানো তোমার মত পৃথিবীর ও নীল রং খুবই প্রিয় ছিল। তাইতো সে আকাশের নীলকে ভালোবেসে নিজেও সেই নীল মেখে নিয়েছে তার শরীরে। কই তখন তো আমি তার প্রেমে ব্যাঘাত ঘটাই নি তাহলে আমার বেলায় কেন ঘটবে বল।

আমারও মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় তোমার সমস্ত নীল আমি শরীরে মেখে নিয়ে নীলিয়ে যাই। তাতে তোমার নীল ফুরিয়ে যাবে না। বরং আরো বাড়বে, সত্যি ভালোবাসা গুলো এরকমই হয়, তুমি যদি উজার করে কাউকে দাও তাতে তোমারটা আরো বৃদ্ধি পাবে। তুমি দেখো আকাশের নীলে পৃথিবী নীলিয়ে গেছে, কিন্তু আকাশ নীল হীন হয়ে গেছে কি?

আচ্ছা আজকে তোমার আসতে এত দেরি হচ্ছে কেন? গতকালকে আমি আসিনি বলে আমার ওপর রাগ করে অন্য রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছো নাকি? আমি আসতে চেয়েছিলাম জানো, কিন্তু জ্বর করেছে বলে জোর করে মা ঘরে আটকে রাখলো। বলল আজকে আর বাইরে যেতে হবে না শরীরটা ভালো না তোর।কি করবো বলো মায়ের অবাধ্য তো হতে পারিনা।

ওই তো দেখতে পেয়েছি তোমাকে।ঐ নীল ছাতাটা তোমার না? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছি। আজকে তোমাকে খুব ক্লান্ত লাগছে। এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে তোমার আমি আর আগ বাড়িয়ে কথা বলতে গেলাম না। আজকে বরং তুমি চলেই যাও, বাড়ি ফিরে জিরিয়ে নিও। আমি কালকে আবার আসবো খন।

মল্লিকা বাড়ির ভিতরে ঢোকার পর আমিও উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলাম, বাড়ির উদ্দেশ্যে। হঠাৎ মানিকের সাথে দেখা। "কিরে এদিকে কোথায় গেছিস মিলি কে বাড়ি পৌঁছে দিলি মনে হচ্ছে।তা কেমন আছিস বল?মিলি কেমন আছে?"

"ভালো আছি আমরা। কিন্তু তুই কি করছিস এখানে? আর তোর এই নীল শার্ট টা ছাড়া কি অন্য কোনো জামা নেই রে? আজকাল তোকে মাঝে মাঝেই এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি, এখনো কি মল্লিকার জন্য রোজ এখানেই দাঁড়িয়ে থাকিস নাকি? তা কতদূর এগিয়েছিস? কথা বলেছিস তো আজকে ?"

"তুই যে কি বলিস না।আর জামা থাকবে না কেন। নীল রং মল্লিকার খুবই পছন্দ,তাই...। হ্যাঁ এখানেই দাঁড়িয়ে থাকি রোজ বলতে পারিস, যদি একদিন ও না দেখে তাহলে মনে মনে ভাববে আমি ওকে ভালোবাসি না তাই না। না এখনো কথা হয়নি রে, আজকে বলতাম কিন্তু খুবই ক্লান্ত মনে হচ্ছিল, আর অনেক দেরিও হয়ে গেছে তাই আমি আর দেরি করলাম না। কালকে কথা বলবোই দেখিস।"

"সত্যি তুই পারিসও বটে কবির, সেই কতদিন ধরে শুনে আসছি তোর মুখে মল্লিকার কথা,আজ পর্যন্ত একটা কথাও বলতে পারলি না।কাল কাল করতে করতে দেখিস কোনো দিন অন্য কেউ বলে দেবে, আর মল্লিকা তার হয়ে যাবে। তোর দারা কিছু হবে না বুঝলি। কমপক্ষে কথা তো বল, তোর মনের কথাটা জানা, দেখবি ও ঠিকই হ্যাঁ বলে দেবে।"

"না রে থাক। যদি ও আমার কথা শুনে আমার উপর খেপে যায়। এখন তো মাঝে মধ্যে তাকায় আমার দিকে, পরে যদি তাকানো বন্ধ করে দেয়।আর যদি ওর বাবাকে বলে দেয় না, তাহলে তো ওর বাবা আমার এ পাড়ায় আসাই বন্ধ করে দেবে। তুই তো জানিস ওর বাবা কতো প্রভাবশালী ব্যক্তি?"

"হুম জানি তো। আচ্ছা ভাই থাক তাহলে আমি আসলাম, আমার আবার একটু দোকানে যেতে হবে মিলির জন্য একজোড়া ঝুমকো কিনবো, কালকে আমাদের রিলেশনশিপের একবছর পূর্তি।মিলি আবদার করেছে ওর নাকি একটা গোলাপী রঙের শাড়ি আছে কিন্তু ঝুমকো নেই সেটাই আমাকে নিতে বলেছে।"
"আচ্ছা"

আমার কি মল্লিকাকে বলা উচিত যে আমি ওকে ভালোবাসি? না মানিকের কথা শোনা যাবে না। তাহলে আমার রিলেশন শুরু হওয়ায় আগেই শেষ হয়ে যাবে।ওর তো মাসখানেক এর বেশি একটা রিলেশন ও টেকসই হয় না। আর ও এসেছে আমাকে সাজেশন দিতে। আর বলে দিলেই যদি ও না করে দেয়, তাহলে তো সবকিছুই শেষ, বরং না বলাই ভালো।

একি আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। সত্যি আকাশ টা খুবই খামখেয়ালি হয়ে পরেছে আজকাল। কখন যে কি করে নিজেও বুঝে উঠতে পারছে না। আচ্ছা আকাশের নীলে যে পৃথিবী নীলিয়ে গেছে কই আকাশ আর পৃথিবীর তো এক হয়নি। আমরাও তো আকাশ আর পৃথিবীর মতোই একে অপরকে ভালবাসতে পারি। তাহলে আমার কি মল্লিকার সাথে এক হওয়াটা খুবই জরুরি?


 _জাহাঙ্গীর হোসেন_

সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮

কলঙ্ক
―আমিমোন ইসলাম

এলোমেলো চুলে,
দানা দুটি মেলে,
চেপে সাইকেলে,
যাচ্ছিল সে স্কুলে।
রাস্তার মাঝে হটাৎ সে সেখানে
থামল শেয়াল-কুকুরের আক্রমণে।

সাইকেল তার রাস্তার ও'পাড়ে
ছিন্নভিন্ন দেহ তার ঝোপের আরে।
পরীক্ষার হলে পৌঁছতে দেরি হলে,
সবাই খুঁজে তাকে, খুঁজে না পেলে
থানায় যেতে যেতে ঝোপের আড়ালে,
ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত শরীর দেখে
কত জল কত আবেগ ক্যামেরায় রাখে।

হাসপাতালের পথ পেরিয়ে
তলোয়ার হাতে সমাজকে হারিয়ে,
আজ আরও একবার
সেই রাস্তায় সেই কলঙ্কটা তার
সাইকেলে স্কুল যাচ্ছিল আবার।
এবার সেই নিষ্পাপ, পবিত্র কলঙ্কটা,
ফিরে এসেছে আবার সেই কলঙ্কটা।
তবে এবার নীরব কান্নার বায়ু চিরে
এখন সে যাবে শ্মশানে নাহয় কবরে।

শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮

সুখ নেবে গো !  এট্টুখানি সুখ ?
বিনামূল্যে দিতে পারি ঘুচিয়ে তোমার দুখ।
তুমি যদি আকাশ আলোয় চোখ রাখ হে ভাই...
দেখবে সেথা আলোর ঝিলিক, দুঃখ সেথা নাই।
নদীর টানে বাতাস যত, বুক ভরে নাও শ্বাস।
মিটে যাব কষ্টগুলো দুঃখ হবে নাশ।

দেখে যাও একবার, সবুজ মাঠে ঢেউয়ের দোলায় নাচে
পাখিরা সব আপন মনে, ডাকছে গাছে গাছে।
রাখাল যখন বাজায় বাঁশি, উদাস দুপুর বেলায়
সমস্ত দুখ ভাসিয়ে দিয়ে, তোমরা সুখের ভেলায়,
দাও ভাসিয়ে দাও !
উদাস গাঙে সাঁতার কেটে
সুখ তরীটি বাও।

কি হবে আর দুঃখ পুষে, সুখ কিনে নাও নিজে
ঘামের দামে আর কতকাল থাকবে বল ভিজে।
এখন সবাই গাইতে পার,  প্রেমের সুরে গান,
দুঃখ গুলো পালিয়ে যাবে, আসবে সুখের বান।

     সুখের ফেরীওয়ালা/অয়ন কর্মকার
"দু'মুঠো কবিতা"

চঞ্চল ভট্টাচার্য্য

আমার দু'মুঠো কবিতা আমি তোমায় দেবো বলে,
 এক মুঠো শ্বাস নিয়ে আমি ঘুরে দাঁড়াবো আবার,
মেঘেদের কাছে তুমি নালিশ জানাবে জানি,
বৃষ্টি নামাবে অঝর ধারায়,
আমার কবিতার খাতা ভেজে ভিজুক,
তবুও জলের ঝাপটায় আমার নিভৃত চোখ বারে বারে রুদ্ধতা ভাঙ্গতে চায়বে,
শুধু তোমায় দু'মুঠো কবিতা দেবো বলে।

আমার কবিতা তোমায় দেবো অঞ্জলি,
তুমি হয়তো কবিতা পড়বে ঠিকই,
ছুঁড়ে ফেলবে লেখককে,
কবিতা হয়তো তোমার মনে জ্বলবে প্রদীপ হয়ে,
লেখক না হয় প্রদীপের তলে থাকবে তিমির মেখে,
তবে তুমি জেনো,
প্রদীপের তল যতই হোক না
তিমিরময়(অন্ধকার),
সে কালিমা কিন্তু প্রদীপ ছেড়ে যায় না অনেক দূরে,
সে তো প্রদীপেরই থাকে।

তাইতো তোমায় দু'মুঠো কবিতা দেবই আমি।

বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮

রথের দিন সকালে মুখোমুখি কবি আশীষ মুখার্জী ও 'জলফড়িং' টিম
-------------★------------★--------------
                   🙏🌹🙏

        

-- জলফড়িং ওয়েব ম্যাগের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই নমস্কার এবং রথের দিনের শুভেচ্ছা।

কবি == শুভেচ্ছা, আশীর্বাদ

                      ★প্রশ্নাবলী★

১)  কবি আশীষ মুখার্জী নাকি আশীষ! কিভাবে চেনে তোমার শহর নলহাটি?
== এখানে আশীষ অনেকেই আছেন, তাই কবি আশীষ মুখার্জী হিসেবেই চেনে।

২)  মূলত গল্প নাকি সব ধরনের লেখা লিখতে ভালোবাসেন?
== সবই... গল্প, কবিতা, উপন্যাস, রম্যরচনা, ছড়া...

৩)  "পদক্ষেপ" লিটিল ম্যাগাজিন ও "নক্ষত্র" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে নিজের কাছে নিজের অবদান কতটা?
== আমি নিবেদিত প্রাণ। অবদান বলতে মূলত এটাই। তাছাড়া বার্ধক্য ভাতা থেকে এই পত্রিকা।

৪)  কবি আশীষ মুখার্জী নাকি ব্যক্তি আশীষ মুখার্জী.. নিজের কোনটা ভালো লাগে?
== আমি আশীষ মুখার্জী হিসেবেই ভালো থাকি। কবি তো অন্য লোকেরা(পাঠক) বলবে।

৫)  প্রকাশিত আপনার লেখা কোনো বই? কোনো পুরস্কার?
== 'মাদল' কাব্যগ্রন্থ(জানুয়ারি, ২০১৭), ভাবনা দপ্তর থেকে প্রকাশিত হয়।
      আর পুরস্কার বলতে সম্বর্ধনা। রুপম(মাশড়া), অর্পণ(নলহাটি)।

৬)  লেখার শুরুটা ঠিক কখন? প্রথম লেখা গল্প নাকি কবিতা?
== পঞ্চম/ষষ্ঠ শ্রেণীতে (স্কুল জীবন)
ম্যাগাজিনে
জীবনের প্রথম ছড়া। ( চুরি বিষয়ক ( মজা করেই লিখে ছিলাম)

৭)  যদি বলি লিটিল ম্যাগাজিন আপনাকে কী দিয়েছে? তাহলে কী বলবেন?
== অনেক সঙ্গী, প্রতিভার (যারা সম্পদ হতে পারে) সন্ধান দিয়েছে....."আজকের যে চারা আগামী দিনে যে মহীরুহ হবেনা! একথা কেউ বলতে পারেনা।"

৮)  জীবনানন্দের কবিতা নাকি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ভালো লাগে?
== সুনীল আমি পড়নি

৯)  সবাই বলে আধুনিকতার শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আপনার চোখে ঠিক কতটা আধুনিক?
== রবীন্দ্রনাথ চিরকালীন আধুনিক। হাজার বছরেও উনি আধুনিক থাকবেন।

১০)  আজকের দিনে অন্তমিলের একটি বিশাল চাহিদা আছে... আপনার কী মনে হয়?

== বিশ্বাস করি,ভালো লাগে

♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
               আশীষের সাফকথা



"স্তাবকতায় বিশ্বাস করিনা, স্তাবকতা করিনি করবও না"

♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦



১১)  অনেকেই বলেন কবিতার কোনো সংজ্ঞা হয়না। আপনার এ বিষয়ে মত কী?
== অবশ্যই কবিতার সংজ্ঞা আছে। কবিতা একটি বার্তা।

১২)  এই লেখালেখির জগতে আপনার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী আছে?
== আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি নিজেই।

১৩)  আজকের যুব সমাজ যারা লিখছে তাদের প্রতি আপনার বার্তা কী?
== এগিয়ে চল , এগিয়ে চল, এগিয়ে চল....

এছাড়া দ্বিতীয় কোনো কথা নেই।

১৪)  নতুন কিছু পদক্ষেপ আছে?
== দুইখানা বই একসাথে প্রকাশের চিন্তা-ভাবনা চলছে। একটি উপন্যাস ও একটি কবিতা সংকলন (১৫০ কবিতা)।

১৫)  সমাজকে কিভাবে দেখতে চান?
== সমাজ আমার পরিবার। আমি মানুষের প্রতিনিধি।


                   ★আশীষের স্বাদ★

১)  প্রিয় রঙ : সাদা।
২) প্রিয় খাবার : এলার্জি নেই, যা পাই তাই খাই ( নিরামিষ খাবার খাই )।
৩) প্রিয় ঋতু : কবির কাছে সব ঋতুই প্রিয়।
৪) এই বয়সে দুর্গাপুজো : আর ভালো লাগেনা।
৫) প্রিয় কবি : রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত.....
৬) প্রিয় কবিতা : একবাক্যে "বিদ্রোহী"।
৭) নিজের প্রিয়/সেরা লেখা : প্রথম উপন্যাস 'ভোরের পাখি' (অপ্রকাশিত)।
৮) বর্ষায় ভিজে যেতে মন করে আর :  অত শখ নাই (সাবধানের মার নাই, যত পারি সাবধানে থাকি)।
৯) প্রিয় পোশাক : পাঞ্জাবি, পাজামা।
১০) আপনার চোখে নজরুল ইসলাম : বলেই দিয়েছি 'বিদ্রোহী'....আর কোনো কথা নাই।

                       ধন্যবাদ
                          🙏

সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

সৃজনের ঘনঘটা
---মধুমিতা নস্কর

ওরা ভালো থাক,
যারা দয়িতার বুকে পাথর চাপিয়ে,
সংহার ব্রতে করছে নির্জলা উপবাস.!
যারা কথার মোড়কে কথা লুকিয়ে মিছরির ছুরি
মারছে দিনরাত.!
তারা ভালো থাক,
যারা শব্দ পারদে শব্দ চড়িয়ে প্রতিশ্রুতি ভাঙছে
অনর্গল.!
আর অচিন গাঁয়ের মরা শ্রমিকের বুকে লক আউটের মিছিল হানছে অবিরাম।
যারা প্রতিদিন মুখোশ পরে ভালো মানুষ সাজো,
আর ধনীকের তোষামোদে গোলাম হয়ে বাঁচো.!
হ্যাঁ তোমরা,তোমরাও ভালো থেকো।

যারা লোভাতুর কাক,নারীর শরীর মাংস ভেবে
ছিঁড়ে খায় প্রতিপল,
আচ্ছা তাদের উপস্থে কি কখনও হবেনা পক্ষাঘাত.!
অন্যায় শেষে হবে কি শুধুই মোমবাতি মিছিল?
হবে না কখনও নরপিশাচের বলির রক্ত হোলি?
এখনও যারা ইনামে ইনাম তুলে সোনাগাছিতে করছে বোহুরি বেচাকেনা,
তাদের জীবনে কি কখনও নামবেনা কালোছায়া.!
কন্যা বলে সদ্যজাতের স্থান ওই ডাস্টবিনে.!
শুধু নারী বলেই ধর্ষিতা সে,ছিন্নভিন্ন দেহে রক্ত মেখে আজ শুয়ে আছে রেললাইনে?
আচ্ছা,তাদের মাথা ছেদ হবে কি কোনদিন গিলোটিন যন্ত্রে?
কখনও কি তাদের মনোভাব বদলাবে উপনিষদের মন্ত্রে?

তাকিয়ে আছি সেই সুদিনের দিকে যেদিন নির্ভয়ে বাঁচবে সকল আবালবৃদ্ধবনিতা,
তোমার আমার সবার সাথেই সেদিন,
আকাশে বাতাসে জমবে আবার সৃজনের ঘনঘটা..।।
দুঃস্বপ্নের চোরাবালি
--মধুমিতা নস্কর

স্বপ্নগুলো আজ আস্ত একটা কাঁটাঝোপ,
ঘুমের ভিতর স্বপ্ন কিনতে গেলেই শরীর হয়
ক্ষত বিক্ষত,
আঁচড় কাটে সুক্ষ্ম রেটিনায়,আহত কর্নিয়া,
অন্ধ আমি তাও স্বপ্নে হাতড়ে বেড়াই নিখোঁজ হৃদপিন্ড।

স্বপ্ন নয়,কেবল দুঃস্বপ্নের চোরাবালি হাতছানি দেয় চাক চাক অন্ধকারের মধ্যে থেকে,
নিশ্বাস আটকে গোগ্রাসে গিলে ফেলতে চায়
দয়াহীন মায়াহীন
স্বপ্নের সৎভাই দুঃস্বপ্ন।

স্বর্গ ও নয়,নরক ও তো নয়
এ যেন পৃথিবীর বুকে আরেক
রুক্ষ পৃথিবী।

পাহাড় প্রান্তর পেরিয়ে,নদী পেরিয়ে
কল্পলোকে বিচরণ করতে থাকি
দুঃস্বপ্ন এড়াতে,
তবুও পিছু ছাড়েনা অমঙ্গল,
তাড়া করে বেড়ায় নিশিদিন
মণিহারা সাপের মতো।

খুঁজতে খুঁজতে একদিন ঠিক খুঁজে পায়,
হাজার বছর পর,গুহার সিঁদ কেটে,
সেদিন দুঃস্বপ্নের বাতি পোড়ায় তাঁর শিখায় এক লহমায়,
ছাই হয়ে অনাবিল স্বপ্ন মিশে যায় 'দুঃস্বপ্নের পঞ্চভূতে'।।
____উপত্যকার আড়ালে
             সুনন্দ মন্ডল

তোমার জন্য সবই সকাল
রাত যেন না আসে।
রাত এলেও গভীর চমক
জোছনা ভরা সাথে।

রিক্ত পুরুষ আমি এখন
হাজার জনের মাঝে।
মনের সুখে বাঁধ ভাঙব
তবুও তোমার লাজে।

রাতের কিরণ সকাল মাখে
দিগন্ত সমাপনের সূচি।
হাত ডুবিয়ে মিষ্টি খাব
সাথে ডজন খানেক লুচি।

লীলার মাঝে গড়িয়ে নেব
তোমার উপত্যকা।
পর্বত ভেঙে অমর কথা
আনবে মালভূমির রেখা।

তুমি যদিও অন্যের জানি
নিলাম হওয়া অন্যায়।
তাইতো মনকে অনেক কষ্টে
ভালো মন্দ বোঝাই।
          -----------

কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম
>
>             রহস্যময় অরণ্যের হাতছানি - উত্তরবঙ্গ
              সায়ন্তনী বক্সী

>
> "আমি চঞ্চল হে,
> আমি সুদূরেরও পিয়াসী"
> সুদীর্ঘকাল যাবৎ মানুষ অজানাকে জানতে চেয়েছে, দূরকে নিকট করতে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।এই আকাঙ্ক্ষাকে চরিতার্থ করতে মানুষ তার ঘর ছেড়ে বারবার বেরিয়ে পড়েছে 'চরৈবেতি' মন্ত্রকে সম্বল করে। আমার নিজের জীবনের ক্ষেত্রে যদিও এই বেরিয়ে পড়া খুব বেশি বার হয়ে ওঠেনি। তবুও এখনও পর্যন্ত যে কটি জায়গায় ভ্রমণ করেছি ;তারই মধ্যে একটিকে বেছে নিয়ে সেই অভিজ্ঞতা ভ্রমণকাহিনি রূপে লেখার জন্য কলম ধরলাম।    যদিও অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, চোখদুটো থাকলেই দেখা যায় কিন্তু হাতদুটো থাকলেই লেখা যায় না। তাই লিখতে গিয়ে একথা অবশ্যই মাথায় থাকবে যে ভ্রমণকাহিনি অযথা guide book হয়ে গিয়ে পাঠকের মনে বিরক্তির না উদ্রেক করে!
>
> আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে শারদোৎসবের ছুটিতে সপরিবারে গিয়েছিলাম উত্তরবঙ্গ বেড়াতে। সেই আমার প্রথম পাহাড়-অরণ্য একত্রে দর্শন; তাই সেই সুখস্মৃতি আজও অমলিন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলবো, তাঁরা যদি উত্তরবঙ্গ বেড়াতে যেতে চান তো সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর হল আদর্শ সময় ওখানে বেড়াতে যাওয়ার। মহালয়ার পরদিন সপরিবারে যাত্রা করলাম উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে। যাত্রা শুরু হল শিয়ালদহ স্টেশন থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে সন্ধ্যার সময়। নামেই এক্সপ্রেস,গাড়ির গতি ছিল লোকাল ট্রেনের মতো! বুঝলাম বেশ সময় লেগে যাবে গন্তব্যে পৌঁছতে।আর সত্যিই হলোও তাই,পরদিন বেলা ২টো নাগাদ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে থামল আমাদের ছ্যাকরা গাড়ী থুড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন! সেখান থেকে আমাদের গাড়ী ছুটলো রাজাভাতখাওয়ার দিকে।
>
> শ্রীযুক্ত মণি থাপার  homestay "Gracilipse" ( যা এক ধরনের বন্য অর্কিড জাতীয় উদ্ভিদ) হলো আমাদের পরবর্তী চারদিনের আশ্রয়স্থল। থাপা জেঠুর আতিথেয়তার সত্যিই তুলনা হয় না। আর ওখানকার বাঙাল রাধুঁনির রান্না করা পদগুলি ছিল অতুলনীয়।তার হাতে তৈরি গুড়ের পায়েসের স্বাদ তো কোনোদিনই ভুলবো না। আশা করি 'ঘটি' পাঠককুল আমার ওপর ক্ষিপ্ত হবেন না! তা সে যাই হোক, এখান থেকে আমরা কাছাকাছি কয়েকটি জায়গায় ঘুরতে গেলাম। অনেক পর্যটকের কাছে তেমন দর্শনীয় না হলেও এখানকার বক্সা জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত Vulture breeding centre  একটি আকর্ষণীয় কর্মকাণ্ড।  এখানে বিরল প্রজাতির  শকুন( oriental white- backed vulture and long-billed vulture)এর প্রজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটিয়ে সযত্নে লালন -পালন করা হচ্ছে। এরপর বক্সা ফোর্ট,জয়ন্তী গ্রাম, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প এইগুলো দেখলাম। জয়ন্তী গ্রাম অবস্থিত ভুটান সীমান্তে। ছবির মতো সুন্দর গ্রামটির সামনে দিয়ে বয়ে চলেছে জয়ন্তী নদী। এরপর আমরা গেলাম সান্তরাবাড়ী,যেখান থেকে বক্সা ফোর্টের দিকে ট্রেকিং শুরু করলাম যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮৪৪ ফুট। বেশ চমৎকার অভিজ্ঞতা ছিল সেটি; মনে পড়ে যাচ্ছিল 'আরণ্যক' উপন্যাসের কথা। আর একটা অভিজ্ঞতার কথা না বললেই নয়; আর সেটা হলো ঘন্টাধ্বনির কথা। আমরা যখন জিপে করে জঙ্গলের রাস্তা ধরে কোথাও যাচ্ছিলাম তখনি শুনতে পাচ্ছিলাম শব্দটা -- যেন দূরে কোথাও মন্দিরে ঘন্টা বাজচ্ছে,  অথচ মন্দিরের কোনো দেখা নেই। আমাদের পথপ্রদর্শক বললেন ওটা ঝিঁঝিঁর ডাক! অবাক করার মতো কান্ডই বটে।
>
> জয়ন্তী থেকে ১৩ কিমি দূরত্বে প্রাকৃতিক stalactite পাথরে তৈরি গুহা দেখলাম যা ধর্মভীরু মানুষের কাছে মহাকাল মন্দির নামে পরিচিত। প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে আমাদেরও ভালো লাগলো। এরপর একে একে গেলাম পোকরি পাহাড়, রায়মাতাং গ্রাম, নারাথালি হ্রদ ও চিলাপাতার জঙ্গলে।অরণ্যে দেখলাম বন্য ময়ূর ও অজস্র নাম না জানা পাখি। চারটে দিন কোথা দিয়ে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না।পূ্র্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রওনা দিলাম লাটাগুড়ির উদ্দেশ্যে রাজাভাতখাওয়াকে বিদায় জানিয়ে। লাটাগুড়িতে গিয়ে আমরা ছিলাম পঞ্চক রিসোর্ট এ; এখানকার ব্যবস্থাপনাও ছিল অতি পরিপাটি। এখানেও প্রায় চারদিন ছিলাম, চারপাশে ঘন জঙ্গলের মাঝে রিসোর্ট।হাতি বা অন্য কোনো বন্যপ্রাণী যাতে রিসোর্টের কোনো ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য গোটা চত্বরটা বিশাল কাঁটাতারের পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এমন ব্যবস্থা রাজাভাতখাওয়াতেও দেখে ছিলাম। বেশ জমাটি মুরগীর ঝোল দিয়ে গরম গরম ভাত খেয়ে সে রাত্রির মতো শুতে গেলাম। প্রায় মধ্য রাত্রি নাগাদ মুষলধারায় বৃষ্টি এলো-- চলল ঘন্টা দুয়েক।
>
> সকালে উঠে দেখি কোথায় কি!দিব্যি রোদ ঝলমলে মেঘমুক্ত শরতের নীল আকাশ। ভাবলাম গতরাতে তাহলে বোধহয় স্বপ্নই দেখেছি। দেখলাম আমার বড় মামা তাপসদা ( tour manager) ও নেপালদার (জঙ্গল সাফারির চালক ও পথপ্রদর্শক) সাথে গম্ভীর স্বরে কী যেন আলোচনা করছেন। কথা বলে জানতে পারলাম গতকাল প্রচন্ড বৃষ্টি কারণে জঙ্গল সফর কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মনটা একটু খারাপ হয়ে গেলো, তাহলে কী যাওয়া হবে না? তবে খুব তাড়াতাড়িই মনের মেঘ  কেটে গেলো। দুপুরের দিকে আমরা চাপড়ামারি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ও গরুমারা জাতীয় উদ্যানের দিকে। বৃষ্টি হওয়ার ফলে জঙ্গলের গাছপালাগুলো বেশ সতেজ দেখাচ্ছে। প্রথমে যাওয়া হলো গরুমারাতে, তারপর চাপড়ামারি। সত্যি বলতে কী, কোনো জঙ্গলেই কোনো বন্যপ্রাণী অর্থাৎ বাঘ বা হাতির দেখা পেলাম না। চাপড়ামারির জঙ্গলে গিয়ে হলো অন্য এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। গভীর জঙ্গলে কাদার মধ্যে গাড়ীর চাকা গেল ঢুকে। সবাইকে সেই সন্ধ্যার অন্ধকারে বেশ ভয়ে ভয়েই গাড়ী থেকে বাইরে বেরতে হল। দূর থেকে কোনো জান্তব আওয়াজ যেন আসতে লাগলো আমাদের কানে। তবে চাক্ষুষ কাউকে দেখতে পেলাম না। যাইহোক শেষপর্যন্ত গাড়ীর চাকা যথাস্থানে ফিরে এসে পঞ্চকের দিকে ধাবমান হলো।
>
> ফিরে আসার পর রাতেই ঠিক হয়ে গেলো, পরদিন ভোর ৪টের সময় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে একশৃঙ্গ গন্ডার দেখতে যাবো। পরিকল্পনা মতো পরের দিন ভোরের বেলা একশৃঙ্গ অভিযানের সূত্রপাতেই ঘটলো বিষম বিভ্রাট! এক দঙ্গল বন্য হস্তী আমাদের পথ করলো রোধ! তবে পরম সৌভাগ্য এই যে দলটি বেশ বড় হওয়া সত্ত্বেও ; বনের সংকীর্ণ পশু চলাচলের পথ ধরে বেরিয়ে এসে গাড়ির আগে আগে চলেছিলো হেলতে দুলতে। আমাদের সারথি নেপালদা বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ী থামিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিলো, কারণ এই অঞ্চলে এধরনের ঘটনা সম্পূর্ণভাবেই প্রত্যাশিত। গাড়ীর যান্ত্রিক শব্দ বন্ধ হয়ে গিয়ে চারপাশ অদ্ভুত এক নৈঃশব্দ্য এসে গ্রাস করলো। শুধু ঝিঁঝিঁর ডাক আর সামনে চলা জন্তুর শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ যেন পৃথিবীতে নেই। শ্বাসরোধ করে বসে আছি আমরা একটুও টুঁ শব্দ না করে। কারণ অভিজ্ঞ নেপালদা জানিয়েছেন কোনো আওয়াজ শুনতে পেলে হাতির দল আক্রমণ করতে পারে! অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পর শেষপর্যন্ত ধৈর্য হারা হয়েই মামা ক্যামেরা বের করলেন ছবি তুলবেন বলে। ছবি নেওয়ার পর দেখা গেলো হস্তিকুল ডানদিকের বনপথ ধরে ঢুকে যাচ্ছে, আর আমাদের সামনে দিয়ে চলেছে বন্য মহিষের দল! চারদিক তখন ঊষার প্রথম আলোয় আলোকিত।
>
> যাইহোক শেষপর্যন্ত জলদাপাড়ায় পৌঁছালাম।ওয়াচ টাওয়ারে উঠলাম কিন্তু একশৃঙ্গের দেখা পেলাম না; কারণ বেশ বেলা হয়ে গিয়েছিল। বলতে গেলে খামখেয়ালি হাতিগুলোই গন্ডার দেখতে দিলো না! প্রায় ঘন্টা দুয়েক থাকার পর হলংএর দিকে ছুটলো গাড়ি। হলংএ সরকারি বনবাংলো রয়েছে, চাইলে বেশ কয়েকটা দিন থেকে সামনের জলাশয়ে জল খেতে আসা বন্য জীবের দর্শন পাওয়া যায়। তবে আমরা শুধু একপাল পোষা হাতি দেখে ক্ষান্ত হয়ে সন্ধের সাড়ে ৭টারা দিকে ফিরে  এলাম পঞ্চকে। পরের দিন প্রাতরাশে বাঙালির প্রিয় খাবার লুচি, ছোলার ডাল ও আলুর দম সহযোগে বেশ তরিবৎ করে খাওয়া হলো। তারপর রথে আরোহন করলাম, সারথীর সুনিপুণ রথ চালনায় বিন্দু, সামসিং, সুলতানেখোলা, জলঢাকা বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়ে অবশেষে মূর্তি নদীর তীরে উপস্থিত হলাম। ইতিমধ্যে গাড়ির মধ্যেই রিসোর্ট থেকে আনা ফ্রায়েড রাইস, চিলিচিকেন,চাটনি, পাঁপড় দিয়ে দুপুরের খাওয়া শেষ করে নিয়েছি। বেলাশেষের আলোয় মূর্তি নদীর পায়ের পাতা ডোবানো জলে সবাই মিলে করলাম জলকেলি। তারপর 'আমাদের ছোট নদী' পেরিয়ে গেলাম ওপারের বন দেখতে। গাছের ডালে ডালে দেখলাম অনেক বাঁদর, নীলকন্ঠ, ফিঙে প্রভৃতি পাখি। তবে হরিণ ভায়া বা বাঘ মামার দেখা এবারো পেলাম না। তাদের দেখা পেতে অনেক সাধ্যসাধনা করতে হয়,অপেক্ষা করতে হয়। স্বল্পকালীন ভ্রমণ পরিকল্পনার মধ্যে তা সম্ভব ছিল না। হঠাৎ মামা আকাশের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলেন, আমরাও তাকিয়ে দেখি দূরে পাহাড়ের চূড়ায় ঘন কালো মেঘ করেছে - বৃষ্টি হচ্ছে অথচ উপত্যকা রোদ ঝলমল। তাপসদা বললেন তাড়াতাড়ি ওপারে ফিরতে হবে নইলে বিপদ হতে পারে। বিপদটা যে কি সেটা বুঝলাম নদী পার হতে গিয়ে। পাহাড়ে বৃষ্টি হওয়ার দরুন নদীতে হাঁটু সমান জল; ক্ষীণকায়া মূর্তি স্ফীতকায়া হওয়ার দিকে দূর্নিবার গতিতে এগিয়ে চলেছে। কোনোক্রমে সেই দুর্দান্ত স্রোত ঠেলে নদীতটে পৌঁছলাম, তারপর পঞ্চকের রাস্তা ধরলাম- তখন" ছায়া ঘনাইছে বনে বনে"।
>
> আজ উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের শেষ দিন। ডুয়ার্সের গহীন অরণ্যের রহস্য ভেদ করা হলোনা,ব্যক্তিগত ক্যামেরা ও টেপরেকর্ডার না থাকায় প্রকৃতির দৃশ্য ও শব্দসম্ভার আমার মনের ক্যামেরা ও টেপরেকর্ডারে বন্দি করে এবার পূর্ব সূচী অনুযায়ী সিকিমে পাড়ি দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিলাম।
           --------------
ক্লান্তভাবে
------------------------সুদীপ্ত সেন

গোধূলিত মেঘ গুছিয়ে নামায় জোনাকি গায়ে রাত্রি
আমরা তখন হাঁটছি কেবল ক্লান্ত সহযাত্রি।

দৃশ্যপটে নামিয়ে রাখি সবুজ মেঘের শান্তি
আর গুছিয়ে বলার কারাসাজিতে হচ্ছে
ভুল-ভ্রান্তি।

অবাক তখন হাওয়ার ছলে পাশ কাটিয়ে বলছি
অনেকটা ঠিক তোমার মতো জলের কাছে শুনছি।

গাছের গায়ে মৃত্যু বাঁধা আর অনেকটা প্রায় জ্যান্ত
তোমার কথায় রাত্রি আসে জোনাকি ঠিক জানতো!

ফুল

সুমিত বিশ্বাস

অনেক ফুল ফোটে
 ভ্রমর তাতে জোটে।
সবাই কি পাই
মায়ের চরণে ঠাঁই।
যার ভাগ্যে রয়
সেই তো ভাগ্যবতি হয়।
ইশ্বরের ছোঁয়া পেতে
ফুল ফোটে পৃথিবীতে।
কেউবা ধুলায়
কেউবা পূজার থালায়।
কেউবা গাঁথা মালা
কেউবা খায় পায়ের দলা।
এইতো ফুলের জীবন
কি করবে বেচারা ভুবন।
তার বুকে ফুটিয়ে তারে
যন্ত্রণা পাই যদি কেউ রে।
তাই বলি ওরে ফুল
করিসনা তুই ভুল।
ফোটার মতো ফোট
পূজার থালায় জোট
ধূপকাঠি
অভিজিৎ দাসকর্মকার

একটা ধূপকাঠি জ্বালাতেই-
'সবাই জানে তাই কেনে' ক্যাপশনটি পুড়ে গেল।

নতজানু সন্তান শহীদের খুলির সামনে হাত জড়ো করে চিতার কাঠে সাজায় মানুষের জাতীয় কলঙ্ক।

বিভাসরাগ এসরাজে বেজে ওঠে
'করলো দুনিয়া মুঠ্ঠিমে', আর বিবর্তনে আসে দুঃসংবাদ,খবরের কাগজ ভর্তি।

নিরাপদ মাতৃগর্ভে পড়ে আছে শুকনো পাঁজর
ধূপকাঠি পুড়ে যায়,আর
কাক ঠোকরায় পরাশ্রয়ী খাবার...


ভালোবাসা
অভিজিৎ দাসকর্মকার।

জানালার বর্গতলে সমান্তরাল রেখার
যাতায়াত  তারজাল
           অশান্ত ঘুলঘুলিতে বিন্দু আঁকা
এখন সময় ভোরের গোড়ায় আসেনি
তবুও রাত ঝিম মারে
             বেড়ার পাশে শিমুলতলার
             চোখে ভালোবাসা...




রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮

বধূহনন---

সেদিনের দেখাটা ছিল তাদের রাস লীলার মাঠে...
স্ফূর্ত যৌবনে এসেছিল স্পর্শ কাতরে হাত ধরতে...
চোখের কৃপণে গিলেছিল তাকে...
প্রেমের আতরে সে ও আজ. নিজেকে মাখে...
বাইশের উত্তোলনে বিবাহ আবদ্ধে পড়ল সে বাঁধা...
মুহূর্তেই তাকে ধরতে হল অকালে বিড়ম্বনার হাতা...
পতি তার নেশায় মগ্ন প্রতি রাতে..
বাইশে শ্রাবণ ঝড়ে তার যান্ত্রিক জীবনের সাথে...
রক্তে ঝরা রাত গুলো তার  শরীরের ক্ষত...
পতি তার দানবীয় তেজে ক্লান্ত দেহে মত্ত...
এইভাবেই রাত গুলো তার ভাষায় হাহাকার..
একদিন হল তার নিত্য চিৎকারের সংহার...
 সিলিং ফ্যানে তার ঝুলন্ত দেহে ক্ষত বিক্ষত...
  সমাজের ভঙ্গিমা  দেহের দিকে তাকিয়ে রসিকতা  অব্যাহত...
আজ মনে হয় কুকুর শেয়ালেও কাঁদে.. ভাবে হয়ত
Celluloid এ সমাজ স্বপ্ন দেখছে এখনো..আজ ছিলোনা কোনো প্রশ্নের উত্তর, ছিল নিরপেক্ষতা আর নীরবতা আর অজানা এক সমীকরণ...

অদিতি চক্রবর্তী - - - -
ছদ্মনামে- তৃষ্ণা
সমাজতাণ্ডব - - -

সদ্যোজাতদের দেখেছিলাম চাপা ঝলসানো চেহারা....
শান্তির প্রতীক ছিল সেই   উড়ন্ত সাদা পায়রাটা...
কোণায় কোণায় পড়েছিলো বুদ্ধিজিবীদের লাশ...
বেবিলন,, নদীর পাড়ে ছিল সেই ভাড়াটে জল্লাদ গুলোর বাস...
মানুষগুলো তাই ভুগছে দূর্গতি..
কবে হবে দেশ মায়ের সৎগতি...
লাশ পড়লেও বন্ধ ছিল না গুলিযুদ্ধ...
ধুতরা ফুলের মতোন বিষিয়ে ছড়িয়েছিলো তাদের আধিপত্য..
ঘটেছিল কালজয়ী দেশটার অকালবোধন
আসতে আসতে হচ্ছিল তখন সহিষ্নুতার শোষণ
অবশেষে হয়েছিলো ভিক্ষাজীবি.
তখন একটু হলেও জেগেছিল নির্বাক পৃথিবী...

অদিতি চক্রবর্তী - - - -

শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১৮

বহিরাঙ্গে ভুলো না রে মন!
মনের আলো খুঁজতে গিয়ে
প্রাণের কথা বুঝতে গিয়ে
অরুপ রতন মিলতে পারে
সেটাই রেখ হৃদমাঝারে।
দেখবে তখন সেথায় বৃন্দাবন।

                অয়ন কর্মকার
#নিশীথে

#অমিত ঘোষ

তিন রাত্রি চোখের পাতা এক করতে পারিনি ।।
বারবার পাতায় অসংখ্য লাইন শুধু লিখে গেছি ।।
নিশিরাতে কতো রকম কবিতা এসেছে কে জানে...
কখনো অন্তমিল ছন্দে কখনো অমিত্রাক্ষর ছন্দে
বারবার কলম থামিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করেছি
কিন্তু পারিনি , এতো টুকুও পারিনি আমি
কতবার যে বিছানায় গড়াগড়ি দিয়েছি , লাভ হয়নি
আমার এতটুকুও ঘুম আসেনি , একটুকুও আসেনি
আমার রাতে শুধুই কবিতা আসে , শুধুই কবিতা ।।

কাল সারাটারাতও আমার ঘুম আসে নি ।।
তুমি যখন লাল কার্পেটের উপর নরম গদিতে শুয়ে
আমি তখন ঠান্ডা শক্ত মাটির উপর বসে
তুমি যখন তোমার প্রিয়তমের ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছো
আমি তখন ঠোঁট রেখেছি কলমখানি মুখে নিয়ে ।।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে মদের বোতল , গ্লাস , সিগারেট
বহুবার প্রতিজ্ঞা করেছি নেশাগ্রস্ত হবো না....
বহুবার জ্বলন্ত সিগারেটের ছোয়া শরীরে দিয়েছি
কতবার ভর্তি মদের গ্লাস আছার মেরে ভেঙেছি
কোনো লাভ হয়নি , হয়তো হবেও না ।।
কি ভাবছো নেশাগ্রস্ত আমি  ? মাতাল আমি ?
হাসালে .........
নেশাগ্রস্ত তো তুমিও , হ্যাঁ নেশাগ্রস্ত তুমিও .....

বিশ্বাস করো বহু চেষ্টা করেছি ঘুম আসেনি আমার
বহু ভাবে মন কে বোঝানোর চেষ্টা করেছি.......

            ওরে দিন উদাসীন ওরে খ্যাপা মন
     যে যায় চলে রাখিতে ধরে কি বা সাধ্য তোর ?

বহুবার বহুরকম ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি ,
কে শোনে কার কথা , মন একটুকুও শোনেনি ।।

কাল নিশিরাতে অনেক কবিতা লিখেছি , অনেক
কখনো কবিতার উপর কেঁদেছি কখনো হেসেছি
অবশেষে খাতা থেকে পাতাটা ছিঁড়ে হাতে নিয়েছি
প্রত্যেকটা খাতার পাতা নিজের হাতে কুঁচ করেছি
আর একটা অক্ষরও বোঝা যায়নি একটাও না
তারপর , নিজের হাতে আগুন জ্বলিয়েছি
মুঠো করে কুচি কুচি টুকরো গুলো পুরিয়েছি ।।
আমার একটি রাতের সৃষ্টি পুড়ে গেলো ,
আমার রাতের সব ই যে পুড়ে গেল , সব ....সব
হ্যাঁ হ্যাঁ আমি সেই ধ্বংসকারী যে নিজের সৃষ্টি
নিজের হাতে পুড়িয়েছি , হ্যাঁ নিজেরই হাতে ।।
জানতে চাও কেন পুড়িয়েছি ? চাও জানতে ?
কারণ প্রত্যেকটা লাইন তোমায় নিয়ে লেখা ,
প্রত্যেকটা অক্ষর তোমাকে নিয়েই লেখা ।।

তাই তোমার কোনো কিছু আর রাখলাম না ।।
এমনকি তোমার দেওয়া বিবাহের চিঠি টাও না ।।

আবারও আমি নিশিরাত্রি জাগবো
আবারও আমি রাত্রি জেগে কবিতা লিখবো
আবারও আমি ঘুমের ওষুধ বিছানার পাশে রাখবো
যেদিন কবিতা আসবে না , যেদিন ছন্দ আসবেনা
যেদিন তোমরা বলবে নেশাগ্রস্ত মাতাল পাগলাটে
ছন্নছাড়া খামখেয়ালি একটা অখ্যাত অ-কবি ,
সেদিন হয়ত আমার কাজে লাগবে কয়েকটা বড়ি
আমি ঘুমাবো তখন , নিশ্চিন্তে আমি ঘুমাবো
খুব ভালো ঘুম হবে সেদিন আমার জানো ।
সেই রাতের শেষ লেখা খাতার কবিতা গুলো
তোমরা অখ্যাত কবির লেখা বলে ডাস্টবিনে ছুড়ো
যদি ইচ্ছে করে দূর থেকে সজোরে আসা
কোনো বালি বোঝাই ট্রাকের তলায় ছুড়ে ফেলো
সেদিন অনেক অনেক রক্ত দেখতে পারবে ,
ট্রাকের তলায় চাপা পড়া কবিতাদের রক্ত ।।
রক্তে ভাসবে রাজপথ , অনেক  পাতার রক্তে ,
সেদিন অন্তত দুফোটা অখ্যাত অকবিটার জন্য
 কবিতাদের জন্য দুফোটা চোখের জল ফেলো ।

           ওরে ওই শোনা যায় ডাক এসেছে
             ছেড়ে যেতে হবে এবার সবে
              আছার মেরে কাঁদিস নে তুই
                দেখা হবে রে আবার কবে ?
কবিতাঃ- "কবিতার জন্ম"
২১.০৭.২০১৮

আমার কবিতা শিরায় শিরায়
অলিন্দ নিলয় জুড়ে,
 ধমনীর ভিতর দিয়ে হৃদয় ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে,
ক্ষনিক বিষাক্ত নিশ্বাস ছুঁড়ে, শুদ্ধ প্রশ্বাসের রকমারি স্বাদে নিমগ্ন হয়ে,
 কলমের শিষে কালি ফুরানোর প্রাক মুহূর্তে আমার কবিতারা বাঁক নেয় সূর্যাস্তের গোধূলি বেলায় সন্ধ্যা নামার আগে।

আমার কবিতা সন্ধ্যাতারার ঝকমকিতে চাঁদের গায়ে পাহাড় ভেঙ্গে,
রাত্রি নামলে আবির মেখে,
আধুনিকতার একতারাতে সুর মিলিয়ে,
নৌকা-নদীর প্রেমালাপে মাতাল হয়ে দৃষ্টি ঘোরায় নদীর  বাঁকে,
কলম তখন ব্যস্ত লিখতে সেই কবিতা।

আমার কবিতা নিকষ কালো রাত্রিতে,
সজাগ চোখেও কালো দেখি অন্ধকারে,
কলম খুঁজি,
কবিতারা ছটফট করে প্রকাশ পাবার কল্পে,
আমিও তখন কবিতাদের জন্ম দিই বেশি না,
অল্পে স্বল্পে।
        চঞ্চল ভট্টাচার্য্য
বিভাগ: গদ‍্যকবিতা
শিরোনাম:খোরাকি
তারিখ:২০/০৭/১৮
রচনা:ঋতুপর্ণা ব‍্যানার্জী

নীল অবেলায় ছুঁয়ে আছে ছলাৎ রঙের রোদ
এক পঙক্তি ধূম জ্বরে ধুয়ে যায়
গাঢ় আকাশ
নিকোটিন খোঁজে দগ্ধ প্রেমের নাড়ি
কৃত্রিমতা দাঁড়িয়ে থাকে অক্ষর সেজে চৌকাঠে
গরম ভাতের নিঃশ্বাস চুরি করে পালায় অন্ধ বাঁকের গলি, বিদ্যুৎ চমকায় নিরক্ষর পেটে
বর্ষা নামে না তবুও..
মস্তিষ্কের ঘরে বারুদ চর্চা
দেহের পারদ লিখে দেয় তীর্যক রেফ "ক্ষুধার্ত" হরফে
নাকের দুপাশে অপরাহ্নের কালি
খোরাকি মেটায় হাত রিকশা ফুটের চায়ের ভাঁড়ে
অতঃপর ক্ষতয় পোড়ে অনর্গল সন্ধ্যা লাল নীল পাকের আঁচে ।।
★বিষাক্ত নারী★

এক খণ্ড মেঘ থেকে
খসে পড়ছে পারদের দঁক,
রক্তের রং তখন ১০৪°c এর   উর্ধ্বে।
তবু নিকোটিনে আসক্ত কর্ণিয়া
মরুভূমির আফিমের গন্ধ শুকেই,
রাতের কুহেলিকা মুমূর্ষু ডিমলাইটেই হয় জব্দ।
হঠাৎ আবেগী হিমালয়ের তড়িৎ ঝড়ে
ফাঁকা মস্তিষ্কে মেশে ইলুসিভ ভাইরাস,
তবুও অভাগা হৃদয় একটু সুখ বোনে
ভাঙা চরকার ধূসর ফুসফুসে।
এদিকে কলমের নিব ছিঁড়ে
 রেলগাড়ি বহুদূর চলমান,
সেখানেও একফালি রোদ থেকে জন্ম হয়
এক বিষাক্ত নারীর।
সত্য-মিথ্যে

চূর্ণ গ্লাসের টুকরো নাকি
বিবর্ণ মনের ডানা কেটেছে
ইচ্ছেরা তাই হৃদ-রাশিতে
মিথ্যের মালা গেঁথেছে।
নেশার চুমুকে বিদ্ধ মাতাল
অ্যাশ ট্রে-র কালো অন্তরালে
সত্য নাকি ডুব দিয়ে যায়
বিশ্ব অতল মদ সাগরে।
শয়তান এর আখড়ায় আজ
মিথ্যের জয় জয়কার
সত্য বাঁচার নেশায় তবু
নিস্চিহ্ন হাহাকার।
সত্য যোদ্ধার বড্ডো অভাব
মিথ্যেরূপী এই নগরে
সত্যের হাল ধরবে না কেউ???
মহান স্রষ্টার সত্যের পরে।
বাংলা জ্বলছে

                  সুমিত বিশ্বাস

জ্বলছে বাংলা জ্বলছে
খুন ধর্ষণ রাহাজানী চলছে৷
হাসপাতালে চোখ চুরি
চুপ আছে হাসপাতাল কর্মচারী৷
রাস্তা ঘাটে ধর্ষণ
উন্নয়নের বর্ষণ৷
শিক্ষিত আজ প্রতিবাদি
চাকরি পাচ্ছে মাওবাদী৷
বাংলায় উন্নয়ণের বন্যা
আসিডে মুখ পুড়েছে কন্যা৷
ধন্য সরকার ধন্য
তুমি যে অনন্য৷
শরতে কাশ ফুল
বাংলা তোমার সব ভুল৷
একসাথে

মঙ্গল, চাঁদে
দিচ্ছি পাড়ি।
তবু আমাদের
ঘরেই মারামারি।

ভাসছে ডুবছে
আমাদেরই তরী।
নৌকোতো মাঝগঙ্গায়
এবারে কি করি?
মোচমান হিদু
একই সাথে
জলেই হবে
ডুবে মরতে।
একসাথে যদি
বাঁচি দুজনে,
তবে, মরণে
কেন জাত
কেন ধর্মের হাত?
বলে একসাথে মরতে?

―সেখ আমিমোন ইসলাম

শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮

১] কাছে দাঁড়ালেই

@ পবিত্র কুমার ভক্তা

মানুষের মনের কাছে দাঁড়ালেই টের পাওয়া যায়

মানুষের বুকে কত টন যন্ত্রনা

কারুর পক্ষেই জানা সম্ভব নয় কতটা যন্ত্রনা বুকের মধ্যে

একটা দরদী মন নিয়ে নদীর পাশে দাঁড়ালে কান্নার শব্দ শোনা যায়

এক বিশাল লাইব্রেরীর বইভান্ডারের মত থরে থরে সাজানো

অভিমান, বিষন্নতা, দীর্ঘশ্বাস

লাল দগদগে ঘা, ধূসর কিংবা পাথুরে দুঃখ

রোজ বয়ে বেড়ায় একেকটি মানুষ।



প্রতিটি গাছের থেকে কত পাতা ঝরে রোজ

কত যন্ত্রনা একেকটি মানুষ ঢেকে রাখে রোজ

কেউ জানতেই পারেনা কত গভীর যন্ত্রনার

ব্যথিত ইতিহাস গোপনেই থেকে যায়

প্রেমের মৃত্যু, মনের মৃত্যু, পাতা ঝরা

বরফশুভ্র ট্র্যাজেডির গাথা মহাকালিক



মানুষ হয়ে মানুষের মনের কাছে দাঁড়ালেই টের পাওয়া যায়

শোনা যায় বান ডাকার শব্দ, বৃষ্টির টুপটাপ ঝরা

মানুষের কাছে দাঁড়ালেই যন্ত্রনারা দেয় ধরা।

বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮

   ♦ EXCLUSIVE ANUBRATA ♦

লেখিকা অনুব্রতা'র জন্ম কলকাতায় ১৯৯৩-র ১৮ই জানুয়ারি। পিতা সুব্রত গুপ্ত আর মাতা রুমি গুপ্ত।
         
       
                     _______♥________
             
 প্রথমেই জলফড়িং ওয়েব ম্যাগের পক্ষ থেকে তোমাকে জানাই নমস্কার।

~অনুব্রতা:- নমস্কার।অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
       ---------------------♥---------------------




একটা কবিতাকে একটা নাম দিয়ে দিলেই কেন জানি মনে হয় গলা টিপে ধরছি।

    আর কবিতার তো অনেক নাম তাই না?

       ---------------------♥----------------------
১.) অনুব্রতা গুপ্ত ছিল একটা সাধারণ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আর পাঁচজনের মতো,তারপর হঠাৎ করেই তুমি জনপ্রিয়, তকমা লাগলো কবি অনুব্রতা।এই সময়টা ঠিক কখন?

উ:-  আমি প্রথম থেকেই লেখালিখি করেছি।তখন পাঠক কম ছিলো।তারপর চোখে পড়েছি,মনে পড়েছি তার ফলাফল আজকে।


২.) অনুব্রতা গুপ্তের নাম "কৃত্তিবাস" জানেনা, জানেনা "দেশ" কিন্তু নাম জানে অনেক মানুষ। আমরা কি দেখতে পাবো কৃত্তিবাসের পাতায় কবি অনুব্রতাকে?

উ:- হুম নিশ্চয়ই আশা রাখি।


৩.) লেখালেখি শুরু কখন থেকে? প্রথম লেখার নাম মনে আছে?

উ:- নাহ নাম মনে নেই।নাম দিয়ে খুব কম লিখতাম তখন।একটা কবিতাকে একটা নাম দিয়ে দিলেই কেন জানি মনে হয় গলা টিপে ধরছি।

আর কবিতার তো অনেক নাম তাই না?


৪.) এই যে লেখালেখি তারপর এতো ভালোবাসা মানুষের কাছে পাও, এই উপলব্ধিটা কেমন?

উ:- আপ্লুত হই।মুগ্ধ হই।
মাথা নুইয়ে আসে এই ভালোবাসাদের কাছে।



৫.) তোমার লেখা বই আসবে শুনেছি সেটা নিয়ে একটু বলো আমাদের?

উ:- হুম আশা রাখছি।কাজ চলছে।সন্তানের (বইয়ের) এক হাতে তুলে দিয়েছি আগুন আর এক হাতে প্রেম।পাঠক তো ধ্বংস হবেই 😃


৬.) অনেকেই ফেসবুকে লিখছে তাদের মধ্যে তোমার পছন্দের কবির নাম?

উ:- অনেক আছে। ♥


৭.)অনুব্রতার চোখে লেখিকা কৃপা বসু?

উ:- হুম পড়েছি। ভালো লাগে।



৮.) তোমার কী মনে হয় যতজন লাইক দেয় ততোজনই তোমার লেখা পড়ে?

উ:- আমি বিশ্বাসীর দলে।


৯.)"মেসবালক" এটা অনুব্রতার কলম জাদু, এরপর আর সেরকম কোনো লেখা?

উ:- অনেক লিখেছি।এক একটা লেখা একেকজনকে স্পর্শ করে।


১০.) ভবিষ্যৎ-এ কি করতে চাও?  (লেখালেখি বিষয়ক)

উ:- আরো লিখতে চাই।
আরো আরো বই প্রকাশ করতে চাই পাঠক চাইলে।


১১.) আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যারাই কলম ধরে ফেসবুকে তারাই শ্রীজাত-র মতো করে লিখছে,এটাই শুনতে দেখি। তোমার কী মনে হয়?

উ:- ভালোবাসার মানুষদের প্রভাব তো পড়েই।না বুঝেই।তবে সেটাই সব নয়।আসলে মন ও মনন মিলে মিশে কালির ভেতর দিয়ে ফোটে।



১২.)তুমি যেসমস্ত লেখা গুলো লেখ ওগুলো না লিখে যদি তুমি গাছেদের কথা লেখ তাহলে কী একই রকম শেয়ার, কমেন্ট, লাইক পাবে?

উ:- গাছেদের কথা তো আমার বহু লেখায় আছে।লেখা হৃদয়স্পর্শী হলে মানুষ নিশ্চয়ই পড়বে।আর এই "লাইক কমেন্টস শেয়ার" তার পরিচায়ক মাত্র।


১৩.) লেখিকা অনুব্রতা পছন্দ নাকি শুধু অনুব্রতা পছন্দ?

উ:- অনুব্রতা তো লেখিকার মধ্যে দিয়েই... লেখা তো একটা বোধ,চিন্তনের প্রকাশ।ছাপ তো মানুষেও রয়ে যায়..



          -------------------♥----------------------



            ------------------♥-----------------------

১৪.) বিয়ের পর অনেক স্বামিই ফেসবুক মেনে নেননা, এখানে তোমার husband সেটা করেননি, কি বলবে তাকে নিয়ে?

উ:- কখনওই করেনি।আমিও তো করিনি।বিয়ে তো দুজনেরই।কিন্তু মেনে নেওয়ার সময় শুধু বরদের মেনে নেওয়া না নেওয়াকেই হাইলাইট করা হয়। not fair.হাহা 😃

ও সবসময় এনকারেজ করে।A l W A Y S..



১৫.) বারবার তোমাকে বলতে দেখেছি ছোটো বয়সের প্রেমে বড়োরা পড়তে পারে, সত্যিই কী পারে?

উ:- অবশ্যই।অল্পবয়সী ছেলেটি হলো নরম রোদ্দুর আর বেশি বয়েসী মেয়েটি হলো প্রাপ্তবয়স্ক ছায়া 😊


১৬.) প্রতিদিনই  কিছু না কিছু  লেখো নাকি ওয়েট করো?

উ:- লেখাটা নেশার মতো।কখনো হুহু করে আসে কখনো খাঁখাঁ খালি লাগে।


১৭.) তোমার লেখার সাথে ছবি থাকে, কখনও মনে হয়েছে এই ছবিটার জন্যই লেখাটা বেরিয়ে এলো নইলে আসত না?

উ:- না তো।লেখার সাথে ছবি থাকেনা তো।এতো এতো লেখায় কটা ছবির সাথে?
মাঝে ইচ্ছে করেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলাম ছবির কথা আমি বলতে পারি কিনা! কাজটা সহজ নয় কিন্তু!



১৮.) অবসর কীভাবে কাটায় অনুব্রতা?

উ:- উমম।প্রচুর সিনেমা দেখি।বই পড়ি।ছবি আঁকি।হাতের কাজ।আবৃত্তি।নাচ।আমার এইসবই ভালোলাগে।আসলে সব শৈলীই তো মনের কথা বলে।ওটাই অবসর।ওটাই যাপন।


১৯.) আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অনুব্রতার চোখে ব্লগের ভূমিকা কেমন?

উ:- বেশ জোড়ালো।প্রয়োজনীয়।


২০.) এই যে তুমি লেখো,ফেসবুকে দাও, তোমায় নিয়ে এতো মাতামাতি কখনও কোনো চাপ আসেনি বা আসেনা পরিবারগতভাবে বা অন্যরকম?

উ:- কিসের চাপ?
তবে মা একটু ভয় পায় কারণ জানে আমি মুখোশ পরতে পারিনা বরং খুলি (সমাজের)



২১.) আজ তুমি জনপ্রিয়, একদিন কবিতা লিখলে না শুধু দুটো শব্দ লিখলে, তোমার মনে হয় এই পোস্টটাও ব্যাপক ভাবে কমেন্ট,শেয়ারে ভোরে যাবে?

উ:- নাহ্।পাঠক তো বোকা নয়।তবে দুটো দামী শব্দ লিখতে পারলে ভরতেও পারে 😃



          --------------------♥-------------------




             -------------------♥---------------------



২২.)  ফেসবুকে তোমার চোখে কে এমন আছে যে অনুব্রতার চেয়েও ভালো লেখে (প্রতিষ্ঠিত ছাড়া) ?

উ:- সবাই সবার মতো।আমার কোনো প্রতিযোগীতা নেই।একেকজনের এক একটা লেখা পড়ে মনে হয় "কী লিখেছে!"।



২৩.) তোমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হলো লেখার সামগ্রী, তুলে নেওয়া হলো সমস্ত বই , কীভাবে কাটবে তোমার?

উ:- ভাববো,ভাববো,ভাবা প্রাকটিস করবো 😊


 ২৪.) এতো জনপ্রিয় তুমি রাত্রে ঘুম আসে মনে হয় না ইস দেখি দেখি কতগুলো কমেন্ট পেলাম আর?

উ:- হেহেহে।নাহ এসব নিয়ে মাতামাতি নেই আমার।মুকুটের পালক ভাবিনা,পাথেয় ভাবি।



২৫.) হঠাৎ ঘুম ভেঙে  দেখলে  তোমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আর নেই কী করবে?

উ:- কাঁদবো 😞



                  অনুব্রতা'র স্বাদ

প্রিয় রঙ:- এই মুহূর্তে সাদা।

প্রিয় পোশাক:- শাড়ি।

প্রিয় খাবার:- মায়ের হাতের রান্না।

প্রিয় কবি:- প্রিয় কবি নেই।অসংখ্য প্রিয় কবিতা আছে।

প্রিয় কবিতা :-  শুভক্ষণ ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

প্রিয় অভিনেতা:- অনেকটা যীশু।খানিকটা পরমব্রত।বাকিটা ঋত্বিক। (বাংলায়)



প্রিয় সিনেমা :- পথেরপাঁচালি

প্রিয় শহর :- কলকাতা

প্রিয় গল্প :- কঙ্কাল রবীন্দ্রনাথের (অন্যতম প্রিয়)

প্রিয় গায়ক:- কবির সুমন ও অনেকে।

প্রিয় গান:- "দিল হ্যায় ছোটাসা" শুনলেই কান্না পায়।অদ্ভুত একটা innocence আছে।



রাত্রের তারা প্রিয় নাকি দুপুরের ঘুঘুর ডাক:- তারা।

তোমার চোখে রবি ঠাকুর:- মায়ের মতোই ভালো..

                ★------♥------★

                    শেষ বেলায়

    ---- নতুন প্রচেষ্টা।এগিয়ে চলুক।😊
ধর্ম

      সুমিত বিশ্বাস

ধর্মের আসল মর্ম
ধারণ করো কর্ম৷
হিন্দু মুসলিম খ্রীষ্টান জৈন্য
মোরা সব ভারতমাতার সৈন্য৷
তবে কেন হিংসা মারামারি
ভাই হয়ে ভায়ের গলায়ধরো তরবারি৷
ভারতমাতার মাটির গন্ধে
ভাষা পায় কবিতার ছন্দে৷
ঔই মাটিতে ফসল ফলায়
হিন্দু মুসলিম সবচাষিয়৷
একি মায়ের অমূল্য সুধা
পান করে মেটায় ক্ষুধা৷
তবে কেন এমন দ্বিধা
রেখোনা মনে কোন বাধা৷
সংকটে নেই ধর্ম টর্ম
সংকটে আছে মানব ধর্ম৷
সংকট মোচন হয়ে মোরা
সন্ত্রাসহীন করব এই ধরা৷
বৃষ্টি বউ
বিকেল ঘনিয়ে অন্ধকারে
মেঘদূত ছায়া আঁকা
কাদা মাখা মেঘলা প্রলেপ
অনবরত পশলা ঝরে
পড়শির টালি বেয়ে
মরচে ধরা জানালার পিঠোপিঠি
আগেও বসতুম ছোটবেলায়
শেষবার পুতুলখেলার ঘরে গোল বাধে
ছোট্ট শাড়ি পরনে হাত নেড়ে
বাপের বাড়ি চলে
বহুদিন বাদে আর্জি আসে
শ্যাওলা ধরা বাক্স ভাজে
নীলচে খামে রামধনু রঙে লেখা
মল্লার হলে তুই ফিরব বাড়ি
আসিস পারলে বৃষ্টি হলে
গোল বাধিয়ে চলে যাওয়া
বৃষ্টি বউয়ের কাছে।
                                জয়দীপ রায়

                               
====#অনুভূতি=====
=====#বীথিকা=====

যেদিন বুকের মধ্যে জাঁকড়ে ধরে শুধুই তোমার স্মৃতি,
নয়ন ধারায় সিক্ত যখন পল অনুপল,
আবেগী মন তোমায় পেতে বড়ই উচ্ছ্বাল।

যেদিন হারিয়ে গেছি ভাবতে গিয়ে তোমার হয়েছে ইতি,
ঘরটি আমার হয়নি মাতাল তুমি তুমি গন্ধে,
পর্দাগুলো নাচে না আর তোমার চলার ছন্দে।

যেদিন সবথেকে ও নিঃস্ব আমি শুধু তোমার নিঃসঙ্গতায়,
পাশবালিশ ও বিমুখ যেন, দেয় না আমার সাথ,
আমি নেশার ঘোরে খুঁজে ফিরি পরিচিত সেই হাত,
হাতরে বেড়ায় তোমার স্মৃতি নির্ঘুম এক রাত,

-------------সেদিনও বেদনার অনুভূতি।।

 অনুভবে আজ নতুন অনুভূতি-----

 যখন দিনের শেষে ক্লান্ত সূর্য অস্তাচলে প্রায়,
রাখাল বালক গাভীরে বলে ঘরের দিকে চল,
দেখেছি আজ তখন আমি, পাথরের চোখে জল,

যখন মায়াবী চলে নিঃসঙ্গতায় বেদনার অনুভূতি,
আমিত্ত্ব সব খেই হারিয়ে একাকিত্বে জব্দ,
শুনেছি আজ তখন আমি,স্বপ্ন ভাঙ্গার শব্দ।

যখন গভীর রাতে ঘুমন্ত সব, আর নিশাচর পাহারায়,
ঝিল্লিমুখর ঝিঁঝিঁপোকারে কেউ দেয় না সাথ,
দেখেছি আজ তখন আমি, নিরবে কাঁদে রাত।
             ---------সত্যিই এক নতুন অনুভূতি।
জীবন হারিয়ে যায় নতুন জীবনের চোরাস্রোতে!
সেখানে মহাজীবনের দৌরাত্ম---
কান খাড়া করে থাকে বসন্তবাতাস, ফুলের সুবাস।
ওরাও লক্ষকুঁড়ি ফুটিয়ে আবার ঝরে যায় বেলাশেষে!

আগুনকাব্যে যতটা মেঘ, তার চেয়ে জলে টইটম্বুর
বাতাসের তীব্রতা গান হয়ে বেজে ওঠে আপনার একান্তে!
দীপশিখা, কালাঞ্জলির ঢেউ তুলে নেচে যায় একাকী।

পথিক হতে চেয়েছি বলেই পথকে করেছি আপন
সেখানে যাতাযাতের বেলায় ঘূর্ণিবত আয়োজনে মুখর!
সময়ের প্রতিলিপি কখনো কখনো দুঃসময়ের গান হয়
তারই সাথে নিত্য উঠাবসা, কড়াকড়ি আর কাড়াকাড়ি!
আমি কলের পুতুল হয়ে শতরঞ্জিতে ডুবিয়ে দেই প্রেম!
তারপর এক'পা দু'পা করে
কেবলি এগিয়ে যাই সম্মুখ সমরে!
ফের যদি আসি কোনদিন একান্তে,
জীবনজয়ের নামতা মুখস্ত করে ফিরব আবার।
সেটাই হবে হয়ত সময়ের প্রত্যাবর্তন.....

প্রত্যাবর্তন ।

★ *কঠিন সত্যানুভূতি* ★
*পলাশ কুমার ঘোষ*

যদি সত্যি বলে কিছু না থাকতো
তবে সব চাওয়াটা না হতো নৈরাশ্যে গাঁথা,
নীল স্বপ্নগুলি না হতো ধূসর ক্ষয়িষ্ণু পাতা।

যদি সত্যি বলে কিছু না থাকতো
তবে বিঁধতো বুকে যন্ত্রণার কাঁটা,
না থাকতো হৃদয়ে শূণ্যের অাড়ষ্টতা।

যদি সত্যি বলে কিছু না থাকতো
তবে পথ ঘোরা পাগলামী না হতো নিত্য পেশা,
না থাকতো মরীচিকার মহুয়ার  তীব্র নেশা।

যদি সত্যি বলে কিছু না থাকতো
তবে রক্তের সুনামিতে না থাকতো তেজের উৎকর্ষতা,
জীবনের ডায়েরী না হতো চূর্ণাক্ষরে আঁকা।

যদি সত্যি বলে কিছু না থাকতো
তবে বুকের কালশিরায় না লাগতো নির্জনতার ছাপ
না হতো কবিত্তের ভাব,
না নামতো ভাবনায় বিষাদের বৃষ্টি
না থাকতো কলঙ্ক, না থাকতো অভিশাপ।
না হতো বসন্তের সঙ্গে অাড়ি,
না হতো বাস্তবের রুদ্র বাতাসের সঙ্গে আলাপ।
তবে কি হতো যদি সত্যি না থাকতো?
তবে কি লিখতাম-
সত্যের অশ্রু দিয়ে কবিতা?


(নাম: পলাশ কুমার ঘোষ
ঠিকানাঃ বুনিয়াদপুর,দক্ষিণ দিনাজপুর।
পিনঃ ৭৩৩১২১.
মোবাঃ ৭০৭৬৫৯৫০৭৫
।।শৈশবের হাতছানি।।

জীবন এখন বিলাস বহুল বেশ
শৈশবটা হাতছানি দেয় খুবই,
ওপরে আমার বিলাসিতার মলাট
এখন জীবন মিথ্যে জানি সবই।

এখন আমি জীবন দেখি টাকায়
সব কিছুকেই কিনতে পারি যেন,
তবুও আমি অলীক স্বপ্নে ভাসি
শৈশবটা ফিরে পায়না কেন?

জীবন যদি শৈশব দেয় ফিরে,
বিলাসিতাকেও দান করতে পারি,
আমার শুধু শৈশব চায় এখন
আমি এখন শৈশব ভিখারি।
     
               চঞ্চল ভট্টাচার্য্য
কবিতাঃ 'জীবন ঘুড়ি'


আমার ঘুড়ি আকাশ ছুঁতে চায়,
তোমার ঘুড়ির সঙ্গ যদি পায়,
তোমার ঘুড়ির মাঞ্জা সুতোর ধার
আমার ঘুড়ির মাঞ্জা সুতো নাই।

আমার এই দরিদ্র ঘুড়ির লাটাই
শক্ত সে নয়,বড্ড সহজ সরল,
অমৃত ভেবে পান করতেও পারে
তোমার ঘুড়ির মারাত্মক সেই গরল।

আমার ঘুড়ি পুড়তেও রাজি আছে
তোমার ঘুড়ির একটু আগুন দাও,
তোমার ঘুড়ির আঁচে আমার ঘুড়ি
জ্বলুক আগুন জ্বলুক দাউ দাউ।

হয়তো তোমার মাঞ্জা সুতোর ধারে
আমার ঘুড়ি ছিন্নভিন্ন হবে,
তবুও তোমার সঙ্গ চায় মোর ঘুড়ি
মিশতে চায় তোমার ঘুড়ির অনুভবে।

তোমার ঘুড়ি বিলাস বহুল বড়
আমার ঘুড়ি ফুটপাতে-তে আজও,
আমার ঘুড়ির ধূলোমাখা শরীর
তোমার ঘুড়ি, যেমন খুশি সাজো।

তোমার-আমার শেষ করো আজ এবার
একটাই ঘুড়ি উড়ুক আকাশে,
সুখগুলো আজ করতে হবে আপন
দুঃখ গুলো হোক না ফ্যাকাসে।
                 চঞ্চল ভট্টাচার্য্য
কবিতার নামঃ- 'জলফড়িং '

আমার মনের জলফড়িং-এর বড্ড বাজে স্বভাব,
তোমার মনটা জলেই ভরা,ফড়িংটারই অভাব।

আমার মনে জলটা কমই
তোমার মনের চায়তে,
আমার মনের ফড়িংটা তবুও
চায়ছে নৌকা বায়তে।

কিন্তু এখন কি করা যায়
আমার মনের জল কম,
তোমার মনের জলেই আমার
ফড়িং থাকবে অনুপম।

তাই তো বলি তোমার জলে
আমার ফড়িং ভাসুক।
তোমার জল আর আমার ফড়িং জোয়ার নিয়ে আসুক।

জল বিনা কি জলফড়িংটা থাকতে পারে কখ্খনো,
জলফড়িং-এর প্রেম পেয়েছে তুমি শুধু দিন গুনো।
             
জুলাই সংখ্যা
 দৈনিক
চঞ্চল ভট্টাচার্য্য (বর্ধমান)

বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১৮

______ছন্দে বীর্যে সাহস গাথা
                    সুনন্দ মন্ডল

পুরুষ:     নারীর চলায় ছন্দ আছে
               দ্বন্দ্ব আছে মুখের বলায়।
               হেলে দুলে চুলের খোঁপা
               নিতম্ব নাচে কোমর দোলায়।

নারী:      পুরুষ খোঁজে চোখের তারায়
              সুখের একটু নিশান বাতি।
              নাক পাথরে রূপের মালা
              খোঁজে দেখি আপন সাথী।

পুরুষ:    নারী নামে ষোলো কলা
              দেহের ভাঁজে নিত্য লীলা।
              এ কীরে ভাই শুধুই খেলা
              বুঝিনা তো কোনোই ছলা।

নারী:     পুরুষ চোখে নাচে কেবল
             কাম লালসা ডজন খানেক।
             স্বার্থের ঘরে বদ্ধ করে
             তৃপ্তি মেটাও হাজার জনেক।

পুরুষ:    নারী মানে সর্বনাশা
              টাইফুনেতে মাতায় বিশ্ব।
              নারী ওরে দস্যু চামর
              নারী নামে কাঁপে শিষ্য।

নারী:      পুরুষ তবে টর্নেডো হয়
              প্রতিহিংসার বীজ বপনে।
              ধর্ষণে তাই মেটায় জ্বালা
              নারী সঙ্গ পেয়ে ক্ষণে।

পুরুষ:    ওরে নারী তোমার হাতে
              লাটাই ঘুড়ি জগৎ চলে।
              ‎তোমার নামেই কূজন হয়ে
              পায়ের নূপুর কথা বলে।

নারী:     পুরুষ তোমার বক্ষে সাহস
             জুগায় নারীর মনে দোলা।
             ‎তোমার শক্তি বীর্য দামে
             প্রহর গোনে মেয়েবেলা।
              ------------------

কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম

(দৈনিক সংখ্যা)
জীবন কেবলি ধোঁয়া হয়ে উড়ে যায়,
কিছুটা বাতাস বয়ে অগণিত সময়ের হাত ধরে!
কিংবা নক্ষত্রের আলো হয়ে চুপিসারে
একাকী হারায় কোন একদিন -
কৃষ্ণগহ্বরে!

উদাসী মেঘেরা শুষে নেয় মৃত্যুঞ্জয়ী সময়!
এখানে আমিত্বের মূল্য নেই -
জীবন কেবল জীবনের পথে হাঁটে একা।

মেঘ এঁকে দেয় পাহাড়!
জীবন এঁকে দেয় সময়ের পাণ্ডুলিপি।
দাসত্বের মুক্তি বুঝি এখানেই গড়াগড়ি খায়,
তবুও আধারের জোনাকি স্বপ্ন জাগিয়ে চলে।

ধ্বংসের আবর্তন ।
অয়ন কর্মকার
#ফিরে_যাও
#তানেয়া_মুখার্জ্জী

দেখো আজও আবার তুমি
         করছো ছলনা
অথচ জানো কখোনোই
         এটাতো হবে না,

নিশ্চিৎ কেঁদেছিলাম সেদিন
        থাকতে তোমার কোলে
অধিকারও কি ছিল না আমার
        ঐ মমতার আঁচলে?

সমাজের ভয়ে তুমি
       ত্যাগ করলে অবহেলে
এতোই যদি ভয় ছিল,
     কেনই বা জন্ম দিলে?

কি দোষ করেছিলাম মাগো
        এ ধরাতে এসে?
সয়েছি সব অপমান আমি
        মুখ বুজে হেসে।

জারজ পুত্র নই আমি,
        আমি সূত পুত্র-
রাধাই আমার প্রকৃত মা
        ধরে পালন সূত্র।

ফিরে যাও তুমি,
        তোমার নিজ ঘরে,
পরিচয় দিয়ে কেন
        দূর্বল করো মোরে?

যারা দিয়েছে সম্মান,
       কিকরে ছাড়ি তাদের?
যতোই দীন হোক তারা,
       আমি শুধু তাদের।।